জাপান: ইশিকাওয়া প্রদেশ বাচ্চাদের জন্য মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করেছে

জুনের ২৯ তারিখে জাপানের ইশিকাওয়া প্রদেশ (টোকিওর ৫০০ কিলোমিটার উত্তরে) সারা দেশে প্রথম এক আইন পাশ করেছে, যার ফলে শিশু এবং টুইনিদের (১০ থেকে ১২ বছরের ছেলেমেয়ে, যাদের না শিশু, না কিশোর হিসেবে ধরা হয়) মোবাইল ব্যবহার সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। দেশের ব্লগ পরিমণ্ডলে এই নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে যে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনটা ঠিক, কোনটা ঠিক নয়। “ইশিকাওয়া চিলড্রেন কম্প্রিহেনসিভ এ্যাক্ট” [জাপানী ভাষায়, পিডিএফ ফরমাটে পাওয়া যাবে] এর ৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদ পাঠ করুন: “অভিভাবকরা অবশ্যই প্রাথমিক, মাধ্যমিক, এবং বিশেষ স্কুলে যে সমস্ত শিশুরা পড়ে তাদের হাতে মোবাইল ফোন দেবে না। তবে বিশেষ বিপর্যয়, অপরাধ ঠেকানো অথবা বিশেষ কোন অবস্থায় শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া যেতে পারে”। এই আইন ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

মাইনিচি ব্লগের চেয়ুই এই আইনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন:

これによって、「子供の携帯電話を解約しよう」とか考える親は余りいないだろうね。大体、携帯電話でもパソコンでもウェブ閲覧やEメールができるのに、何で携帯電話だけ規制なんだろうね?携帯電話の通話機能がいけないとも思えない。

家庭用の火災報知器を設置する義務も、罰則が特にないために設置が進んでいないようだし、この条例が施行された所で効果のほどは知れているだろう。多分今後携帯電話が絡んだ小中学生の事件が発生した時の県の言い逃れ(学校に責任なし)とか、そういうことに利用されそうな条例だ。

আমি বাজি রেখে বলতে পারি কোন বাবা-মা তার সন্তানের মোবাইল ফোন ব্যবহার বাতিল করবে না, কারণ, যেখানে সবাই তাদের মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ই-মেইল ও ওয়েব ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারে সেখানে কেন শুধু মোবাইল ফোন বাতিল করার নীতি থাকবে? এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে, এই আইন মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে কাউকে ফোন করার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে মাত্র।

এই আইনের আমি খুব একটা প্রভাব আশা করি না, কারণ এই আইন ভাঙ্গলে বিশেষ কোন শাস্তি বা জরিমানা নেই। ঘরে আগুন জ্বললে সংকেত প্রদানকারী যন্ত্র না বসানোর ক্ষেত্রে যে নীতি সেটাই এই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। সম্ভবত এই আইন ভবিষ্যৎে প্রয়োগ করা হবে যখন এমন ঘটনা ঘটবে যে দুর্ঘটনার সাথে মোবাইল ফোনের সংযোগ ছিল। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্ররা এমন ঘটনার সাথে যুক্ত থাকলে প্রদেশের শাসনকর্তা তা ক্ষমা করতে পারবেন (এর ফলে স্কুলের কোন দায়িত্ব থাকবে না)।

মানায়া হোমপোর ইসাজচি ইনু পরামর্শ দেন, এই ক্ষেত্রে প্রিপেইড ফোন সমাধান দিতে পারে।

私が思うには、ネットに繋がらないプリペイドの携帯電話を持たせたらいいと思います。プリペイド携帯は決められた度数を越えて使う事ができないため、使いすぎを防止するにはいいと思います。
しかし、不景気の時勢に親が子どもの携帯電話の料金を払うなんて時代が変わりました。自分が子どもの頃は携帯もなく、親に連絡する時は小銭を持ち歩いて公衆電話を探していましたけど、今では公衆電話を探すのに苦労するから、子どもに携帯電話を持たせるのも仕方ないのでしょうか。

আমি মনে করি ইন্টারনেট সুবিধা নেই, এমন প্রিপ্রেইড ফোন এর সমাধান হতে পারে। যেহেতু আপনি এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট মাত্রার বেশী কথা বলতে পারবেন না, ফলে তা বেশী কথা বলা রোধ করে।

তবে, এখন সময় পাল্টে গেছে, বাবা-মা এই অর্থনৈতিক মন্দার সময় সন্তানদের মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া বন্ধ করেছে। আমি যখন শিশু ছিলাম সে সময় কোন মোবাইল ফোন ছিল না। যদি আমাকে আমার বাবা-মার সাথে যোগাযোগ করতে হত, তখন আমি খুচরা পয়সা দিয়ে পে ফোন (টাকার বিনিময়ে রাস্তায় ফোন সুবিধা) থেকে ফোন করতাম। কিন্তু, বর্তমানে এই সমস্ত পে ফোন খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কাজেই শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়তো অনেকটাই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

এসএটিটি শিক্ষাগত বিষয়াদি সরবরাহ করে, এর মধ্যে রয়েছে অনলাইন শিক্ষা। এসএটিটির মোবাইল এ্যাডভোকেট মেম্বার#১ বলেছেন, তিনি এই আইন নিয়ে হতাশ।

持つこと自体を禁止してしまうと、たとえば「公教育の中にケータイを取り入れる」といった試み自体ができなくなってしまいます。

যদি আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করেন, সেক্ষেত্রে আপনি জনগণের জন্য সহযোগিতা করে এমন শিক্ষা কার্যক্রমকে হত্যা করলেন।

তিনি এর সাথে যোগ করেন যে আইন প্রণেতাদের মোবাইল ফোনকে সীমাবদ্ধ করার বদলে তার সম্ভাবনার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

ケータイは、日本においてこれだけ普及し、データ通信部分も含め世界に誇れる技術の固まりなので「制限」から入るのではなく、「何ができるのか」といった可能性に目を向けてほしかったと思います。

কারণ মোবাইল ফোন এবং এই প্রযুক্তি জাপানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এর মধ্যে ডাটা কমিউনিকেশন যুক্ত রয়েছে, যা বিশ্বের সেরা মানের একটি। আমার ইচ্ছে তারা এর সম্ভাবনার দিকে মনোযোগ দিক। “একে সীমাবদ্ধ করার” বদলে “এটা দিয়ে আমরা কি করতে পারি” তার উপর তারা মনোযোগ দিক।

দুই সন্তানের পিতা কিমমে বুঝতে পারেন না কেন শিশুদের এত তাড়াতাড়ি মোবাইল ফোনের দরকার:

我が家は長男が携帯を持ったのは大学に入ってからだ。次男はプリペイド携帯を持たせているが、インターネットを利用出来るようなプランには一切なっていない。いや、別に長男にしろ次男にしろ、自分でバイトして携帯代金払えるなら使って良いと私は思っている。
でも、小学校や中学校の間ははっきり言えば、必要ないと思っていたりする。こんな条例が出来る前から、我が家じゃ小中学生に携帯持たせる気なんてさらさらない訳だ。
でも、条例が出来ちゃうぐらいなんだから、持ってる子供もそれなりにいるって事なんだろう。
防犯の目的で携帯を持つって意味が個人的にはわからない。いや、確かに迷子になって携帯持ってたら探せたりするかもしれない。不審者に連れ去られたら連絡が出来るのかもしれない。塾の帰りが10時とかだったりするのかもしれない。
でも、防犯のタメに携帯を持たなくちゃならない社会の方が間違っていると私は思うのだけれど。
それよりも、小中学生に携帯電話を持たせる事で引き受けるリスクの方が、よほど大きいとは思わないのだろうか?

আমার বড় ছেলে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পায় যখন সে কলেজে ভর্তি হয়। আমরা তার ছোট ভাইকে একটা প্রিপেইড কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার, ইন্টারনেটের মতো কোন উপাদান মোবাইলে রয়েছে এমন জিনিস চাওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল না। আমি বিশ্বাস করি আমার দুটি সন্তান, নিজেরাই খণ্ডকালীন চাকুরি করে মোবাইল ফোন কিনতে ও তার বিল প্রদান করতে পারত।

তবে যখন শিশুরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়ে তখন তাদের মোবাইল ফোনের কোন প্রয়োজন থাকে না। এমনকি এই ধরনের আইন পাশ করার আগেও আমার পরিবারে যারা ছোট তাদের হাতে মোবাইল ফোন দেবার ইচ্ছে ছিল না।

আমি ধারণা করি এই বিষয়টি যখন আইনে পরিণত হবে তখন অনেক শিশুর নিজের হাতে তার নিজের ফোন থাকবে।

আমি বুঝতে পারি না অপরাধ দমনের সাথে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণ কি। সন্তান যদি হারিয়ে যায় এমন অবস্থায় মোবাইল ফোন তাদের সাহায্য করতে পারে। হয়তো বা যদি কোন শিশুকে কেউ অপহরণ করে সেক্ষেত্রে অথবা এমন কোন উদ্দেশ্য যদি থাকে, যেমন আমি জানতে চাই যে সন্তানেরা রাত ১০.০০ পর তাদের বিশেষ স্কুল (যে স্কুলে বাড়তি পড়াশুনা হয়) থেকে বাসায় ফিরেছে কিনা তা জানার জন্য মোবাইল ফোন দরকার।

কিন্তু আমি মনে করি সমাজ ভুল করবে, যদি অপরাধ দমনের নামে তারা ছেলেমেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেয়।

যুক্তি হিসেবে বলা যায়, আপনারা কি মনে করেন না যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া অনেক বড় একটা ঝুঁকি?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .