বিশ্ব দৌড়বিদ জর্ডানে এসেছেন

ড্যানিশ দৌড়বিদ জেসপার অলসেন সারা বিশ্বের চার মহাদেশ পরিভ্রমণ করে দৌড়ানোকে উৎসাহিত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। দৌড় এমন একটি শারীরিক কসরত যা পৃথিবীর সব সংস্কৃতিতেই আছে। জর্ডানে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদুত থমাস লুন্ড সোরেনসেন এটি নিয়ে লিখছেন:

আমি যখন এই লাইনটি লিখছি তথন তুখোড় দৌড়বিদ জেসপার অলসেন রামথা সীমান্ত ফাঁড়ি পার হচ্ছে (আশা করি কোন ঝামেলা ছাড়া)। জেসপার আজ থেকে জর্ডানের ভেতর দিয়ে দৌড়াবেন এবং মিশরের সীমান্ত দিয়ে বের হবেন আগামী ২৪শে ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের একদিন আগে।

অলসন জর্ডানে দৌড়াবেন ডিসেম্বরের ১৮ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড রান টু প্রকল্পের আওতায়। এই প্রকল্পের উত্তর ওবং দক্ষিণের দৌড় বিশ্বের সর্বাধিক লম্বা নিরবিচ্ছিন্ন দৌড়। একজন দৌড়বিদ তিন বছরে চার মাহাদেশের প্রায় ৪০,০০০ কি.মি. রাস্তা পার হবেন। গত পহেলা জুলাই এই দৌড় নরওয়ের নর্ডক্যাপে শুরু হয়েছিল। এর শেষ লক্ষ্য নিউ ফাউন্ডল্যান্ড, কানাডায় পৌঁছুতে তার ২০১০ সালের শেষ পর্যন্ত লেগে যাবে। জর্ডানে আসার আগে জেসপার অলসেন ইতোমধ্যেই ৮০০০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়েছেন।

জেসপারের সাথে আজ দেখা হয়েছিল এবং আমি বলতে পারি তিনি শারীরিক ভাবে ভাল আছেন এবং জর্ডানের আতিথেয়তায় খুবই মুগ্ধ। রামাথা বর্ডার উনি অনায়াসে পার হয়েছেন, তাকে অফিসিয়ালী ‘আহলান ওয়া সাহলান’ (স্বাগতম) বলে স্বাগত জানিয়েছে ইউনিফর্ম পড়া এক দল রক্ষী এবং তাকে ম্যাপ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছিল।

আজ জেসপার আম্মানের জর্ডান স্ট্রীটের কাছে পর্যন্ত এসেছেন। কালকে তিনি আম্মার সাব্বাহ ও অন্যান্য জর্ডানী দৌড়বিদের সাথে জে আর টিভির অফিস পর্যন্ত যাবেন আম্মারের শো “বেইতির” জন্যে একটি স্বাক্ষাৎকারের জন্যে এবং তারপরে দক্ষিণের দিকে এগুবেন। আগ্রহী দৌড়বিদরা যোগ দিতে পারেন তাদের সাথে। জর্ডান টাইমস এবং জাড এর ব্লগে ওয়ার্ল্ড রান প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এটি সত্যিই একটি অদ্বিতীয় এবং বিশাল প্রকল্প এবং অরাজনৈতিক।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .