নাইজেরিয়া: নতুন সাবমেরিন ইন্টারনেট ক্যাবেল লাগোসের সাথে সংযুক্ত হলো

জিএলও-১ নামের সাবমেরিন কেবল লাগোসের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এ কারণে পশ্চিম আফ্রিকার ব্লগাররা উত্তেজিত। ইউরোপের মাধ্যমে জিএলও-১ নাইজেরিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকার আরো ১৩টি দেশকে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করেছে, যা এই অঞ্চলে নতুন ব্যান্ডউইথ বা ইন্টারনেটে গতি নিয়ে এসেছে।

জিএল-১ আফ্রিকার নতুন সাবমেরিন কেবল, মানচিত্র মেনি পসিবিলিটিজের সৌজন্যে।

জিএলো-১ আফ্রিকার নতুন সাবমেরিন ক্যাবেল, মানচিত্র মেনি পসিবিলিটিজের সৌজন্যে।

এ বছর জুলাইয়ের শেষের দিকে স্যাট-৩ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়-এতে মাসের শেষ সপ্তাহের ছুটির দিন পর্যন্ত নাইজেরিয়ার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র সংযোগটি বিচ্ছিন্ন থাকে- ফলে সারা দেশের ব্যাংক ও ইন্টারনেট সেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সে সময় সারা দেশের প্রায় ৭০ ভাগ ব্যান্ডউইথ-এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

জিওএল-১, প্রজেক্ট বা পরিকল্পনার প্রধান অর্থ দাতা গ্লোবালকম লিমিটেড, যার চীফ অপারেটিং অফিসার বা প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তার সূত্র মতে এই নতুন পদ্ধতি নাইজেরিয়ার আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের সকল ব্রডব্যান্ড চাহিদা পূরণ করবে। ব্লগাররা এখন দ্রুত গতি ও কম দাম এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেটের অপেক্ষায় রয়েছে।

ক্যামেরুন থেকে বিল জিমারম্যান লিখেছেন:

জিওএল-১ কেবলের আগমনে আশা করা হচ্ছে যে ব্রডব্যান্ড এর দাম কমে আসবে এবং এটি দ্রুত গতি সম্পন্ন হবে ও কথা বলা, তথ্য বা ডাটা এবং ভিডিও সেবার ক্ষেত্রে তা আরো শক্তিশালী সংযোগ প্রদান করবে। পশ্চিম আফ্রিকার প্রযুক্তি খাত জিএলও-১ থেকে সুবিধা প্রাপ্ত হবে, কোম্পানীগুলো তাদের বিদেশী গ্রাহক ও অংশীদারদের সাথে আরো সহজেই দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবে। এটি একই সমান ভাবে ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, তাদের জন্য, যাদের নিজস্ব ইন্টারনেট সংযোগ নেবার ক্ষমতা ছিল না।

মোবিলিটি নাইজেরিয়া থেকে ইয়োমি আদেগাবাইয়ো লিখেছে, জিএলও-এর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি খুব শীঘ্রই দেখা যাচ্ছে না:

এর আগে পুরো দেশ একমাত্র স্যাট-৩ কেবলের উপর নির্ভর ছিল, যার উপর নিটেলের একচেটিয়া অধিকার ছিল, এর গতি বেশি পেতে চাইলে দাম দিতে হত বেশি। এই শিল্পের উপর নজর রাখা ব্যক্তিরা আশা করছে এক মাসের মধ্য জিএলও-র আগমন ঘটবে। যখনই এর উদ্বোধন হবে, নি:সন্দেহ বলা যায় তা নাইজেরিয়ায় ইন্টারনেট সেবার দাম ও গতির উপর একটা প্রভাব ফেলবে।

এখন জিএলও- এ দেশে চলে এসেছে, কখন আমরা এর সেবা পাওয়া শুরু করবো?

জিএলও একেবারে আলাদা যা বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি মালিকানাধীন সাবমেরিন ক্যাবেল। এপ আফ্রিকার থেরেসা কার্পেন্টার সানজো ব্যাখ্যা করেছেন:

সমুদ্রের নীচ দিয়ে আসা বেশীর ভাগ কেবল, যার মধ্যে স্যাট-৩ অন্তর্ভুক্ত, যা পশ্চিম আফ্রিকাকে বাকী বিশ্বের সাথে সংযোগ প্রদান করে, এর সব গুলোই প্রাইভেট বা ব্যক্তি উদ্যোক্তার সাথে সরকারি (জাতীয়) কোম্পানীর এক সাথে নেওয়া উদ্যোগ। এ ক্ষেত্রে জিএলও একটু অন্যরকম, কারণ এর পুরো ব্যয় প্রদান করেছে নাইজেরিয়ার গ্লোবালকম…. বর্তমানে নাইজেরিয়াকে ইন্টারনেট সেবা পাবার জন্য নিটেল-এর একচেটিয়া ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হয়, তারা তাদের নিজস্ব স্যাট-৩ স্টেশন স্থাপন করেছে, তার মাধ্যমে এই সেবা নিতে হয় এবং বাড়তি ব্যান্ডউইথ নিতে হয় প্রতিবেশী বেনিনের মাধ্যমে।

টেকমাসাই-এর মুনাশে গুমবনজাভান্ডোর সাথে যোগ করেন:

এখানে এই কেবলের ব্যাপারে কৌতূহল জনক বিষয়টি হচ্ছে অন্য কেবল যেমন সীকম (সম্পাদকের টীকা: সীকম এক ক্যাবেল কোম্পানী যা পূর্ব আফ্রিকার উপকূলের সাথে ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগ ঘটিয়েছে, এটি ২০০৯ সালের জুলাই মাসে চালু হয়) এর মতো নয়, এই সংযোগের পুরো খরচ বহন করেছে জিএলও নিজেই। এখন জিএলও-এর প্রভাব অনেক বড় হবে, কিন্তু কার্যকারিতার প্রভাব শুরু হতে সময় নেবে। এটা অনেকটা সীকমের মতো, যা আফ্রিকার প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও উন্নয়নের জন্য এক অসাধারণ মুহূর্ত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .