ভীতিকর বাস্তবতা নাকি চমৎকার কল্পকাহিনী?

Fright

আমাদের ‘রুপকথা, ভুত, দানব আর ভীতি’ সিরিজের তৃতীয় ভাগ এসে গেছে আর এই বার আমরা একটু ল্যাটিন আমেরিকার সীমানার বাইরে তাকাব। এই শেষ ভাগে, আমরা দেখবো চুপাকাব্রাস, ভুডু আনুষ্ঠানিকতা; ভুত তাড়ানোর কিছু উদাহরণ দেখব আর একজন মানুষখেকো খুনিকে দেখব যে ভেনিজুয়েলার কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছে। কিছু ভিডিও ধাক্কা দেয়ার মতো হতে পারে, যদি আপনি মনে করেন যে বিষয়বস্তুতে আপনার আপত্তি আছে বা দেখলে আপনার খারাপ লাগবে, তাহলে দেখার জন্য দয়া করে ক্লিক করবেন না।

ল্যাটিন আমেরিকাতে চুপাকাব্রাস এর গল্প গত ১৫ বছর ধরে চলে আসছে। স্প্যানিশ এই শব্দের ভাষান্তর হলো ‘ছাগল রক্তচোষা’ আর এই আধুনিক ক্রিপ্টিড (জন্তু) কে বিশ্বাস করা হয় কিছুটা বাদুড়, কিছুটা মানুষ আর কিছুটা ক্যাঙ্গারুর সংমিশ্রণ আর অবশ্যই ভীতিকর এক প্রাণী হিসাবে। চুপাকাব্রাস সম্পর্কে দ্রুত খোঁজ নিলে ইউটিউবে কয়েক ডজন ভিডিও দেখা যাবে যাতে কথিত এই অতিপ্রাকৃত পশুকে দেখা যাবে। কিন্তু লিটিল গ্রীন মারথিয়ান্স ব্লগ অনুসারে যখন সব থেকে বিশ্বাসযোগ্য ভিডিও প্রমানিত হয় ব্লু-জিন্সের ভাইরাল প্রচার হিসাবে, তখন এই পশুকে বেশী গুরুত্ব দেয়া যায় না। এই পশু নাকি শুধুমাত্র সমগ্র আমেরিকা জুড়েই না, বরং রাশিয়া আর আফ্রিকা মহাদেশেও আবির্ভুত হয়েছে।

ভুডু হচ্ছে আফ্রিকার বেনিনের রাষ্ট্রীয় ধর্ম আর ক্যারিবিয়ান দ্বীপ হাইতিরও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম। আর যখন ভুডুর কথা বলা হয়, বেশীরভাগ লোক সাথে সাথে জম্বির কথা ভাববে। বিতর্ক আছে যে জম্বি হলো বিশেষ একধরনের পাউডার দ্বারা নেশাগ্রস্ত করা মানুষ যা তাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কাজ বন্ধ করিয়ে দেয় আর তাদের মৃত্যু থেকে আলাদা করা যায়না এমন কোমা অবস্থায় উপনীত করে। কিন্তু যখন ভুডু ধর্মযাজক তাকে খুঁড়ে বের করে কবর থেকে উদ্ধার করে, তখন তারা সমর্থ হয় তাদেরকে জীবনে ফিরিয়ে আনতে আর চিন্তাশক্তি বিহীন দাশের মতো তাদেরকে দিয়ে হুকুম অনুযায়ী কাজ করাতে পারে। গ্রীক এক্সান্দাস প্রযোজনা সংস্থার এই আংশিকভিডিওতে, জম্বিদের ঘিরে থাকা কল্পকাহিনী সম্পর্কে বলেছে যে ভুডু ধর্মযাজক অন্য সবার মতই সাধারন মানুষ। অন্য ভিডিওতে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত ভুডু অনুষ্ঠানের ছবি আছে যেখানে সমাজের সদস্যরা আছে যারা বিভিন্ন আত্মার কবলে পড়ে। আলোকচিত্রী স্টিফেনী কিথ ১০টা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবিগুলো তুলেছে আর ধারাভাষ্যও সেই দিয়েছে।

ভুত তাড়ানো বা এক্সরসিজম আর একটা বিষয় যেটা কিছু মানুষ কাল্পনিক মনে করে আর অন্যরা বাস্তব হিসাবে এর পক্ষ নেয়। জার্মানির এ্যানেলিজে মিশেলের জীবন অবলম্বনে নির্মিত সাম্প্রতিক একটা চলচ্চিত্রে ধারণা করা হয় প্রেতের উপস্থিতির পার্শপ্রতিক্রিয়ায় সে মারা যায়। নীচের ভিডিও থেকে মনে হয় ভুত তাড়ানোর কাজ চলছে যা তার উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। এছাড়া আরও ছবি আছে ঐ সময়ের যে সময়ে ধারনা করা হয় তার উপর আত্মা ভর করেছিল।

অনেক ধর্মে ভুত তাড়ানোর অস্তিত্ব আছে, যদিও হলিউড চলচিত্রে সব থেকে বেশি দেখানো হয় ক্যাথোলিকদের ভুত তাড়ানোর নিয়ম। নীচের ভিডিওতে আমরা দেখি যে ইউটিউব ব্যবহারকারী দিমাগ৩ ব্রুনাই এর একটা ভুত তাড়ানোর অনুষ্ঠান দেখাচ্ছে ।

আর এখন ভীতিকর থেকে আরো বাস্তবতার জগৎে যাচ্ছি। ভেনিজুয়েলার একজন সিরিয়াল খুনী যে তার শিকারদের লাশ খেত এই গল্প এখন পপ-সংস্কৃতির বিষয়ে পরিণত হয়েছে এবং একটা গানের তৈরিতে উদ্দীপনা জুগিয়েছে। ভেনিজুয়েলার ঐতিহ্যবাহী জরোপো তুয়েরো বাদ্যের সাথে ইলেক্ট্রনিক বিট মিশিয়েছে, যেটা আপনারা এখানে শুনতে পারেন। তার রয়েছে নকল মাইস্পেস প্রোফাইল যেখানে উনপঞ্চাশ জন বন্ধু জুটেছে। আর একটা ইউটিউব ভিডিও আছে সাক্ষাতকার আর ক্লিপসহ মিডিয়া থেকে নেয়া যেখানে সে তার সব থেকে কুখ্যাত মন্তব্য করেছে বলে মনে হয় “আমি পাগল না, আমি শুধু মানুষ খেতে চাই।”

বিশ্বজুড়ে আরো ‘রুপকথা, ভুত, দানব আর ভীতিকর কাহিনীর’ জন্য দয়া করে আমদের বিশেষ কাভারেজ পেজ দেখুন।

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .