সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

২০১২ সালে সিঙ্গাপুরে ৪,৬৩২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায়র রেকর্ড পাওয়া গেছে। এই বছর ইতিমধ্যে এই সংখ্যা ৯,৮৪৭ ছাড়িয়েছে। ২০০৫ সালের পর দেশটিতে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড

জাতীয় পরিবেশ সংস্থা (এনইএ) ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ‘মশা সম্পূর্ণ বিনাশ করুন’ প্রচার অভিযান চালু করেছে:

সমাজের লোকদের সহযোগিতা ছাড়া বাড়িতে মশার প্রজনন অপসারণ করে সিঙ্গাপুর ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারবে না। এডিস মশা বাড়িতে প্রধানত কৃত্রিম পাত্রের মধ্যে বংশ বিস্তার করে এবং এদের জীবন চক্র গড়ে সাত দিন হয়। তাই প্রজনন চক্র ভাঙ্গার জন্য মশার সম্পূর্ণ বিনাশ করা আবশ্যক।

wipeout

একটি ডেঙ্গু তথ্য পোর্টাল বজায় রাখা ব্যতীত ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার ও সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে এনইএ এর একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। তাঁরা জনগণের মধ্যে ডেঙ্গুর ঘটনাগুলো ক্লাস্টার করার কাজে একটি ম্যাপিং সিস্টেম ব্যবহার করে:

যখন দুটি বা তাঁর বেশী ডেঙ্গুর ঘটনা ১৪ দিনের মধ্যে ঘটে থাকে এবং ডেঙ্গুর শিকার লোকদের বাড়ি ১৫০ মি দুরত্বের মধ্যে অবস্থান করে তখন একটি ডেঙ্গু ক্লাস্টার গঠিত হয়।

জনাব মিয়াগি পাঠকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে নির্মাণ সাইটগুলো ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারি মশার একমাত্র প্রজনন স্থল নয়:

এনইএ বলছে, মশার প্রজননের জন্য উপযোগী অধিকাংশ জায়গাগুলি থাকে বাড়িতে। এখন আমি বলছি না যে, নির্মাণ সাইটগুলো এর জন্য বিন্দুমাত্র দায়ী নয়। কিন্তু ব্যাপারটি হচ্ছে, এর জন্য আপনি কাকে অথবা অন্যান্য সাইটগুলোকে কতটুকু দোষারোপ করতে চান। এর ভেক্টর চক্র ভঙ্গার সমাধান এখন আপনার নিজের হাতে।

আগামী মাসে সরকার সব পরিবারে ১.২ মিলিয়ন কীটনাশকের বোতল বিতরণ করার পরিকল্পনা করেছে। আমার সিঙ্গাপুর খবরের একটি প্রস্তাব আছে: ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হোক।

বিনামূল্যে কীটনাশক প্রদানের পাশাপাশি সমস্ত ডেঙ্গু রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া উচিত। এটি প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিত্সার জন্য এগিয়ে আসতে এবং ভাইরাস বাহকের উৎস বিনিস্ট করতে সবাইকে উৎসাহিত করবে।

Dengue clusters

ডেঙ্গু ক্লাস্টারগুলো 

বেরথা হারিয়ান ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষের সচেতন বাড়াতে একটি ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম পদ্ধতির’ প্রস্তাব করেছেন:

ডেঙ্গুর বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন তৈরীর ব্যবসার মধ্যে অনেক টাকা নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তবে, বাস্তবতা ভিন্ন। যারা ভাবে যে তাঁদের ডেঙ্গু হবে না, তাঁদের চামড়া কাছে পাওয়ার প্রচারাভিযানে সম্ভবত ডেঙ্গু শক সিনড্রোম পদ্ধতির প্রয়োগ করতে হবে।

নিজের জন্য ব্লগিং যুক্তি দেখিয়েছে যে, সংখ্যার ভিত্তিতে ডেঙ্গু সমস্যার প্রতিবেদন তৈরি করা যথেষ্ট নয়:

গল্প এবং বিপদ অনেক ভালো বলা আবশ্যক।

আমার সহজ সম্ভাবনা গণনায় ভুল ছিল কারণ, এটি গল্পটিকে প্রবলভাবে সহজ করে দিয়েছে। আমরা আসলে সূচকের মত একটি পরিস্থিতি খুঁজছি। এই ঝুঁকি জনগণকে ব্যাপকভাবে জানানো হয় না। সামান্য সত্য দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো খারাপ আইডিয়া নয়।

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি নিয়ে নেট নাগরিকদেরও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীদের পর্যাপ্ত দেয় কিনা তা অনলাইন সিটিজেন টেরি জু জিজ্ঞেস করেছেন:

বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৮,০০০ এরও বেশী মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। কেন ডেঙ্গু জ্বর মহামারী আকারে রূপ নিল ? কারণ, রোগীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয় না।

রোগীদের হাসপাতালে রেখে ডাক্তাররা যাতে পর্যবেক্ষন করতে পারেন এমন পর্যাপ্ত শয্যা ব্যাবস্থা হাসপাতালে আছে কি?

লেওং সিজ হিয়ান এবং রায় নেমাগ সরকারের স্বাস্থ্য যত্ন খরচ ও জনস্বাস্থ্য নীতির প্রমাণ দিয়েছেন :

… সিঙ্গাপুরে টানা স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা ও ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আমাদের দেশে শুধুমাত্র বিদেশি এবং স্থায়ী বসবাসের সুবিধা পাওয়া জনগণ নেই। কিন্তু আমদের ​​বিদেশী ঔষধ পর্যটকদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হতে পারে কারণ, তাঁরা উচ্চতর অ-ভর্তুকি ফি পরিশোধ করতে পারেন (এবং কখনও কখনও সারিবদ্ধভাবে সবার সাথে দাঁড়াতে পারে – ভর্তুকি চিকিৎসা চাইছেন এমন সিঙ্গাপুরীদের ক্ষতি করার জন্য)।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .