আইএসআইএস এগিয়ে যাচ্ছে ইরাকে, প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বাহরাইনে

ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) হচ্ছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার ইরাক শাখার একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী দল। ইরাকে আইএসআইএস এর এগিয়ে যাওয়ার সমর্থন হিসেবে মনে মনে কি উপলব্ধি করা হচ্ছে তা দেখাতে বাহরাইন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা টুইটারকে বেছে নিয়েছেন।

বাহরাইন সরকারের একজন নারী প্রতিনিধি এবং তথ্য মন্ত্রী সামিরা রজব গত ১১ জুন তারিখে টুইট [আরবি] করেছেনঃ  

আমি আশা করছি, আমার কথা ভুল প্রমাণিত হোক। কিন্তু স্বাধীনতা এবং মর্যাদার জন্য ইরাকি জনগণের আকাঙ্ক্ষার গলা টিপে ধরতে প্রচার মাধ্যমে আইএসআইএস এর নাম ফলাও করে সম্প্রচার করা হয়েছে। 

শিয়া অধ্যুষিত ইরাকি সরকারের বিরুদ্ধে এই জঙ্গি গ্রুপটি তাদের “বিপ্লব” চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন, তাঁর এই বক্তব্যে সুন্নি চরমপন্থী সংগঠন আইএসআইএস এর প্রতি তাঁর সহমর্মিতা প্রকাশ পেয়েছে। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলের শাসন ভার গত ১০ জুন তারিখে আইএসআইএস দখল করে নেয়ার পর থেকে অনেকগুলো ছোট ছোট শহর এবং শহরতলী তাঁদের দখলে চলে যায়। গ্রুপটির সশস্ত্র বাহিনী ক্রমাগত রাজধানী শহর বাগদাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। 

একই দিনে মিসেস রজব আরেকটি টুইট [আরবি] করে বলেছেনঃ 

আনবারে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি হয়তোবা অবিচার এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি বিপ্লব, যা সমগ্র ইরাক জুড়ে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। ইরাকিরা আর এভাবে অপমানিত হতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে না এবং আর অবিচার সহ্য করবে না। 

শুরা (পরামর্শমূলক) কাউন্সিলের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ডঃ শেখ খালিদ আল খলিফা। তাকে স্বয়ং রাজা এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, আইএসআইএস হয়তোবা ইরাকে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। তিনি টুইট [আরবি] করেছেনঃ 

গত তিন বছরে সিরিয়াতে আইএসআইএস এর কোন কারাবন্দী পাওয়া যায়নি। তাহলে ইরাকে কি করে আইএসআইএস এর কারাবন্দী থাকবে? ইরাকে কি আসলেই আইএসআইএস আক্রমণ করেছে? 

আরব বিশ্বকে ধ্বংস করতে এবং এটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চক্রান্তকারীদের প্রতি ইঙ্গিত করে আরেকটি টুইটে [আরবি] তিনি বলেছেনঃ  

স্বার্থে ছেদনঃ আরব দেশগুলো এবং ইসরাইলের উপর ইরানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলটিকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে এবং এখানে দলাদলি সৃষ্টি করতে চায়। সন্ত্রাস দমনের  অজুহাত দেখিয়ে আমেরিকা এবং ইরান একযোগে আক্রমণ চালাতে চায়।

আরেকটি টুইটে ডঃ আল খলিফা লক্ষ্য করেছেনঃ 

ইরাকের এই যুদ্ধে ইরানকে টেনে আনা উচিৎ। ইরাককে একা ছাড়া উচিৎ নয়। নতুবা যুদ্ধটি সমগ্র উপসাগরীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। [নিজেকে] প্রতিরক্ষা করার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে অন্যকে আক্রমন করা। সৃষ্টিকর্তা ইরাককে রক্ষা করুন। 

“খোলা নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে” সেখান থেকে শুধুমাত্র বিদেশি কূটনীতিকদেরকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে ইরাকের উদ্বেগ নিয়ে দেশটি দাপ্তরিক ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .