ম্যাকডোনাল্ডস বর্জনে উৎসাহ এবং ম্যাকসিদ্ধান্ত আপন করার অনুরোধ করলেন কোরিয়ান প্রবীণ লোকেরা

কোরিয়ান প্রবীণ লোকেরা প্রতিদিন ম্যাকডোনাল্ডসে ঘোরাঘুরি করে অলস সময় কাটাচ্ছে বলে তারা নিউ ইয়র্ক সিটিতে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সেখানে তারা শুধুমাত্র ফ্রাই বা কফির অর্ডার দিচ্ছেন। ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটানোর কারণে তাদেরকে রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেয়ার পরে কোরিয়ান সম্প্রদায়ের কয়েকজন রেস্তোরাটি বর্জনের ডাক দিয়েছে।

ম্যাকডোনাল্ডসে বয়স্কদের জায়গা দখল নিয়ে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের করা রিপোর্টটি সারা সপ্তাহান্ত জুড়ে গুঞ্জন তৈরি করেছে। ম্যাকডোনাল্ডসও চট জলদি এই রিপোর্ট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। “ম্যাকসিদ্ধান্ত!” নামক একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার মাধ্যমে তাঁরা সোমবার নাগাদ এই আগুন নেভাতে পেড়েছে। তারা বয়স্কদেরকে কম কর্মব্যস্ত সময়ে কয়েক ঘন্টা বসতে দেয়ার সময় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমনকি তারা প্রবীণদেরকে রেস্তোরাতে আনা নেয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা দিতে স্থানীয় প্রবীণ কেন্দ্রগুলোর সাথে সহযোগীরূপে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

তথাপি, পৃথিবীর অন্যতম একটি জনবহুল এবং ব্যস্ততম শহর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ফাস্টফুড দোকানগুলোতে যারা বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদেরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকতে দেখে অভ্যস্ত, তারা বুঝতে পারবে ম্যাকডোনাল্ডসের পক্ষে এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া কতোটা কঠিন হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অনলাইন ব্যবহারকারীদের কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া এখানে উল্লেখ করা হলঃ 

Image by Flicker User Kansir (CC BY 2.0)

ছবিঃ ফ্লিকার ব্যবহারকারি কান্সির (সিসি বাই 2.0)

ম্যাকডোনাল্ডসের চরম ব্যর্থতা। সত্যিকার অর্থে আমি আশা করি লোকজন এই সমীকরণে কোন ‘বর্ণবাদ’ টেনে আনবে না। ব্যাপারটি এমন নয় যে তাদের বর্ণ বা জাতীয়তার জন্য তাদেরকে রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। যারা বিষয়টিতে জোর দিয়ে বলছেন, ‘কোরিয়ানদের’ রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে। এটি খুব নোংরা এবং খুবই বিব্রতকর। আমি বুঝতে পেরেছি কেন এমন ঘটনা ঘটেছে।

নিউ ইয়র্কে ম্যাকডোনাল্ডসের বর্জনকে আমি সোল্লাসে সমর্থন করতে পারছি না। কারন, তারা যেভাবে এই সমস্যাটির মুখোমুখি হয়েছে তা বেশ বৈশিষ্ট্যসূচক। সিউল শহরের জংমিও এলাকাটিতে অনেক বয়স্ক লোক বাস করেন, যারা ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটান। এটি কোন কোরিয়ান “সংস্কৃতি” নয়, তবে কোরিয়ান সমাজের একটি সমস্যা। এটি বেশ শোচনীয় যে তারা এটিকে তাদের সামনে হাজির করেছে এবং অন্য একটি দেশে এর পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। 

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নিউ ইয়র্কের কোরিয়ান প্যারেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি তাদের সন্দেহের তীর নিক্ষেপ করেছে। কোরিয়ান প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশন হচ্ছে এমন একটি গ্রুপ যারা এই বর্জন দাবি উত্থাপন করেছে । তারা এ প্রশ্নও তুলেছে যে, তারা কি আদৌ সমগ্র কোরিয়ান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম কিনা ? এই দলের কেউ কেউ, উল্লেখযোগ্যভাবে এই গ্রুপের নারী সভাপতিরাই মাঠের উভয় পাশে অবস্থানকারী চরম আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা গত শরৎকালে নিউইয়র্কে নিপুণভাবে ঘটানো নির্বাচন কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে আয়োজিত একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচীকে লজ্জাস্করভাবে বাঁধা দিয়েছে। ব্যবহারকারী @হিপ্পিটেক [কোরিয়ান] লিখেছেনঃ

자극적인 제목으로 민족성 자극하는 저질 기사. 한인사회 발끈한 적 없습니다. 몇몇 노인들이 진상짓 했을뿐

আমি অনেকগুলো সংবেদনশীল, মূল্যহীন রিপোর্ট দেখেছি, যেগুলোতে সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে উস্কে দেয়া হয়েছে। না। [এই ম্যাকডোনাল্ডস ঘটনা] এটি কোরিয়ান সম্প্রদায়কে রাগিয়ে তুলতে পারবে না। এটি শুধুমাত্র মুখে রুজ লাগানো কয়েক জন বয়স্ক নাগরিকের সৃষ্ট একটি পরিস্থিতি মাত্র। 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .