ফিজির প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জলবায়ু যোদ্ধারা জলবায়ু পরিবর্তন কাজের জন্য একত্রিত হতে প্রস্তুত

ফিজিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জলবায়ু যোদ্ধারা জানেন যে তারা ইতিহাসের কোন পক্ষের অংশ হিসেবে বিবেচিত। এই কাজে সবাইকে নিয়ে গণ যুদ্ধোদ্যম গ্রহণ করা সমগ্র ব্যবস্থাকে ধাক্কা দিতে অন্যতম উত্তম একটি উপায়। এক্ষেত্রে যুদ্ধ-বিরোধী পদযাত্রা কর্মসূচী, পারমানবিক শক্তি-বিরোধী পদযাত্রা কর্মসূচী, নাগরিক অধিকারের জন্য পদযাত্রা কর্মসূচী এবং আরও বেশ কিছু কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। জলবায়ু ন্যায় বিচারের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে যারা পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করেছেন, তাদের সাথে আমরাও একাত্মতা ঘোষণা করেছি। ছবি স্বত্বঃ ফেন্টন লুটুনাটাবুয়া

৩৫০ ডট ওআরজি তে ফেন্টন লুটুনাটাবুয়া কলামটি লিখেছেন। ৩৫০ ডট ওআরজি সংস্থাটি বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ে আন্দোলন করছে। জলবায়ু নিয়ে জনগণের পদযাত্রা কর্মসূচী এবং বৈশ্বিক যুদ্ধোদ্যমে সংস্থাটি নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রচারসূচী শেয়ার করা চুক্তির একটি অংশ হিসেবে এটি গ্লোবাল ভয়েসেসে পুনরায় প্রকাশ করা হল।  

আশা করা যাচ্ছে ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জলবায়ু নিয়ে জনগণের হাঁটা কর্মসুচীতে ১ লক্ষেরও বেশি লোক নিউইয়র্কের রাজপথগুলোতে অংশ নিবে। জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন শুরু হওয়ার দুইদিন আগে কর্মসূচীটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনগণের জলবায়ু যুদ্ধোদ্যমের অংশ হিসেবে এ সপ্তাহ জুড়ে ১৫০ টি দেশে ২ হাজারেরও বেশি সংখ্যক বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। বিজ্ঞানীরা আমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের এই মূহুর্তে জরুরি উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। একে অপরকে দোষারোপ করার মতো যথেষ্ট সময় আর হাতে নেই। এখন কাজ করার সময়, কথা বলার সময় নয়।    

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জনগণের কাছে জলবায়ু সংকট অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি বিষয়। সমুদ্র সীমার উচ্চতা বেড়ে গিয়ে তাদের অস্তিত্ব চরম হুমকির সম্মুখীন। প্রশান্ত মহাসগরীয় দ্বীপগুলোতে অর্থাৎ টোঙ্গা থেকে টুভালু কিংবা টোকেলাউ পর্যন্ত জনগণ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে র‍্যালী করছেন। তারা শুধু কথা শুনতে চান না, কাজ দেখতে চান। অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়লা বন্দর বন্ধ করতে পদযাত্রা কর্মসূচী পালনের পাশাপাশি তারা সেখানে ডিঙি নৌকো সহ ৩০ জন প্রশান্ত মহাসাগরীয় জলবায়ু যোদ্ধাকে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।    

ফিজির প্রশান্ত মহাসাগরীয় জলবায়ু যোদ্ধাদের পাঠানো ছবির একটি ধারাবাহিক নিচে দেয়া হল। জনগণের জলবায়ু যুদ্ধোদ্যমের একটি অংশ হিসেবে তারা তাদের কর্মকান্ডের প্রস্তুতি নিতে ছবিগুলো তুলেছেন।

The Peoples Climate March is part of a larger movement for climate justice. People are doing work in their communities every day to confront climate change, and it is time for us to come together and march. We’re calling for more than climate action, we’re calling for climate justice. We want action that protects the poorest and most vulnerable in our society, and solutions that prioritize those who have born the brunt of the problems.    Photo credit: Fenton Lutunatabua

জলবায়ু সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ হিসেবে পালিত হল জনগণের এই জলবায়ু হাঁটা কর্মসূচী। জলবায়ু পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে জনগণ তাদের সম্প্রদায়গুলোতে প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন। আর এখন আমাদের একসাথে হওয়ার এবং হাঁটা কর্মসূচী পালন করার সময় এসেছে। জলবায়ু কার্যক্রমের চেয়েও আমরা বেশি কিছু চাই। আমাদের জলবায়ু সুবিচার প্রয়োজন। আমরা এমন কার্যক্রম চাই যা সবচেয়ে দরিদ্র এবং আমাদের সমাজের সবচেয়ে অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা প্রদান করবে। পাশাপাশি এমন সমাধান দিবে যা তাদেরকে প্রাধান্য দিবে যারা এই সমস্যার প্রধান ধকল সামলাচ্ছেন। ছবি স্বত্বঃ ফেন্টন লুটুনাটাবুয়া

The People’s Climate March  will be about lifting up the voices of people who are already feeling the impacts of climate change and pollution. We know that people need to be at the heart of climate solutions. The old energy economy put power in the hands of corporations. The new energy economy should put power back in the hands of the people. Photo credit: Fenton Lutunatabua

যারা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণের প্রভাব অনুধাবন করতে পারছেন তাদের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য জনগণের এই জলবায়ু হাঁটা কর্মসূচী পালন করা। আমরা জানি, জলবায়ু সমাধানের অন্তঃস্থলে জনগণকে রাখা প্রয়োজন। পুরনো জ্বালানী অর্থনীতি বিভিন্ন কর্পোরেশনের হাতে ক্ষমতা প্রদান করে রেখেছে। আর নতুন জ্বালানী অর্থনীতিতে কর্পোরেশনের হাত থেকে ক্ষমতা ফিরিয়ে এনে জনগণের হাতে দেওয়া উচিৎ। ছবি স্বত্বঃ ফেন্টন লুটুনাটাবুয়া

It is time show the world that we are coming together. We are demanding something, which we know, is in our reach- a safe future and an economy that works for people and the planet.  Photo credit: Fenton Lutunatabua

বিশ্বকে দেখানোর সময় এসেছে যে আমরা একত্রিত হয়েছি। আমরা এমন কিছুই চাইছি যা আমরা জানি যে আমাদের আয়ত্তের মধ্যেই আছে। আমরা চাইছি একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং একটি অর্থনীতি যা জনগণ এবং এই গ্রহের কল্যাণে কাজ করে। ছবি স্বত্বঃ ফেন্টন লুটুনাটাবুয়া

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .