কাতারঃ নতুন সাইবার আইন অনলাইন স্বাধীনতার জন্য হুমকি হতে যাচ্ছে

সাইবার অপরাধ বিষয়ে কাতার তাই আইন আরো কঠোর করছে, যেখানে সংবেদনশীল সরকারী তথ্য ব্যবহারের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, কিন্তু সম্প্রতি দেশেটির মন্ত্রিসভা একটি খসড়া আইনের অনুমোদন প্রদান করেছে, যেখানে অনলাইনে মত প্রকাশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।

কাতারের রাষ্ট্রিয় সংবাদ সংস্থা,এ ব্যাপারে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছে- (http://www.qnaol.net/QNAEn/NewsBulletin/Pages/default.aspx-এর ২৯ মে তারিখে ক্লিক করে “ক্যাবিনেট”–এ প্রবেশ করুন এবং তাজা সংবাদ খুজে বের করুন:

সাইবার অপরাধের এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কাতারের মন্ত্রীসভা একটি খসড়া আইন অনুমোদন করেছে এবং সেটি উপদেষ্টা পরিষদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই আইনে বিনা অনুমতিতে কোন ইলেকট্রনিক ওয়েবসাইট এবং রাষ্ট্রের যে কোন অঙ্গ সংস্থা, প্রতিষ্ঠানে, কর্তৃপক্ষের কিংবা রাষ্ট্রের সাথে সম্পৃক্ত কোন সংস্থা কিংবা কোম্পানী বা এ রকম প্রতিষ্ঠান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কিংবা পরিচালিত যে কোন ইলেকট্রনিক সাইট অথবা যে কোন তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যম অথবা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, তার সাধারণ নির্দেশ, আভ্যন্তরীণ কিংবা রাষ্ট্রের বাইরে, দেশের নিরাপত্তায় জটিলতা তৈরীর উদ্দেশ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা যে কোন ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করা যাবে।

কিন্তু তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে–অনলাইন বাক-স্বাধীনতা বিষয়ে যখন উদ্বেগ বিদ্যমান–তখন কিউএনএ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে:

“একই সাথে এই আইনে যারা সামাজিক নীতি অথবা মূল্যবোধ বা অন্যথায় প্রকাশিত সংবাদ, ছবি, অডিও অথবা সেটির ধারণকৃত দৃশ্য ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক জীবনের পবিত্রতা নিয়ে হয় তাহলে তাঁকে শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে, এমনকি যদি সেগুলো সত্য হয় অথবা অথবা ইন্টারনেটে অন্য কোন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্যদের দ্বারা লঙ্ঘন করা হয়, সেক্ষেত্রেও শাস্তি প্রদান করা হবে।”

এরপর এই খসড়া আইন সম্বন্ধে আর কোন সংবাদ প্রকাশিত হয়নি, কিন্তু এই বিষয়টি এখন সুস্পষ্ট যে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিসরে কাতারের আপনি কি বলতে পারেন, বা কি বলতে পারেন না, সে বিষয়ে এর ভাষ্য যথেষ্ট অস্পষ্ট।

গত বছর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এক কঠোর সাইবার অপরাধ দমন আইন পাশ করেছে, একটিভিস্টদের ভাষায় যা মত প্রকাশের স্বাধীনতার গলা টিপে ধরবে এবং বাক স্বাধীনতাকে আক্রমণ করবে। আর এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে যে কাতারের আইন একই ধরনের কঠোর হতে যাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে যে সমস্ত প্রতিক্রিয়া এসেছে তা বলাই বাহুল্য, নেতিবাচক:

টুইটারে লেখক ক্রিস্টিয়ান গেরবেররুট বিষয়টিকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছে:

:@জাস্টকুকি১ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় যে– নতুন আইনে একটি শব্দের কারণে আমার তিন বছর জেল হতে পারে http://fb.me/B2pTUWll

আর অন্যরা এক্ষেত্রে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে:

@ স্ক্যাম্পিফ্রাইজ: শঙ্কিত হও, প্রচণ্ড শঙ্কিত হও! কাতারের নতুন সাইবার আইন অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ের উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। http://tmblr.co/ZJn_jxmACWo6

@জনলাপ্রিস: বিষয়টি সমস্যাজনক, কাতারের নতুন খসড়া আইন অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে,। http://dohanews.co/post/51710659718/qatar-new-draft-cybercrime-law-raises-concerns-over#.UacYkrR7UZQ.twitter  ভায়া @দোহানিউজ

(আমার ওয়েবসাইট) দোহানিউজ.কো-এ, নতুন খসড়া আইন সম্বন্ধে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে কাতারের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জোহ লাপ্রিসে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে এই বাড়তি খানিকটা অংশ যোগ করেছে :

“যদি আমি তা সঠিক ভাবে পাঠ করে থাকি তাহলে জাতীয় নিরাপত্তাকে একটি প্রথায় প্রদান করা হয়েছে, যে কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির উপাদানকে নিজের সাইটে বর্ণনা করে অথবা প্রকাশ করে করে , তাহলে তাকে অবশ্যই উক্ত ব্যক্তিদের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে, নতুবা তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।”

আইএমদিএক্সএক্সএক্স নামের আরেকজন মন্তব্যকারী এতে সাড়া দিয়েছেন :

আমি এতে বিস্মিত নই! একমাত্র বিস্ময় হচ্ছে, তারা এখনো ফেসবুক এবং টুইটার ও সকল সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করেনি?
সমালোচকদের দমনে আরেকটি আইন! আর এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে!
প্রতিদিনই সবকিছু উন্নত হচ্ছে !!

এদিকে টুইটারে, ব্লগার এবং ওয়েব ডিজাইনার এক্সটিয়ান ধারণা করছেন, তিনি হয়ত আর বেশী কিছু লিখতে সক্ষম হবেন না:

@এক্সটিয়ান০০১: যখন কাতারের সাইবার অপরাধ আইন পাশ হবে, তখন আর কেউ সরকারী সেবা, রেস্তোরাঁর খাবার, হোটেলের মান নিয়ে কোন নেতিবাচক পর্যালোচনা করতে পারবে না!

সুলতান আল কাশেমীর সাথে আলোচনার সময় আমিরাতের অধ্যাপক আব্দুলখালেক আবদুল্লাহ যুক্ত করেছেন :

@আব্দুলখালেক_ইউএই: @সুলতানআলকাশেমী সকল ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। আরো কড়াকড়ি আরোপের আগে বিষয়টি উপভোগ করুন।

কাজে, যদি আপনি পারেন, আপনার পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসুন!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .