ভিডিওঃ ব্রাজিলে এক শিশুর নিরামিষ ভোজনের জ্ঞানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে

[সকল লিঙ্কের সত্ত্ব পর্তুগিজ – ভাষার পেজের] 

তিন-বছর বয়সী লুইজ এন্টনিও – এর একটি ইউটিউব ভিডিও আছে যেখানে সে তাঁর মাকে ব্যাখ্যা করছে, কেন সে দুপুরের খাবারে অক্টোপাসের নচ্ছি খেতে চায় না। ভিডিওটি বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে সর্বাধিকবার দেখা ভিডিও – এর খেতাব জিতেছে

ব্রাজিলের ছোট বাচ্চাটি তর্ক করছে, সে মাংশ খেতে পছন্দ করে না। কারন, “আমরা পশুদের খেয়ে ফেললে তাঁরা মারা যায়” এবং বলেছে, সে প্রাণীদের জীবিত ও সুখী দেখতে ভালোবাসে। সে আরো ব্যক্ত করেছে, আমাদের “তাঁদের খেয়ে ফেলা উচিৎ নয়, তাঁদের যত্ন নেওয়া উচিৎ”।

প্রকৃত ভিডিওটি ১৫ মে, ২০১৩ তারিখে পর্তুগিজ ভাষায় ইউটিউবে আপলোড করা হয়, যা মাত্র দু’সপ্তাহে প্রায় ১,৫০০,০০০ বারের কাছাকাছি দেখা হয়ে গেছে। এটির ইংরেজী সংস্করনটি ২৯ মে প্রকাশিত হয় এবং কেবলমাত্র তিনদিনের মধ্যে তা প্রায় ৯০০,০০০ বারের বেশী দেখা হয়ে গেছে।

এমন একটি দেশ যেখানে খুব সামান্য সংখ্যক লোক নিরামিষভোজী খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত, সেখানে এই ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পরা ভিডিওটি ইউটিউব ও ফেসবুকে নিরামিষ ভোজন সম্পর্কে একটি উত্তপ্ত বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ নির্গত করেছে। কার্লোস অগাস্টো এন্ড্রেড কারনটি ব্যাখ্যা করেছেনঃ

O vídeo viralizou ontem no Facebook, daqueles que todo tipo de gente compartilha: sua mãe, sua tia, seus amigos descolados, os contatos da época do colégio… E apesar de alguns grupos no Facebook e no Youtube terem usado o vídeo para discutir o vegetarianismo, a gente entende que ele viralizou pelo que é, mesmo: um vídeo fofo de uma criança sendo curiosamente eloquente pra sua idade e refletindo sobre algo que nem todos nós nos damos ao trabalho de parar pra refletir.

ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এমন ভিডিওগুলোর একটি যা সবধরনের মানুষের সাথে আপনি শেয়ার করতে পারেনঃ আপনার মা, আপনার খালা, আপনার বন্ধু, যার সাথে আপনি বিদ্যালয় থেকে একত্রে আছেন… এবং যদিও ফেসবুক ও ইউটিউবে কিছু গ্রুপ নিরামিষ ভোজন সম্পর্কে আলোচনা করতে ভিডিওটি ব্যবহার করেছে। আমরা বুঝতে পারছি এটি যে কারনে ছড়িয়ে পরেছে তা হলোঃ একটি ভিডিও যেখানে একটি মিষ্টি বাচ্চা অদ্ভুতভাবে তাঁর বয়সের চেয়ে বেশি বাকপটু এবং এমন একটি বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে যা আমাদের অনেকের মাঝেই বাধা দেয়ার ও প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো প্রভাব বিস্তার করে।

গোলমাল ছাড়া নিরামিষভোজী রান্না” বিষয়ক ইউটিউবের একটি অনুষ্ঠান, ভেজেটারির‍্যাঙ্গো – এর পুরোভাগের প্রধান পাচক ফ্লাভিও গিউস্টি তাঁর ফেসবুক পেজে “ছোট্ট ছেলেটি, যে ইন্টারনেটে সবাইকে ছুঁয়ে গেছে” শিরোনামে স্নেহ-নিবেদন করে একটি ব্যানার প্রকাশ করেছেন। শুধুমাত্র এই ব্যানারটিকে ১,১৪৫ বারের চেয়েও বেশি বার শেয়ার করা হয়েছেঃ

Frase de Luiz Antonio menino vegetariano

লুইজ অ্যান্টনিও – এর দর্শনঃ “আমরা প্রাণিদের খেয়ে ফেললে তাঁরা মারা যায়। আমি এটা পছন্দ করি না। আমি তাঁদের জীবিত দেখতেই বেশি পছন্দ করি। আমাদের উচিৎ তাঁদের দেখাশোনা করা, তাঁদের খেয়ে ফেলা নয়”। 

শিশুটির কথার সরলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে কিছু লোক মাংশ-মুক্ত জীবনধারণ বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেমন ব্লগার ভিভিয়ান জানদোনাদি তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবের সাথেই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। একজন খাদ্য লেখিকা চিন্তায় পরে গেছেন, যদি তাঁর মেয়ে তাঁকে একই ধরণের প্রশ্ন করা শুরু করে তখন তিনি কি করবেনঃ

Fico apreensiva. Quando chegar a minha vez, se a Cata questionar a lógica da cadeia alimentar, não faço ideia do que vou dizer. O Luiz Antonio derrubou meus argumentos.

আমি উদ্বিগ্ন। যখন আমার সময় আসবে, যদি কাটা আমাকে খাদ্য শৃঙ্খলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করে তখন আমি কি বলব, তা সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। লুইজ এ্যান্টনিও আমার যুক্তিগুলোকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।

ভিডিওটির শেষে লুইজ এ্যান্টনিও – এর মা কেঁদে ফেলেন এবং তাঁর ছেলেকে শুধুমাত্র ভাত ও আলুগুলো খেতে বলেন। এসার্টো ডি কন্টাস ব্লগের জন্য গুইলহারমে কারভালহো লিখেছেন, তিনি আশা করেন অন্যান্য বাবা-মায়েরাও তাদের বাচ্চাদের সংবেদনশীলতাকে সম্মান করবেন। তিনি এটাও আশা করেন যে তারা জোর করে বাচ্চাদের মত পরিবর্তন করতে মিথ্যার অবলম্বন করা অথবা নির্বোধের মতো তর্ক করা বন্ধ করবেনঃ

Portanto, em pleno 2013, já é tempo de parar de enganar nossas crianças e abafar seu sentimento de compaixão quando demonstram inclinação para não comer animais. Respeitemos, e valorizemos, essa postura altruísta e compassiva. Ter um filho vegetariano não é um problema, e hoje há ampla literatura científica garantindo os potenciais benefícios desta opção à saúde. O vídeo de Luiz Antonio tem deixado muita gente emocionada — e esperançosa.

তাই, ২০১৩ সালে এসে আমাদের শিশুদের সাথে প্রতারণা করা বন্ধ করার সময় হয়েছে। অন্যের দুঃখে দুঃখ বোধ করার তাদের অনুভূতি, যখন তারা প্রাণী ভক্ষণের আগ্রহ না দেখায় তখন তাদের ইচ্ছাকে দমন করা বন্ধ করার সময় এসেছে। চলুন, এই স্বার্থহীনতা এবং অন্যের দুঃখে দুঃখ বোধকে সম্মান করি এবং মূল্য দেই। শিশুর নিরামিষভোজী হওয়াটা কোন সমস্যা নয় এবং আজকাল ব্যাপক তথ্য প্রমান রয়েছে, যাতে দেখা যায় এই অভ্যাসটির অনেক স্বাস্থ্য উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। লুইজ এ্যান্টনিও – এর ভিডিওটি দেখে অনেকেই নড়ে চড়ে বসেছেন এবং আশান্বিত হয়েছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .