আরব বিশ্ব এখন আইপ্যাড জ্বরে আক্রান্ত

“আমি আমার আইপ্যাডটি পেয়ে গেছি:” খালিদ আলসুডাইরি এই টুইট বার্তাটি পাঠিয়েছে। সে ২২ বছরের এক সৌদি ছাত্র, যে বোস্টনে পড়ালেখা করছে।

শীঘ্রই এই সংবাদ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার এই অর্জনে তাকে অভিনন্দন জানায়। সৌদি প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগ আইপাহড (আরবি ভাষায়) একধাপ এগিয়ে গিয়ে “আরবদের মধ্যে প্রথম আইপ্যাডের মালিক হবার জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে”।

তাকে করা প্রশ্নের জবাবে আলসুডাইরি বলেন:

4- في أي شريحة ترى نفسك من مستخدمي الآي باد؟ وهل يخدم الآي باد جميع الشرائح بما فيها الأعمال والترفيه والموسيقى والأطفال والمثقفين والإعلام؟

بالنسبة لاستخدامي للجهاز فاعتقد انه سيكون مقسم على قراءة الكتب، سماع الموسيقى ومشاهدة الفيديو وبعض الالعاب. لا اعتقد انه يخدم رجال الأعمال فهم يحتاجون لتطبيقات معقدة تحتاج كومبيوتر كامل لها.

প্রশ্ন: আপনি আসলে কোন ধরনের আইপ্যাড ব্যবহারকারীর মধ্যে পড়েন? আর আইপ্যাড কি সব সব ক্ষেত্রে ব্যবহার যোগ্য, যেমন ব্যবসা, বিনোদন, সঙ্গীত, শিশুদের ক্ষেত্রে, বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ ও প্রচার মাধ্যমের জন্য?

উত্তর: আমি বই পড়া, ভিডিও দেখা ও গেম খেলার জন্য আইপ্যাডের ব্যবহার করবো। আমি মনে করি না এটি ব্যবসায়ীদের কাজে লাগবে, যাদের জটিল সব কর্মকাণ্ডের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার প্রয়োজন।

২৪৮এএম-এর আইপ্যাড

২৪৮এএম-এর আইপ্যাড

মার্ক নিজেকে কুয়েতের প্রথম আইপ্যাড ব্যবহারকারী হিসেবে দাবি করেছে।

২৪৮এএম-ব্লগে লেখার সময়, লেখক জানাচ্ছে:

এক্স-সাইট নামক দোকান থেকে এইমাত্র একটি আইপ্যাড হাতে পেয়েছি, যাতে তা পরীক্ষা ও যাচাই করে দেখতে পারি। কেবলই এটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখানে এসে পৌঁছেছে এবং যে সমস্ত আইপ্যাড কুয়েতে প্রথম এসেছে তার মধ্যে একটি। এটা দেখার আমার প্রথম অনুভূতি ছিল আইপ্যাড ছবির চেয়েও দেখতে সুন্দর। এটা সত্যি এক অবিশ্বাস্য যন্ত্র যা আমি ভালোবাসি, এর পর্দা (স্ক্রিন)অন্য রকম, তা আমার ম্যাকবুকের পর্দার (মনিটর বা স্ক্রিন) চেয়ে উন্নত। বর্তমানে আমি টাইপ করার জন্য ম্যাকবুক ব্যবহার করি।

কুয়েত এবং যুক্তরাষ্ট্রে এই যন্ত্রের দামের বিশাল পার্থক্যের বিষয়টি নিয়ে পাঠকরা দ্রুত লিখেছে, এর সাথে তারা যুক্ত করে কুয়েতের বাইরে থেকে তাদের এই যন্ত্রটি পাওয়ার কিছু উপায়।

ইউসিফ লিখেছে:

গোল্লায় যাক এক্স-সাইট, যারা লোকজনের কাছে দ্বিগুন দাম নিচ্ছে। অ্যাপলের কাছে এই জিনিস অর্ডার দিন এবং এটা পাওয়ার পর আমার কাছে পাঠান।

ফানি স্টোরি এর সাথে যুক্ত করেছে:

কোন বোকা দ্বিগুন দাম দিয়ে কিনতে চাইবে, যখন কেউ তা অনলাইনে কিনতে পারে?

অদ্ভূত ব্যাপার।

তবে মন্তব্য বিভাগে ঈগল এই উচ্চমূল্যের ব্যপারে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। সে লিখেছে:

আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, আমি এক্স-সাইট নামক দোকানে গিয়েছিলাম এবং তাদের লোকজনকে প্রশ্ন করেছিলাম কেন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তাদের দোকানে দাম বেশি। তারা বলছে যে গত রাতে কয়েকজন লোক যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই যন্ত্রটি নিয়ে এসেছে এবং দামের সাথে তাদের নিয়ে আসার খরচ যুক্ত হয়েছে। কুয়েতের কথা বিবেচনা করলে বলা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এই দেশে প্রথম আইপ্যাডের আগমন ঘটেছে, এটা এমন খারাপ কিছু নয়। মধ্য প্রাচ্যের অন্য এলাকায় তিন মাস পরে এই যন্ত্রটি পাওয়া যাবে। যদি এখন কেউ আইফোনের দামের সাথে এর তুলনা করে, তা হলে ব্যাপারটি ততটা খারাপ দেখাবে না!

ইতোমধ্যে কুয়েতি এন নামের ভদ্রমহিলা, যিনি আপ টিল ওয়ান-এ ব্লগ করেন, তিনি এই সব মন্তব্যকে ততটা গুরুত্বের সাথে নেননি এবং দ্রুত আইপ্যাড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নেওয়া শুরু করেছেন -এবং নতুন এই যন্ত্রটি বাক্স থেকে খোলার প্রচুর ছবি পোস্ট করেছেন।

মার্কের কাছে ফিরে যাওয়া যাক, কুয়েতের আইপ্যাড ব্যবহারকারীদের সম্বন্ধে আরো কিছু তথ্য এখানে রয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .