ইরান: ইউটিউব, ব্রডওয়ে সঙ্গীত আর নির্বাচন

ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারণাকারীরা ইউটিউবকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন তাদের প্রিয় প্রার্থীকে তুলে ধরতে বা প্রতিদ্বন্দ্বীকে নীচু করে দেখাতে।

১২ই জুনে ৪জন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন, যার মধ্যে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদও ছিলেন। অন্যরা ছিলেন মির হুসেইন মুসাভি, মেহদি কাররাউবি আর মোহসেন রাজাই

ইউটিউবে প্রকাশিত একটা ভিডিও ‘এনিথিং ইউ ক্যান ডু’ নামে একটা পুরানো ব্রডওয়ে গানের সুরের সাথে তুলনা করেছে আগের প্রধানমন্ত্রী মির হুসেইন মুসাভির সাথে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের। ভিডিওর শেষ হয়েছে এই বলে যে মুসাভি আহমাদিনেজাদের থেকে বেশী বাস্তববাদী যার রাজনীতি ইরানের অর্থনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

আর একটা ইউটিউব চলচ্চিত্র আছে যার লক্ষ্য করা হয়েছে ভূতপূর্ব সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতেমীকে যিনি মুসাভির পক্ষে প্রচারণা করেছেন।

যেমন তেহরান পোস্ট একবার উল্লেখ করেছে যে ইরানে সব থেকে জনপ্রিয় ধারার কৌতুক হচ্ছে গোত্রীয় মজা। এই ধরনের কৌতুক সাধারণত: আজেরী তূর্করা বেশী করে থাকে। এই ভিডিওতে খাতেমী আর্দেবিলের স্থানীয় (আজেরী) ধর্মগুরু সম্পর্কে একটি মজার কথা বলেছেন যে বোকার মতো কিছু করেছিল। যদিও তার ইচ্ছা ছিল দেখানো যে আর্দেবিল বাসীরা খুবই গুণী। কয়েক শত আজেরী ছাত্র এই মজা করার জন্য খাতেমীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে (ভিডিওটা দেখুন), আর মুসাভিকে (যিনি নিজেও আজেরী) অনুরোধ করেছে যাতে তিনি খাতেমীকে এ জন্যে তিরষ্কার করেন। এর মধ্যে খাতেমী দাবী করেছেন যে এই চলচ্চিত্র ভুয়া।

ইরানে বসবাসরত একজন ব্লগার আর সাংবাদিক ডিজিটাল কালাশনিকভ এই প্রেসিডেন্ট প্রচারণার সময়ের বেশ কয়েকটা মজার ঘটনা ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেনতার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ভূতপূর্ব সংসদের স্পিকার মেহেদি কাররাউবি আর তার সমর্থকরা জোর করে আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে নিষিদ্ধ করেছিল যে কোন ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .