মায়ানমারে কৃষক ও পুলিশের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ

মায়ানমারের মাওপিনে প্রতিবাদী কৃষক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ে এক মহিলাকে পুলিশের আক্রমণের সংক্ষিপ্ত ভিডিও রেকর্ডিং পেসারানিং প্রচার করেছে। এই ভিডিওতে, এক পুলিশ কর্মকর্তা এক মহিলাকে ধাক্কা দিচ্ছে এবং মনে হচ্ছে আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা আক্রমণের চেষ্টা করছে, অনান্যরা তাকে থামানোর চেষ্টা করছে।

মায়ানমারের ইরাওয়াদি বিভাগের মাওপিনে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারীর ১৩ তারিখে ৫০০ জন কৃষক ও ২০০ জন পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একজন পুলিশ নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়। সামরিক সরকার কর্তৃক জব্দকৃত ভূমি থেকে উচ্ছেদে অস্বীকারকারী আন্দোলনরত কৃষকদের পুলিশ যখন ছত্রভঙ্গ করতে যায়, তখন এটি শুরু হয়। কৃষকদের একজন বলেছেন:

আমরা এত নিঃস্ব যে আমরা যদি কিছুই না করি, আমরা খেতে পারব না। সুতরাং আমরা ফিরে যাব না।

পরবর্তী দিন পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় জরুরী অবস্থা উল্লেখ করে সরকারী ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেলায় শান্তি ফিরে এসেছে মর্মে উল্লেখ করেছে।

ইরাবতি সংবাদ সংস্থার মতে, বিগত দুবছর যাবত দেশে ভূমির জন্য প্রতিবাদ বেড়ে চলেছে:

দুবছর পূর্বে সামরিক সরকার যখন আধা বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করল, তখন থেকে বার্মার অনেক জায়গায় ভূমির জন্য প্রতিবাদ শুরু হয়। অনেক কৃষকের কাছে ভূমির মালিকানা সমস্যা মহামারী আকারে দেখা দেয়, কারণ বর্তমান আইনে, খুব কম সংখ্যক কৃষক তাদের ভূমির প্রকৃত মালিক, যদিও তাদের পূর্বপূরুষরা বংশপরম্পরায় ভোগ দখল করে আসছিল।

পল্লীতে ভূমি দখল ও ভূমির জন্য প্রতিবাদের সংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে আই নাই মন্তব্য করেছেন:

রাজনৈতিক সংস্কারের সাথে সাথে বার্মায় যখন ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ হচ্ছে, ভূমি দখলও তখন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞ মতে, দেশের দূর্বল আইন কাঠামোর কারণে ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও দখল বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তদুপরি, সামরিক আইনের অনুপস্থিতিতে উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে স্থানীয় কৃষকরা তাদের ব্যবহৃত ভূমি যা উচ্ছেদ করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .