জর্ডানঃ সম্রাজ্ঞী রানীয়ার ভিডিও ব্লগিং

আরবদের গৎবাঁধা জীবনধারাকে নাড়িয়ে দেয়ার মত কিছু সফল ভিডিও ইউটিউবে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের জন্য আরব ব্লগারদের পরিচালিত একটা ব্লগিং ম্যাগাজিন ব্লগার টাইমস সম্রাজ্ঞী রানীয়াকে আরবের সবচেয়ে বিখ্যাত ভিডিও ব্লগার হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

নিবন্ধটি অনুসারেঃ

تجلس الملكة رانيا العبد الله داخل مكتبها الفسيح في عمان بالأردن بينما تركز عليها ثلاث كاميرات.
الكاميرتان الأولى والثانية هما للبي بي سي في حين أن الكاميرا الثالثة هي لأعضاء مكتبها، والكاميرات الثلاث تصور أحدث حلقة من برنامجها الذي يُبث في قناتها الخاصة المسماة V-log على موقع يوتوب الخاص بمقاطع الفيديو.
وهذه هي الحلقة السابعة أو الفيديو السابع منذ أن بدأت الملكة رانيا بث أحاديثها على موقع يوتوب في شهر مارس/آذار الماضي.
وتلقي الملكة رانيا أحاديثها باللغة الإنجليزية، إذ تطلب من المشاهدين أن يخبروها ببعض الصور النمطية التي سمعوها عن العالم العربي حتى يتسنى لها “تفكيكها واحدة تلو الأخرى”.
قد لا تكون عقيلة العاهل الأردني عبد الله الثاني، الشخصية العامة الوحيدة التي تستخدم موقع يوتوب الذي يقبل على مشاهدته ملايين المشاهدين؛ فهناك سياسيون وملوك في مناطق مختلفة من العالم قد أنشأوا مواقع لهم على شبكة الإنترنت.
لكن ما تتفرد به الملكة رانيا عن الباقي هو أنها الشخصية العربية الوحيدة التي تستخدم الإنترت للانخراط في حوار مع الغرب والترويج للخطاب الإسلامي المعتدل.
تقول الملكة رانيا مازحة “ابني المراهق شخص قليل الكلام لكن انطباعه (بشأن الأحاديث) كان “جيدا”، وبالتالي فإن انطباع المشاهدين لا بد أن يكون جيدا”.
ويبدو أن زوار موقع يوتوب يتفقون معه فيما ذهب إليه إذ أن ما يربو على مليوني مشاهد شاهدوا حلقات الفيديو التي بثتها على موقع يوتوب.
وتضم هذه الحلقات تسجيلات لها إضافة إلى مساهمات من موسيقيين وكوميدييين مختلفين ومواطنين أردنيين.

সম্রাজ্ঞী রানীয়া আল আবদুল্লাহ জর্ডানের রাজধানী আম্মানের একটা বৃহৎ কার্যালয়ে বসেন যেখানে তার দিকে নিবন্ধ থাকে তিনটা ক্যামেরা। প্রথম ও দ্বিতীয় ক্যামেরা বিবিসির এবং অন্যটি তার অফিস স্টাফদের। তিনটে ক্যামেরায় তার সর্বশেষ অনুষ্ঠান ধারণ হচ্ছিল যা ভিলগ নামে ইউটিউবের একটা বিশেষ চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। গত মার্চে ইউটিউবে সম্প্রচার শুরু হবার পর থেকে এটা ৭ম পর্ব। ভিডিওটিতে তিনি ইংরেজীতে কথা বলেন এবং দর্শকদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে আরব বিশ্বের গৎবাঁধা জীবন সম্পর্কে বিবৃত করতে আহবান জানায়। তার উদ্দেশ্য একটার পরে একটা করে এইদিকগুলো তুলে ধরা।
হয়তো জর্দানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর স্ত্রী একমাত্র ইউটিউব ব্যবহারকারী জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব নয় যার রয়েছে লাখ লাখ দর্শক। বিভিন্ন দেশের আরো অনেক রাজনীতিবিদ ও সম্রাট রয়েছে যাদের ইন্টারনেটে নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে।
কিন্তু সম্রাজ্ঞী রানীর যে বিষয়টা অনন্য তা হলো তিনি একমাত্র আরব ব্যক্তিত্ব যিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন পশ্চিমের সাথে বিনিময় নির্মাণ এবং একটা মধ্যপন্থী ইসলামী মতবাদ পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য। সম্রাজ্ঞী রানীয়া মজা করে বলেন, “আমার কিশোর পুত্র খুবই শান্ত স্বভাবের এবং প্রকৃতিগতভাবেই স্বল্পভাষী। তার দৃষ্টিতে আমার বক্তব্য ভাল। এজন্য আমিও মনে করি দর্শকদের ধারণাও ভাল হবে নিশ্চয়।”
মনে হতেই পারে যে ইউটিউব পরিদর্শনকারীরা সম্রাজ্ঞীর পুত্রের অভিমতের সাথে একমত যেহেতু এ পর্যন্ত বিশ লাখ দর্শক ইউটিউবে সম্প্রচারিত ভিডিওটি দেখেছে যেখানে সম্রাজ্ঞীর সাথে অসংখ্য সংগীতশিল্পী, কৌতুকাভিনেতা এবং নাগরিকও যোগ দিয়েছে।

নিবন্ধটিতে আরো বলা হয়ঃ

وأتاح ظهور الملكة رانيا على الشبكة العنكبوتية لها إمكانية تلقي انتقادات الملايين من الناس.
وأسرت الملكة لي قائلة ” عندما قلبت في ذهني فكرة بث تسجيلات لي على موقع يوتوب، نظر إلي بعض الناس وكأنني فقدت صوابي تماما”.
وتابعت قائلة “أشعر أن عالمنا يعيش أزمة في الوقت الراهن؛ فالعنف حل محل الحوار والغضب حل محل العطف”.
ومضت قائلة “آمل أن تصبح هذه القناة قناة اتصال وتواصل بين الشرق والغرب لأنني أعتقد جازمة أن عالمنا في أمس الحاجة إلى ذلك”.
ইন্টারনেটের নিজস্ব চ্যানেলে আবির্ভূত হয়ে সম্রাজ্ঞী রানীয়া নিজেকে লাখো মানুষের সমালোচনার মুখোমুখি করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, “যখন এই ধারণাটা আমার মাথায় এলো, তখন কিছু মানুষ এমন ভাবে আমাকে দেখতে শুরু করলো যেন আমি পাগল হয়ে গেছি।”। তিনি আরো বলেন, “আমার দৃষ্টিতে বিশ্ব বর্তমানে এক দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছে, সংলাপের বদলে সহিংসতা এবং সমবেদনার বদলে ক্রোধ জায়গা করে নিয়েছে। আশা করছি এই চ্যানেল যোগাযোগ স্থাপনের একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে এবং পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সংগোগ সাধন করছে কারণ আমি ঐকান্তিকভাবে বিশ্বাস করি আমাদের বিশ্বে এমন প্রয়াসের ভীষণ প্রয়োজন।

সম্রাজ্ঞী রানীয়াকে অনুসরণ করতে হলে দেখুন তার চ্যানেলে

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .