তিউনিশিয়াঃ পেপার স্প্রে মামলায় ফেমেন কর্মীর বিচার

১৯ বছর বয়সী আমিনা টাইলার ছদ্মনামে পরিচিত তিউনিশিয়ান ফেমেন কর্মীকে পেপার স্প্রে মামলায় ৩০ মে বিচারের জন্য আদালতে আনা হবে। আমিনা গত মার্চে ফেসবুকে নিজের বিবস্ত্র ছবি প্রদর্শন করে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।

১৯ মে, আমিনা রাজধানী তিউনিস থেকে ১৮৪ কি.মি দূরে কাইরোয়ানে, কাইরোয়ানে আনসার আল-শরিয়ার [তিউনিশিয়ায় ইসলামী শাসনের দাবিতে একটি সংঘবদ্ধ দল] বার্ষিক সম্মেলনের দাবির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়েছিল। সরকার “নিরাপত্তা ও জনগণের উপর হুমকি” উল্লেখ করে সমাবেশ নিষিদ্ধ করায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে নি। যাহোক, আমিনা তার প্রতিবাদ করেছে এবং ঐতিহাসিক আকবা মসজিদের কাছে একটি কবরস্থানের দেয়ালে ফেমেন শব্দটি লিখেছিল। এরপর যখন স্থানীয় জনতা ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে “দিগেজ” [যাও] বললে নিরাপত্তা কর্মীরা এসে আমিনাকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যায়।

মিডিয়ায় প্রচারিত হলেও, আমিনার বিরুদ্ধে আসলে “অশ্লীলতা” মামলা হয় নি। যাহোক, তাকে অলিখিত পেপার স্প্রে মামলায় ছয় মাস কারাদন্ড ভোগ করতে হতে পারে। অ্যাওয়ার্ডজয়ী ব্লগ নাওয়াত জানিয়েছে যে আমিনার বিরুদ্ধে “কবরের মর্যাদাহানির” জন্য মামলা করা হয় নি, এমন একটি মামলা, তিউনিশিয়ান ফৌজদারী আইন অনুযায়ী যার শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছর কারাভোগ।

তিউনিস বিষয়ক ফরাসি সাংবাদিক পেরিন ম্যাসি জানানঃ [fr]:

Amina sera jugée le 30 mai pour détention sans autorisation d’une bombe de gaz paralysant. L’objet, selon l’un de ses avocats, Me Souheib Bahri, a été retrouvé dans le sac à dos de la jeune fille, sans que l’on puisse savoir si elle comptait l’utiliser comme une arme ou pour se défendre…

Quant à une éventuelle « profanation de tombeaux », elle est simplement mentionnée dans le procès verbal, mais n’a pas été prise en considération par le procureur général et ne fait (pour l’instant) pas l’objet de poursuites judiciaires.

Enfin, contrairement à ce qu’on a pu lire parfois, nulle part il n’est fait mention ni d’une atteinte à la pudeur ni d’une détention d’arme blanche par Amina.

আমিনা ৩০ মে স্প্রে বিচারের সম্মুখীন হবে। তার আইনজীবীদের একজন জনাব শোহেইব বাহরির বক্তব্য অনুসারে, এই তরুণীর ব্যাগে স্প্রে পাওয়া গেছে। আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারি নি যে সে সেটি আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করতে চেয়েছিল কিনা।

সম্ভাব্য “সমাধিক্ষেত্রের মর্যাদাহানি” মামলায় শুধু বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে, কোন সাধারণ বাদী নেই এবং অভিযোগের বিষয় নেই (সাময়িক)।

সবশেষে, কেউ কেউ (সংবাদমাধ্যম) জানিয়েছে, আমিনার বিরুদ্ধে কোন “অশ্লীলতা” বা শীতল যুদ্ধ মামলা করা হয় নি।

নাওয়াত আমিনার সাথে ১৯ মে কাইরোয়ানে তার বিক্ষোভ বিষয়ের একটি সাক্ষাতকারের ভিডিও ফুটেজও (ইংরেজি অনুবাদসহ) প্রকাশ করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .