ইরানের সাবেক টেলিভিশন লেখক এবং প্রযোজক মোস্তফা আজিজি আট বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত

মোস্তফা আজিজি এর এই ছবিটি ইরানে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান শেয়ার করেছে এবং অনুমতি নিয়ে ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছে।

মোস্তফা আজিজি এর এই ছবিটি ইরানে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান শেয়ার করেছে এবং অনুমতি নিয়ে ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছে।

এই পোস্টটি প্রথম ইরানহিউম্যানরাইটস ডট ওআরজি তে প্রকাশিত হয়। ইরানে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান এর সহযোগিতায় এখানে পুনঃপ্রকাশিত হল।

তেহরানি বিপ্লবী কোর্টের ১৫ নম্বর শাখা ইরানের সাবেক টেলিভিশন লেখক এবং প্রযোজক মোস্তফা আজিজিকে আট বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। তিনি গত ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ থেকে কারা ভোগ করছেন। ইরানে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযানের সঙ্গে কথা বলে তার পুত্র এমনটি জানিয়েছেন।

আরাশ আজিজি প্রচারাভিযানকে জানিয়েছেন যে তার পিতা এই সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার আবেদন করেছেন।

মোস্তফা আজিজি “জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সমাবেশ এবং সাজশ” এর জন্য ১ জুন থেকে পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দন্ডিত হন। এছাড়াও “সর্বোচ্চ নেতাকে অপমান করা” এর জন্য দুই বছর এবং “রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার” চালানোর অপরাধে আরও এক বছরের জন্য দন্ডিত হন।

এছাড়াও আরাশ আজিজি প্রচারাভিযানকে জানিয়েছেন, আপিল আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পূর্ব পর্যন্ত তার পিতার আইনজীবী তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, “আশা করছি, তারা আমাদের এই আবেদন গ্রহন করবেন এবং আমার বাবাকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়া হবে। আমরা এটাও আশা করছি যে আপিল আদালত এই রায় বাতিল ঘোষণা করবে।”

৫৩ বছর বয়সি মোস্তফা আজিজি ছিলেন ইরানের সাবেক টেলিভিশন লেখক এবং প্রযোজক। তিনি ও তাঁর পরিবার ২০০৮ সালে কানাডায় চলে যায়। তার অসুস্থ পিতার কাছে থাকতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ইরানে ফিরে আসেন।

নিরাপত্তা এজেন্ট গত ২ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে তাকে গ্রেফতার করে এবং এর পর এভিন কারাগারের আইআরজিসি এর দুই নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি এক বছরের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অধীনে ছিলেন। অবশেষে এভিন কারাগারের আট নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে নেওয়া হয়। তিনি এখনও সেখানেই রয়েছেন। তিনি বর্তমানে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং বাতের অসুখে ভুগছেন।

তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র গত এপ্রিল মাসে প্রচারাভিযানকে বলেছে যে তিনি যদি জানতেন যে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে, তাহলে তিনি ইরানে কখনও ফিরে আসতেন না। “তিনি একজন শিল্পী, কোন রাজনৈতিক কর্মী নন। তিনি একজন শিল্পী যে তার ফেসবুক পাতার মত জায়গায় সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর তাঁর নিজের বিশ্লেষণ ধর্মী মতামত লিখেন, কিন্তু তিনি কোন আইন ভঙ্গ করেননি বা কাউকে অপমানও করেননি।”

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির দ্বারা নিরাপদ ভ্রমণের নিশ্চয়তা পেয়ে ইরানের কয়েক ডজন প্রবাসী ইরান ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, দেশ ত্যাগ ঠেকাতে তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ফেরার পরে তাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছে, কারণ তাঁদের শান্তিপূর্ণ অভিব্যক্তি বা জীবনযাপন পদ্ধতি যার সাথে সরকার একমত নয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .