দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ক্যালিফোর্নিয়ার দানব স্কুইড এর ছবিটি আসলে নকল

image widely circulated on the

ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি। গত ১০ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে ছবিটি প্রথম লাইটলিব্রেইসেডটারনিপ.কম সাইটে দেখা যায়।  

দৈত্যকার স্কুইডের এই নকল ছবিটি অনেক ভাষায় অনূদিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। মূলত, লাইটলি ব্রেইসেড টারনিপ নামের একটি বিদ্রুপাত্তক খবরের ওয়েবসাইটে পাওয়া এই ছবিটির বর্ণনায় লিখা ছিল, “দৈত্যকার এই স্কুইডটি ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে পাওয়া গেছে এবং বিজ্ঞানীরা এটিকে তেজস্ক্রিয়তার অস্বাভাবিক ফলাফল বলে সন্দেহ করছেন।” এই ধরণের বড় সামুদ্রিক জীবের অস্তিত্বের জন্য সেখানে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক দুর্ঘটনাকেই দায়ী করা হয়েছে।   

দৈত্যকার স্কুইড (জেনাস:আরকিটেউথিস) একটি বড় ও গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী স্কুইড, যেগুলো স্বাভাবিকভাবেই ১৩ মিটার (৪৩ ফুট) পর্যন্ত বড় হতে পারে। জাপানিজ ব্লগার পিয়োহিকো ছবিটির ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে অনলাইনে তদন্ত [জাপানিজ] চালালে দ্রুত ছবিটির প্রকৃত স্বরূপ উৎঘাটিত হয়।  

তিনি গুগলে “দৈত্যকার স্কুইড” এর ছবির জন্য অনুসন্ধান চালান এবং প্রকৃত দৈত্যকার স্কুইডের ছবি পেয়ে যান: 

image of giant squid posted in Xinhua news

জিনহুয়া নিউজে এই দৈত্তকার স্কুইডের ছবিটি পোস্ট করা হয়। ছবিটি তুলেছেন এন্রিক তালেদো, যিনি সমুদ্রের ব্যাপারে প্রতিবেদন তৈরিতে সিদ্ধহস্ত।  

10秒ぐらいで見つけてしまいました!!
なんだか似てると思うのですが、気のせいでしょうか?

এটা খুঁজে পেতে আমার মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় লেগেছে !!

ছবিটি আমার কাছে অনুরূপ মনে হয়েছে, আপনাদের কাছে নয়?

এছাড়াও ফটোগ্রাফার মাসাহিরো আরিজা ও [জাপানিজ] লক্ষ্য করেছেন, ছবিটি জাল ছিল। তিনি উল্ল্যেখ করেছেন, দৈত্যকার স্কুইডের ছবিটির সাথে দর্শকরা ২০১১ সালে ফোরথমিডিয়া ডট অরগে আপলোডকৃত নিচের ছবির কাকতালীয় মিল খুঁজে পাবেন: 

image from 2011 on

ছবিটি ৩ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে তোলা হয়েছিল, যেটি ফোরথমিডিয়া ডট অর্গে প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চিলিতে একটি মৃত তিমি পাওয়া গেছে।

নকল ছবিটি ফেসবুকে কিভাবে এত তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ল সে ব্যাপারে আরিজা [জাপানিজ] মন্তব্য করেছেন: 

このフェイク写真、驚いたことにフェイスブックで物凄い勢いで拡散している。
9日のお昼頃にネット新聞のページを見たとき、いいね!は1300だったのに、その夜にはなんと2万に達していた。イカが放射線によって巨大化したことを信じて不安になる人も多いようだ。
このでたらめ記事が、冗談で書かれたのかそれとも悪意があるのかは分からないが、事実として受けとっている人が少なくない。ネットという空間で嘘と不安が拡大されて、世界中に広まっていくのを、現在進行形で見ているところだ。

জাল ছবিটি আশ্চর্যজনক গতিতে ছড়াচ্ছে [একটি দৈত্যকার স্কুইড যেটি সান্তা মনিকার তটরেখা বরাবর ডাঙায় ভেসে আসা]। গত ৯ জানুয়ারী তারিখে দুপুর বেলা অনলাইন সংবাদে আমি যখন এটা দেখি, তখন সেটা শুধুমাত্র ১৩,০০০ জনের ফেসবুক পছন্দের তালিকায় ছিল। তবে রাতারাতি, এটা ২০,০০০ জনের পছন্দে উপনীত হয়। এটা দ্বারা মনে হচ্ছে, বিকিরণের কারণে একটি স্কুইডের অস্বাভাবিকভাবে বৃহদাকার হয়ে ওঠার সংবাদ অনেক মানুষ বিশ্বাস করেছেন ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

এই মিথ্যা সংবাদটি একটি তামাশা হিসাবে নাকি পঙ্কিল অভিপ্রায়ে লিখা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়, কিন্তু অনেক মানুষ সত্য হিসাবে খবরটি গ্রহণ করেছেন। আমি পর্যবেক্ষণ করছি, ইন্টারনেট কিভাবে একেবারে মিথ্যা তথ্য এবং উদ্বেগ সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে।  

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .