সুদান: সামি আল-হাজ্ব মুক্ত, খার্তুম আক্রান্ত

এই পরিক্রমা আলোকপাত করবে সুদানের ব্লগোস্ফিয়ারে সাম্প্রতিক সময়ের বহুল আলোচিত দুটি ঘটনা নিয়ে।

চলুন শুরু করা যাক, সুদানের আল-জাজিরার সাংবাদিক সামি আল-হাজ্ব এ গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া নিয়ে যেখানে তিনি বিনা বিচারে ছয় বছর আটক ছিলেন ।

ইমান সত্যিকার অর্থে খুশি:
إنتو حاسيـــن بالأنا حاسة بيهه؟؟
هل إنتو مبسوطيــــن زيي كدة؟؟؟

তিনি তাকে বলছেন “তুমি কি বুঝতে পারছ আমার কেমন লাগছে? তুমিও কি আমার মতো খুশি?”

দ্রিমার এ বিষয়ে কিছু বলার ছিল:

আমি এ বিষয়ে খুব সহজ অবস্থান নিয়েছি। তাকে নিরপেক্ষ বিচারের সম্মুক্ষীন করা হোক, যদি সে দোষী হয় যতদিন তার প্রাপ্য ততদিনই সাজা হোক। আর যদি সে নির্দোষ প্রমাণিত হয় তবে যত দ্রুত সম্ভব তাকে তত দ্রুত মুক্তি দেয়া হোক । এটাই যথেস্ট। ব্যাপারটা শেষ। এটি কি বেশী চাওয়া?

আমজাদ সামির মুক্তি নিয়ে ব্লগ লিখেছিল কিন্তু সে নীচের এই অস্পষ্ট কারণ দেখিয়ে সে তার পোস্ট সরিয়ে ফেলে:

আমি যে বিষয়টি বলতে চাই তা হল দুই রাত আগে সামি আল-হাজ্ব এর সাক্ষাৎকারের পোস্টটি সরিয়ে নিচ্ছি । যে কারণে পোস্টটি দেয়া হয়েছিল তার থেকে ভিন্ন খাতে যাচ্ছিল, তাই সবচেয়ে ভালো সেই দিকের আলোচনা এড়ানোর জন্য এটা সরিয়ে ফেলা কারন ঐ পরিপ্রেক্ষিতের জন্য এই পোস্ট করা হয় নি।
আমরা বিশ্বাস করি সামি আল-হাজ্বকে মুক্তি দেয়া হয়েছে মানবিক কারণে এবং আমরা বিশ্বাস করি সমগ্র পৃথিবীতে সবাই বসবাস করবে শান্তিতে, বর্ণবাদ, ধর্ম এবং রাজনীতির পরিবর্তে।
ধন্যবাদ 🙂

ডানা, মুক্তির খবর শুনে ইমান এর মতোই খুশি:

সামি আল-হাজ্ব মুক্ত……… ৬ বছর গুয়েতানামো বে তে থাকার পর। আমি কখনই এতো খুশ হইনি।

এখন আমরা, সুদানের রাজধানী খার্তুম আক্রান্ত হবার খবরের দিকে নজর দিব।
দৃমা তার ব্লগে বিস্তারিত বিবরণ জানিয়েছে সেখানে কি ঘটেছিল:

দারফুরিয়ান বিদ্রোহী দল সমতা এবং ন্যায়বিচার মুভমেন্ট গত দু দিনেরও কম সময় আগে খার্তুমে একটি জোড়াল আক্রমণ করে কিন্তু সুদানের সামরিক বাহিনী তাদের শহরের সীমানা প্রান্তেই থামিয়ে দেয়। হেলিকপ্টার এবং আকাশ পথে বোমা নিক্ষেপকের ব্যবহার সহ এটা একটা বড় যুদ্ধ ছিল ।
….. এই সাহসী আক্রমণ নিয়ে সুদানে পক্ষে-বিপক্ষে (প্রধানত দক্ষিণ সুদান এবং কিছু দারফুরিয়ান) মিশ্র এবং উত্তপ্ত আবেগের প্রকাশ ঘটেছে।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই আক্রমণ দৃঢ় ভাবে নিন্দা করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘেরও নিন্দা জানাই। আমি খুশি যে তারা এটি পরিষ্কার করল যে, তারা এরকম আচরণ আশা করে না। এটা মনে রাখা দরকার, দারফুর এর জন্য সমন্বিত শান্তি চুক্তি এবং রাজনৈতিক সমাধান বাস্তবায়নের জন্য সকল প্রচেষ্টা চলছে।

এন্ড্রু হেভেনস, খার্তুমে বসবাসরত একজন মুক্ত লেখক, খার্তুমে হামলার সম্ভাব্য কারণের একটি চমৎকার তালিকা তৈরি করেছেন:

১. জেম এ সংবাদ এর শিরোনাম হওয়ার জন্য পিআর এমন আক্রমণ করেছে ।
২. দারফুর দুর্ভোগ এর বদলা হিসেবে খার্তুমে দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য।
৩. খার্তুমকে অবজ্ঞা করার জন্য এবং এর নিরপত্তা ব্যবস্থাতে কিছু ফাটল ধরানোর জন্য ।
৪. এন-জামেনায় খার্তুমের দুই পৃষ্ঠপোষক বিদ্রোহীদের উপর আকস্মিক আক্রমণ, চাঁদের পৃষ্ঠপোষকের বদলা নিতে ।
৫. এই আক্রমণ পাগল, ক্ষমতালিপ্সু যুদ্ধবাজের।
৬. দারফুর শান্তি প্রক্রিয়ার সমোঝোতা বা অপারেশন লংগ্রাম ভাংগতে।
৭. যখন জিইএম আল জেনিয়ার উপর আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন মনযোগ ছেদ।
৮. একটি সত্যিকার অভ্যূত্থানের প্রচেষ্টা
৯. অভ্যুত্থানের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সেনাবাহিনী এবং বিরোধীদের সামর্থের পরীক্ষা ।
১০. রাজধানীতে গন্ডগোল লাগিয়ে সারাদেশের আইন শৃংখলার অবনতি করা।

কিজি দাবি করেছে যে সরকার পিছিয়ে গেছে:

বিদ্রোহীরা রাজধানীতেই আছে । বিদ্রোহী রাজধানীতে আছে। হ্যাঁ, নির্দোষ সাধারণ মানুষের মরতে যাচ্ছে এবং রাজধানী ধ্বংস করতে চাচ্ছে, যা কোন ভাবেই দারফুরে সঙ্কট কাটাতে সাহায্য করবে না । কিন্তু এইটিই ঘটতে যাচ্ছে আজ কিংবা কালই, যে কোন সময় ।
কি করার আছে ?
আমাদের এই মুহুর্তে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজন এবং বাসিরের থেমে যাওয়া উচিত । এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আগামী বছরের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত ২০০৯ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ।
সরকার যদি এটাকে গুরুত ্বসহকারে না নেয় এবং দারফুর শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করে তবে সারাদেশ অবরুদ্ধ হয়ে যাবে ।
যদি সচেতন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সুদানের ব্যাপারে সদয় হন তবে তাদের সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য চাপ দেয়া উচিত ।

সে আক্রমণের পরমুহুর্তের নিম্নলিখিত ছবি ও পোষ্ট করেছিল:
১
2
3
4

এর মধ্যের জন একেক দক্ষিণ সুদানে শান্তির সম্বন্ধে একটি দীর্ঘ লেখাপ্রকাশ করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .