আরব শহরের হ্যাকাররাঃ মিশরের ফেসবুক ল্যাব ও প্রযুক্তি

সাবিনে এক সাংবাদিক, অন্যদিকে ওফেলিয়া এক সাংবাদিক এবং ভিডিও নির্মাতা: উভয়ে এক সময় ওয়াইনি (গ্লোবাল ভয়েসেস ফ্রান্সের মিডিয়া পার্টনার)-তে লিখেছেন আর বর্তমানে তারা এক ওয়েবভিত্তিক তথ্যচিত্র শুটিং করছে, যেটির নাম “ লে হ্যাকার দ লা সিতে আরব) (আরব শহরের হ্যাকাররা), এই তথ্যচিত্র প্রযুক্তি, অ্যাপ্লিকেশন, হ্যাকার ল্যাব এবং মেকার স্পেস ( হ্যাকার ও যারা প্রোগ্রাম বানায় তাদের মিলন স্থল) নিয়ে , যা কিনা এখন মাগরেব (উত্তর আফ্রিকার আরব অঞ্চল) এবং মধ্যপ্রাচ্যে অনেক গতিশীল এক বিষয়।

ওফেলিয়া নুর (বামে) এবং সাবাইনে ব্লশ (ডানে)

সাবিনে ও ওফেলিয়া সামনে তিউনিশে অনুষ্ঠিতব্য (২৬- ৩০ মার্চ) ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরামে অংশ নিতে যাচ্ছে। সেখানে তারা হ্যাকিং নিয়ে কথা বলবে। পশ্চিমে হ্যাকিং-কে সুযোগের সংস্কৃতির চেয়ে কম-বেশী গিকির (উন্মাদের মত প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি) সাথে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে, এটা বিপ্লবের একটা অংশ, এটাকে সেখানে সংযুক্ত অনুশীলন ও উদ্ভাবন ও এমন এক স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সকলের জন্য উন্মুক্ত নতুন স্পন্দন।

সামনের সপ্তাহগুলোয়, গ্লোবাল ভয়েসেস তাদের লেখার সারাংশ পুনরায় পোস্ট করবে, তিনটি ভাষায় (আরবী, ফরাসী, ইংরেজি) অনুবাদ করবে, এবং আলজেরিয়া, মিশর, তিউনিশিয়া, লেবানন এবং ইরাকের তরুণ ওপেন সোর্স ডেভলপারদের মুখোমুখি হবার বিষয়টি তুলে আনবে। আমরা এই ধারাবাহিক লেখার শুরু করব মিশরের গিজা এলাকার মাহমুদ এল সাফতির লেখা দিয়ে, যিনি সেখানকার অন্যতম এক হ্যাকার স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা।
গিজায় সৃষ্ট হ্যাকারস্পেসে মাহমুদ এল সাফতি

Mahmoud el Safty (Photo Ophélia Noor, reproduite avec son autorisation)

মাহমুদ এল সাফতেই ( ছবি ওফেলিয়া নুর, অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে)

গিজা হ্যাকার স্পেস এবং ফেব ল্যাব ইজিপ্টের এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, মাহমুদ এল সাফতেই। মিশরে প্রথম এ রকম এই দুটি প্রকল্প গিজায় অবস্থিত। কায়রোর উপকণ্ঠে, সদাহাস্য এই তরুণ ইঞ্জিনিয়ার উৎসাহভরে হ্যাকার স্পেস/ মেকার স্পেসের ক্ষেত্রে তার ভাগ্যের বিষয়ে কথা বলছিল।

এই পডকাস্টটি ইংরেজীতে শুনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। নীচে সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রদান করা হয়েছে।

আমি মেকার স্পেস এবং হ্যাকার স্পেস শুরু করা বিষয়ে চিন্তা করতে শুরু করি, যেখানে নাগরিকরা তাদের লব্ধ জ্ঞান তুলে ধরবে এবং তাদের কাছে যে তত্ত্বীয় তথ্য আছে তার অনুশীলন করার জন্য। সমাজে ও শিক্ষা ব্যবস্থায় যার এক বিশাল প্রভাব তৈরী হবে এবং একই সাথে তা মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটবে। যখন নাগরিকদের একত্রিত হওয়া এক আনন্দদায়ক বিষয়ে, কোন পরীক্ষার পড়ার জন্য নয় এমন প্রজেক্টের জন্য যার প্রতি রয়েছে প্রচণ্ড আগ্রহ, সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে তারা তাদের সর্বোচ্চটাই করবে। সম্ভবত, পরবর্তীতে এ রকম একটা অবস্থানে আরো অনেক প্রকল্প এবং ন্টার্টস আপ কোম্পানী (যে সব কোম্পানী মিলিত ভাবে বা সাময়িক ভাবে কোন ব্যবসায়িক মডেল অনুসন্ধান করে) আসবে। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের রয়েছে ওপেন সোর্স পণ্য, সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার, বর্তমানে যা বাজারে সহজলভ্য, যা কিনা হ্যাকার স্পেস ও মেকার স্পেসে থেকে এসেছে।

এখানে টেক্সট এবং শব্দ যুক্ত করেছেন সাবিনে ব্লশ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .