তিউনিশিয়ার ফেমেন একটিভিস্ট আমিনার কারামুক্তি

১ আগস্ট, তিউনিশিয়ার এক আদালত ফেমেন একটিভিস্ট আমিনা সাবুয়েকে মুক্তি প্রদান করার আদেশ দিয়েছে, যাকে মধ্য তিউনিশিয়ার এক শহর কাইরোয়ান-এর এক কবরস্থানের দেওয়ালে ফেমেন শব্দটি লেখার কারণে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে গ্রেফতার করা হয়। ৩০ মে তারিখে ‘অবৈধ ভাবে’ পিপার স্প্রে (মরিচের গুড়ার স্প্রে) রাখার দায়ে তার উপর জরিমানা ধার্য্য করা হয়। তবে, আরো কয়েকটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়, যে সব অভিযোগের মধ্যে ছিল “একটি অপরাধী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকা” (ফেমেন) এবং “জনতার নৈতিকতায় আঘাত প্রদান”। তাকে এই দুটি অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ২৯ জুলাই তারিখে তাকে মানহানির মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে, তবে তার বিরুদ্ধে এখনো “কবরস্থান অপবিত্র” করার অভিযোগ রয়েছে। .

@তিউনিশ_লাইভ: #ফেমেন একটিভিস্ট #আমিনাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একটা ছাড়া তার বিরুদ্ধে আনা সকল মামলা থেকে তাকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে। আগামীতে এক অনির্ধারিত তারিখে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

অবশেষে, কারামুক্তি। কিন্তু আমরা তখনই সন্তুষ্ট হব, যখন সে অভিযোগ থেকে অব্যহতি লাভ করবে।

Photo of Amina as she walks free. She was released on Thursday afternoon. Photo via Tunisian Girl Facebook page

মুক্তি লাভের পর আমিনার ছবি। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে মুক্তি প্রদান করা হয়। ছবি তিউনিশিয়ান গার্লের ফেসবুকের পাতা থেকে নেওয়া।

আমিনার মুক্তি লাভের খবর যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন তিউনিশিয়ার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টুইটার ব্যবহারকারী যাবেয়ুর মেজরির কথা চিন্তা করে, রাসুল মোহাম্মদকে নিয়ে আকা কার্টুন প্রকাশের দায়ে গত বছর যাকে সাড়ে সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

আমিনা এখন মুক্ত, এবার “ফ্রিযাবেয়ুর” মানে যাবেয়ুরকে মুক্ত করার পানা। তাকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

আমিনা এখন মুক্ত। আমরা তার বিষয়টিকে অস্বীকার করছি না, কিন্তু মত প্রকাশ এবং চেতনার লড়াই জারি রয়েছে।#ফ্রিযাবেয়ুর

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .