গুয়েতেমালা: খনি পরিচালনার বিরুদ্ধে

সম্প্রতি বিবিসি সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, গুয়েতেমালায় বেশ কয়েকটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের গায়ের চামড়ায় ক্ষত দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার জন্য আদিবাসী সম্প্র্রদায় ও অনেক অ্যাকটিভিস্ট (সক্রিয় কর্মী) কানাডিয় কয়লা উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডকপর্কে দায়ী করছে। এই কোম্পানি গুয়েতেমালায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে মাটির ভেতর থেকে কয়লা তুলে আনছে। আর এজন্য স্থানীয় অধিবাসীদের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্যের এই নতুন সমস্যা আবিস্কার হওয়ার সাথে সাথে খনির খারাপ দিকগুলোতে আরেকটি নতুন বিষয় যোগ হলো।

সান মিগুয়েল ইক্সটাহুয়াচান এর খনি নিয়ে তৈরী হওয়া দ্বন্দ ও অপরাধ নিয়ে লিখছে গুয়েতেমালা সলিডারিটি নেটওয়ার্ক ব্লগ:

বিশেষজ্ঞরা উন্মক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তেলনকে সবেচেয়ে পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টিকারী পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করে। এই পদ্ধতির সামাজিক এবং সংস্কৃতিক প্রভাব অনেক বেশী— সান মিগুয়েল ইক্সটাহুয়াকান এবং সান মার্কোস এলাকার সিপাকাপার গভীর থেকে কয়লা তুলে আনার কুফলগুলো ইতিমধ্যে প্রকাশ হতে শুরু করেছে। এগেল, নুয়েভা এসপেরানাজা এবং সান জোসের ইক্সকানিচের স্থানীয় বাসিন্দরা একটি প্রিয় চমৎকার পাহাড়ের কথা মনে করতে পারে যা কিনা তার বৈচিত্রময় পরিবেশের জন্য বিখ্যাত ছিল। সেখানে গেলে যে কেউ দেখতে পেত নানা প্রজাতির পাখি আর প্রজাপতি। আজ সেখানে তারা দেখতে পায় অনেক বিষাক্ত ধুলোবালি মেশানো গর্ত যা খনি থেকে কয়লা তোলার ফলে তৈরী হয়েছে।

খনি নিয়ে বির্তক শুরু হয় ২০০৭ সালে যখন আ শাপাঁ অঁ জাপোন (স্প্যানিশ ভাষায়) ব্লগের আলেয়ান্দ্রো খনি বিষয়ক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং খনি চুক্তির খুঁটিনাটি দিক পরীক্ষা নীরিক্ষা করে তার অসম আইন গুলো যাচাই করেন।

1.- El estado de Guatemala recibe el 1% de regalías producto de la actividad minera. (da risa la verdad, entre otras cosas no compensa el daño que se pueda causar no solo en el ambiente sino consecuentemente en la población). Esto es debido a que así esta establecido en la Ley de Minería aprobada en 1997, aprobado por el gobierno del Presidente Alvaro Arzú.

2.- Poco o escaso beneficio de las áreas en las que se realiza la minería en comparación con el impacto que se produce. De manera directa la minería genera empleos directos e indirectos, pero en términos generales no mejora la calidad de vida de la población. Una pregunta importante es ¿Qué pasará cuando las minerías terminen sus operaciones en esé lugar?.

১) গুয়েতেমালা এই চুক্তির মাধ্যমে খনির রয়ালিটির বা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার বিক্রি থেকে মাত্র ১% পাবে (এই চুক্তি আসলেই মানুষকে হাসায়। কারন খনি থেকে কয়লা তোলার পর সেখানে বসবাসরত মানুষ এবং পরিবেশের যে ক্ষতি হবে এই টাকায় তার কোন ক্ষতিপুরণই হবে না। এই চুক্তি আলভারো আরজুর সরকারের অধীনে করা হয়েছিল)

২) স্থানীয় জনগণ এই খনি থেকে খুব সামান্য বা সীমিত সুবিধা পাবে। এই সুবিধা তারা পাবে যখন সেখানে খনির কাজ চলবে। কিন্তু খনি খননের ফলে যে প্রভাব সেই এলাকায় পড়বে তার তুলনায় এটি খুবই সামান্য। এই খনি সেখানে হয়তো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান তৈরী করছে কিন্তু সাধারণভাবে বলতে গেলে বলা যায় এই খনি সেখানকার লোকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তেমন সাহায্য করেনি। এখন এখানে একটি গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন করার আছে? যখন খনি কোম্পানী সেখান থেকে চলে যাবে তখন সেখানকার অবস্থা কি হবে?

খনি কোম্পানীরা তাদের কাজের ফলে এলাকায় যে সমস্যা হয় তা নিয়ে তাদের বিরোধীদের তোলা সোচ্চার আওয়াজ সমন্ধে সচেতন। এইসব বিরোধীতাকে থামানোর জন্য তারা অনেক সময় যুক্তি দেখায় যে তারা উন্নয়নে অংশ নিচ্ছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে, দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব তৈরী করছে। এই সব খনি কোম্পানীর কেউ কেউ জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের মাধ্যমে সারাসরি জনগণের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছৈ দিতে চেষ্টা করে। এসব কোম্পানী তখন খনি কোম্পানীর গল্পগুলো সাধারণের কাছে তুলে ধরে। মি মুন্ডোর জেমস রডরিগুয়েজ বর্ণনা করছে কি ভাবে গোল্ডকর্প কোম্পানী তাদের ইমেজ বা চরিত্র উন্নত করার চেষ্টা করছে।

“২০০৮ সালের শেষে আর্ন্তজাতিক স্তরে ভাবমুর্তি উন্নয়নের লক্ষে গোল্ডকর্প (মনটানার এক্সপ্লোরাডোরা কানাডা থেকে পরিচালিত এই কোম্পানীর অংশিদার) কোম্পানী একটি বিশেষ কৌশলগত প্রচারণা চালাচ্ছে। এই প্রচারণা অংশ হিসেবে তারা সারা গুয়েতেমালা সিটির সব জায়গায় এবং বড় বড় রাস্তার পাশে বিলবোর্ড তৈরী করে লাগিয়ে দিয়েছে। গোল্ডকর্পের এক বিশাল বিলবোর্ডে দেখা যাচ্ছে লেখা রয়েছে উন্নয়ন= কাজ= জীবনের উন্নয়ন, আমরা গোল্ডকর্পে উন্নয়নকে সর্বাগ্রে বিবেচনা করি। এই বিলবোর্ড লা আরোরা আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের প্রধান বর্হিগমন গেটের সামনে লাগানো রয়েছে”।


ছবিগুলো তুলেছেন জেমস রডরিগুয়েজ এবং http://mimundo-jamesrodriguez.blogspot.com এর অনুমতিক্রমে ছাপানো হয়েছে।

কোম্পানীর প্রচারণা চালানো সত্বে এই বিষয়ে নাগরিকদের এক হওয়া এবং এক আন্দোলন গড়ে তোলাও দৃশ্য খুব জোরেশোরে দেখা যাচ্ছে। ব্লগ ফারো মুন্ডিয়াল ড লাস লূচাস ডেল আগুয়া (পানির জন্য লড়াই করা ওয়ার্ল্ড ফোরাম) এই রকম একটি প্রতিবাদের বর্ণনা করছে। এই প্রতিবাদ কন্টিনেন্টাল কাউন্সিল অফ এল্ডারলি ইনডিজিনাস অফ আমেরিকা বা আমেরিকার প্রবীণ আদিবাসী জনগণের প্রতিবাদ যার মধ্যে রয়েছে তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে খনি না করার জন্য সরকারকে আহবান জানানো। তারা বলেন তাদের এলাকার পানি সায়ানাইড নামের বিষ দিয়ে দুষিত হয়ে যাচ্ছে। প্লুরিকালচারালিদাদা জুরিকা (স্প্যানিশ ভাষায়) উল্লেখ করেন যে প্রায় ২০ টি সম্প্রদায় স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত কারনে খনির খনন কাজ বাতিল করার অনুরোধ করে।

খনির কারনে তৈরী হওয়া স্বাস্থ্য সমস্যা এই সম্পদ্রায়ের সদস্যদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এমেটেরিও পেরেজের শরীরের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন গুয়েতামালা কনটামিনাডা (স্প্যানিশ ভাষায়) ব্লগ তাদের গোল্ডকর্প কিলস লেখার মধ্যে দিয়ে।


ছবি তুলেছে রাইটসএ্যাকশন/গ্রাহাম রাসেল এবং তা http://guatemalacontaminada.blogspot.com এর অনুমতিক্রমে ছাপানো হয়েছে

Emeterio es un hombre de 73 años de la comunidad de San José Ixcaniché en San Miguel Ixtahuacan. En menos de un año, la salud de Emeterio se ha deteriorado. Empezó a tener dolores en sus pies que lentamente se expandieron por todo su cuerpo.

Después apareció el sarpullido seco que picaba y se extendió por todo su cuerpo. Como muestra la foto, su estomago empezó a hincharse, alcanzando un tamaño enorme, mientras que él se debilitaba. Durante esta entrevista, Emeterio nos indicó que otro hombre en la misma comunidad se había muerto por los mismos síntomas.

সান জোসে ইক্সচিয়ার সম্প্রদায়ের একজন ৭৩ বয়স্ক প্রবীণ ব্যাক্তি এমেটেরিও যে কিনা সান মিগুয়েল ইক্সটাহুয়াকান এলাকা থেকে এসেছেন। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে এমেটেরিওর স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। প্রথমে শরীরের ব্যাথা শুরু হয় পরে তা পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে এই ব্যাথা তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

তারপর তার পায়ে শুকনো চুলকানি/ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এক সময় ফুসকুড়ি তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এমেটেরিও বলেন তার সম্প্রদায়ের আরেকজন ব্যাক্তি এই সব লক্ষণ প্রকাশ হবার পর মারা গেছেন।

খনি হবার ফলে এই এলাকার সম্প্রদায়কে অনেকগুলো সমস্যায় মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং তার সাথে তাদের নেতারা অসৎ হয়ে গেছে। ব্লগ ব্রেকিং দি সাইলেন্স (স্প্যানিশ ভাষায়) লিখছে:

এই খনি মায়ান মাম এবং মায়ান সিপাকাপাসে এলাকায় অবস্থিত। এই এলাকার সম্প্রদায় খনি তৈরী ও তার ফলে সৃষ্ট সমস্যায় ভুগছেন। স্থানীয় সংগঠন এডিআইএসএমআই (দি এ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্ট্রিগ্রাল ডেভলাপমেন্ট ইন সান মগিুয়েল ইক্সাহুয়াকান) এবং এই সম্প্রদায়ে সরকারের প্রতিনিধির মাধ্যমে খনি সৃষ্টির ফলে এই এলাকা কতখানি পানি হারালো তা জানানোর চেষ্টা করছে (খনি তৈরী হবার পর এখানে প্রায় ৪০ টি কুয়া শুকিয়ে গেছে)।

শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে চামড়ায় রোগ দেখা দিচ্ছে, পশুর মৃত্যু ও গর্ভপাতের সংখ্যা বাড়ছে, ঘরের দেওয়ালে বড় বড় ফাটল তৈরী হচ্ছে যার ফলে এই রকম অবস্থায় ঘরে বাস করাও বিপদজনক হয়ে দাড়াচ্ছে। এখানে সামরিকি করণ বাড়ছে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বাড়ছে, সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ বাড়ছে, এবং তার সাথে খনি করার সময় স্থানীয় জমির মালিকদের যথেষ্ট পরিমান ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা তাদের এইসব জমি খনি কোম্পানীর কাছে বিক্রি করেছিল। তবে যারা বিক্রি করতে চায়নি তাদের উপর জোর করা হয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং এই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে । এ সব কাজ তখন শুরু হয় যখন কোম্পানী এখানে জমি গ্রহণ করা শুরু করেছে।

খনি কোম্পানীর দাবী অনুযায়ী স্থানীয় অধিবাসীদের উন্নয়ন এবং দেশের উন্নয়ন সত্বেও ব্লগাররা প্রতিবাদ করছে। খনি নিয়ে একদল শক্ত বিরোধী অবস্থানে রয়েছে এবং খনির কারনে যে সমস্ত বিপদ দেখা যাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে তারা স্থানীয়দের এক করছে। স্বাস্থ্য আর পরিবেশের উপর আসা বিপদই তাদের এক করছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .