সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী আজ [৩০ জুলাই] কাতিফে আব্বাস আল-মাজরাকে গ্রেপ্তারের জন্য আওয়ামিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়েছে। ২০১১ সালের তথাকথিত আরব বসন্তের প্রারম্ভে বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য সরকার যে ২৩ জন ব্যক্তির একটি তালিকা করে সেখানে আল-মাজরার নাম ছিল। গ্রেপ্তার অভিযানটি ভোর ৫ টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত চলে।
বাহিনীটি আল-মাজরার বাড়িতে ভারী গুলি বর্ষণের মাধ্যমে অভিযান চালায়, যা একটি আগুন জ্বালানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এর ফলে বাড়ি এবং গাড়ির আশেপাশে সব পুড়ে যায়। প্রতিবেশী কিছু অফিসও এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। টুইটার ব্যবহারকারীদের অনুযায়ী, দমকলকর্মীরা প্রায় দুই ঘন্টার বেশি সময় ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে।
ইউটিউবে আপলোড করা এই ভিডিওটি অভিযানের পরবর্তীকালের ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য দেখায়:
আব্বাস আল-মাজারা সহ তার ছয় ভাইকে গ্রেফতার করা হয়।
ডাঃ রিমা এই টুইটটি শেয়ার [আরবী ভাষায়] করেছেন:
#تدمير_زارة_العوامية حرقوامنزله وسيارته مصدررزقه،ربطوا اخوته واعتقل #عباس_المزرع دفاعابعد ان دافع عن امه pic.twitter.com/qQod5QlRNh
— Dr Reema (@DrReema2013) July 29, 2013
তারা তার ঘর ও গাড়ী এবং তার আয়ের উৎস জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়াও তার ভাইকে বেঁধে রাখে এবং আব্বাস আল-মাজারাকে গ্রেপ্তার করে।
এটি আরও রিপোর্ট করেছে যে, আল-মাজারার মা, চাচী ও বোনকেও আওয়ামিয়া পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাদের কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর মুক্তি দেওয়া হয়।
আবাসিক এলাকায় ইচ্ছামত ফায়ার করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর এটি প্রথম আক্রমণ নয়। গত মাসে, তারা কাতিফে আলী আল-মাহ্রুস এবং মরসি আল-রেবাহকে হত্যা করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, সরকারী সংবাদ সংস্থা স্পা [আরবী ভাষায়] আব্বাস আল-মাজারা এবং অন্য আটটি পুরুষদের মাদক পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং এ কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে যে ২৩ জন ব্যক্তিকে বিশৃঙ্খলা এবং দাঙ্গার জন্য দায়ী করা হয় এবং কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকে নিজেদের হাতে তুলে দিতে বলে। তাদের অনেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেন যে তাদের একমাত্র অপরাধ হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিবাদ করা । মুসলিম শিয়া উপদল হিসাবে সম্মুখীন হওয়া এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাতিফের অধিবাসিরা অভিযোগ করেছেন। কিন্তু সরকার এই ধরণের বৈষম্যের কথা অস্বীকার করেছে।
গত মার্চ ২০১১ থেকে অন্তত ২০ জন নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক পূর্ব প্রদেশে নিহত এবং ৮৫০ জন গ্রেফতার হয়েছে। এখনও প্রায় ১৯০ জন রয়েছে কারাগারে।