মারাইভাৎসেদের আদিবাসী যাভান্তেরা ভূমি অধিকারের জন্যে লড়ছে

[প্রথমে এই লেখাটি পর্তুগীজ প্রকাশিত হয়েছিল ১২ই ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে]

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মাতো গ্রাসো রাজ্যের উত্তরে মারাইভাৎসেদে অঞ্চলে বসবাসরত যাভান্তে জাতিগত গোষ্ঠী দখল এবং তাদেরকে তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের প্রচেষ্টারত কৃষকদের হুমকির সম্মুখীন। ১৪ বছর আগে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া জমি বসতি স্থাপনকারী এবং জমি মালিকরা প্রায় পুরোটাই অবরোধ করে রেখেছে। ১৭ই অক্টোবর তারিখে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্তের পরে ৬ই ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে মাতো গ্রাসোর বিচার বিভাগ পিতৃপুরুষের জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের অপসারণের জন্যে আদালতের পরওয়ানা জারির আদেশ দেয়। অপসারণ শুরুর দেড় মাস পরে প্রক্রিয়াটি এখন প্রায় চুড়ান্ত [পর্তুগীজ ভাষায়]।

আদিবাসী সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফেলিপে মিলানেজ লিখেছেন [পর্তুগীজ ভাষায়]:

O território xavante, chamado Marãiwatséde, está no centro de um eixo de escoamento de soja e gado, onde o governo federal quer asfalta a BR-158. O traçado ficaria fora da reserva, e da Ferrovia Centro-Oeste, que liga as cidades de Campinorte (GO) e Lucas do Rio Verde (MT).

A disputa por este território expõe a dificuldade do governo em controlar os conflitos fundiários na Amazônia. Os pequenos posseiros, tradicionais inimigos dos índios na região, deram lugares aos grandes ruralistas – que se negam a deixar o território. A pressão externa tem provocado divisões internas dos Xavantes, que colocam em risco a vida das principais lideranças.

যাভান্তেদের অঞ্চল  মারাইভাৎসেদে সয়া এবং গবাদি পশুর বাণিজ্যপথের মাঝখানে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার বিআর-১৫৮ তৈরী করতে চায়। এই পথটি হবে সংরক্ষিত অঞ্চল এবং ক্যাম্পিনোর্তে (জিও) এবং লুকাস দো রিও ভার্দে (এমটি)  শহরকে সংযুক্ত করা মধ্য-পূর্ব পাইপলাইনের বাইরে দিয়ে।

এই অঞ্চল নিয়ে বিবাদটি আমাজানের মৌলিক দ্বন্দ্ব নিয়ন্ত্রণে সরকারের অসুবিধাকে উন্মোচিত করেছে। অঞ্চলটির আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত শত্রু ক্ষুদ্র জমি মালিকরা অভিজাত গ্রামীণ সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করেছে যারা এলাকা ছেড়ে যেতে চাইছে না। বাহ্যিক চাপে যাভান্তেদের মধ্যে তৈরী হওয়া অভ্যন্তরীণ বিভক্তি তাদের শীর্ষ নেতাদের জীবন সংকটাপন্ন করে তুলেছে।

Aldeia Xavante. Foto de Felipe Milanez, usada com permissão.

যাভান্তে গ্রাম। ছবি, আদ্রিয়ানো গাম্বারিনি/ওপান। অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

এছাড়াও মিলানেজের মতে, সমস্যাটির শুরু হয় ১৯৬৬ সালে অঞ্চলটির আদিবাসী জনগণকে উৎখাতের সঙ্গে সঙ্গে, যাদেরকে এফএবি’তে (ব্রাজিলীয় এয়ার ফোর্স) করে নিয়ে যাওয়া হয় ৪০০ কিলোমিটার দূরে আরেক যাভান্তে অঞ্চলে। সেখানে একটি হাম মহামারীর শিকার হয়ে আদিবাসীদের জনগণের অন্ততঃ ১৫০ জনের মৃত্যু হলে অনেকটা “দেশের ভিতরে অভ্যন্তরীণভাবে নির্বাসিত” হয়ে তারা অন্যান্য আদিবাসী অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মারাইভাৎসেদে অঞ্চল কিনে নেওয়া সাও পাওলোর এক উদ্যোক্তা আরিস্তো দা রিভা’র আগমনের ফলে অঞ্চলটি ১৮লক্ষ হেক্টরের (১৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার) সুইয়া-মিসু এস্টেট হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠে। তারপর সেই জমি বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের হাত বদল হয় রিও ডি জেনিরোর ধরিত্রী সম্মেলন পর্যন্ত। সেই সময়ের জমির মালিক ইতালীয় কোম্পানী – এগিপ পেত্রোল্লি –  আদিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

ঘটনা যেমন ঘটেছে, জমিটি যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয় শুধুমাত্র কৃষক এবং বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার জন্যে, যাদেরকে এখন আদিবাসীদের পক্ষে বিচারিক সিদ্ধান্তের [পর্তুগীজ ভাষায়] মাধ্যমে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১০ই ডিসেম্বর তারিখে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে গ্রিনপিস রিপোর্ট করেছে  [পর্তুগীজ ভাষায়]:

Este é um momento crucial para a desintrusão da terra dos Xavante, processo liderado pela Funai (Fundação Nacional do Índio) e que conta com respaldo de forças policiais.

পুলিশ বাহিনীর সমর্থনের উপর নির্ভরশীল ফুনাই (ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন) এর নেতৃত্বে শুরু করা যাভান্তেদের জমি থেকে দখলদারদের অপসারণের এই প্রক্রিয়ার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এটি।

Indígenas Xavantes. Foto de Felipe Milanez, usada com.

আদিবাসী যাভান্তেরা। ছবি, ফেলিপে মিলানেজ। অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

দখলদার বসতিস্থাপনকারীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ কিন্তু শান্তিপুর্ণভাবে ঘটেনি [পর্তুগীজ ভাষায়]. বসতিস্থাপনকারীরা রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ নির্মাণ করেছে এবং সহিংসতার হুমকি সৃষ্টি করেছে, যেমন সাংবাদিক আন্দ্রেইয়া ফাঞ্জেরেস (@আন্দ্রেইয়াফাঞ্জেরেস) সেপ্টেম্বর ২০১২-তে টুইট করেছেন:

Jornais de MT noticiam hj que invasores de #maraiwatsede bloquearam BR 158 e só vão sair “qdo a justiça suspender a decisão de retirá-los”

আজকে মাতো গ্রাসোর সংবাদপত্র রিপোর্ট করেছে যে #মারাইভাৎসেদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা বিআর ১৫৮ (রাস্তা) অবরোধ করেছে এবং “বিচারক তাদেরকে অপসারনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা”র পরেই কেবল স্থানত্যাগ করেছে।

এনজিও রিপোর্টার ব্রাসিল ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্বলিত একটি দীর্ঘ রিপোর্ট  [পর্তুগীজ ভাষায়] লিখেছে যাতে “কিছু কিছু গোষ্ঠী বিচারিক সিদ্ধান্ত না মানার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটিকে অস্থিতিশীল করে ফেলার চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে” বলে ইঙ্গিত করেছে। এছাড়াও তারা দখলের প্রথম দিনে “রাবার বুলেট এবং গ্যাস বোমা ছূঁড়ে জাতীয় বাহিনীর পশ্চাদপসরণের ঘটনা ভেবে দেখছে:

Os manifestantes apareceram na Fazenda Jordão, onde a operação teve início, no momento em que as forças de segurança realizavam as primeiras abordagens. Segundo a listagem de propriedades do governo, a propriedade onde a confusão aconteceu pertence a Antonio Mamed Jordão, ex-vice-prefeito de Alto Boa Vista, que detém uma das maiores áreas invadidas dentro da Terra Indígena, um latifúndio com mais de 6 mil hectares. Em 2008, Jordão declarou patrimônio de R$ 4,5 milhões. Além dele, outros políticos donos de extensas porções da terra indígena são, ainda de acordo com as listas oficiais do governo, Mohmad Khalil Zaher, vereador em Rondonópolis (MT), Sebastião Ferreira Prado, Sebastião Ferreira Mendes, entre outros. Os latifundiários, representados pela Confederação Nacional da Agricultura e Pecuária (CNA), reclamam da desintrusão e chegam a questionar se as terras são mesmo indígenas (leia nota divulgada nesta terça-feira, 11).

প্রতিবাদকারীরা অপারেশন যেখানে শুরু হয়েছিল সেই জোর্দাও খামারে এলে সেই মুহূর্তে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রথম আবির্ভাব ঘটে। সরকারের সম্পত্তি তালিকা অনুসারে যে সম্পত্তিতে বিশৃংখলা ঘটেছে তার মালিক অল্টো বোয়া ভিস্তা’র সাবেক ভাইস-মেয়র আদিবাসীদের জমিতে ৬ হাজার হেক্টরের এস্টেটবিশিষ্ট বৃহত্তম দখল করা ভূমি মালিক আন্তোনিও মামেদ জোর্দাও। ২০০৮ সালে জোয়ার্দাও একে ৪৫ লক্ষ রেয়াইস (প্রায় ১৮ কোটি টাকা) মূল্যের সম্পদ [পর্তুগীজ ভাষায়] ঘোষণা করেছিল। সরকারী দাপ্তরিক রেকর্ড অনু্সারে, তিনি ছাড়াও,  আদিবাসীদের জমির ব্যাপক অংশের মালিক অন্যান্য রাজনীতিবিদরা হলেন রন্ডোনোপোলিস (এমটি) শহরের কাউন্সিলকর্তা মোহাম্মদ খলিল জাহের, সেবাস্তিয়াও ফেরেইরা প্রাডো এবং সেবাস্তিয়াও ফেরেইরা মেন্দেজ। জাতীয় কৃষি ও পশুসম্পদ কনফেডারেশনের (সিএনএ) প্রতিনিধিত্বকারী জমির মালিকরা অপসারণের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং জমিগুলো আসলেই আদিবাসীদের কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে (১১ই ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার তারিখে প্রকাশিত একটি বিবৃতি পড়ুন) [পর্তুগীজ ভাষায়]।

ইতোমধ্যে ১০ই ডিসেম্বর তারিখে উচ্ছেদের প্রথম প্রচেষ্টায় জাতীয় বাহিনীগুলো কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে অবতীর্ণ হয়ে অনেককে আহত করেছে।

আদিবাসীদেরকে তার সমর্থনের জন্যে ৮৪ বছর বয়স্ক পারকিনন্স রোগী সাও ফেলিক্স দো এরাগুয়েইয়া’র সাবেক বিশপ কাতালান ডোম পেরে কাসালদালিগা’কে (পেড্রো কাসালদালিগা হিসেবে পরিচিত) মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ তার নিরাপত্তার নিশ্চিত করার অজুহাতে তাকে তার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক অপসারণ করবে। বিশপের প্রতি হুমকি সংক্রান্ত সংবাদ সাধারণভাবে ব্রাজিলীয় মিডিয়ার নীরবতার বিপরীতে মূলতঃ স্প্যানিশ [স্প্যানিশ ভাষায়] এবং কাতালান [কাতালান ভাষায়] মিডিয়াতে প্রতিবেদিত হয়েছে।

সাংবাদিক আলাতামিরো বোর্জেস ব্যাখ্যা করেছেন [পর্তুগীজ ভাষায়]:

Segundo o Conselho Indigenista Missionário (Cimi), um grupo de jagunços anunciou abertamente que Dom Casaldáliga “era o problema” da tensa região e que “faria uma visita para ele”. A própria Polícia Federal recomendou a imediata retirada do religioso da cidade devido à vulnerabilidade da humilde residência em que ele vivia há muitos anos. A PF alegou temer por sua segurança, já que a casa nem sequer possui muros e o bispo emérito com a sua saúde debilitada, em decorrência de sofrer do “mal de Parkinson”.

আদিবাসী ধর্মপ্রচারক কাউন্সিল (সিআইএমআই) অনুসারে, একদল গ্যাং সদস্য প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিল যে “তারা তাকে একটি দর্শন দিতে ইচ্ছুক।” তখন বহু বছর ধরে তার বসবাস করা বাড়িটির দুর্দশার কারণে কেন্দ্রীয় পুলিশ ধর্মীয় লোকটিকে অবিলম্বে শহর থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কেন্দ্রীয় পুলিশ দাবি করেছে সাবেক বিশপের ঘরের দেওয়াল না থাকার পাশাপাশি “পারকিনসন্স রোগে” ভোগার ফলে নির্বল স্বাস্থ্যের কারণে তারা তার নিরাপত্তা ভীতি বিবেচনা করেছে।

সাংবাদিকটি আরো ব্যাখ্যা করেছেন যে কাসালদালিগার ব্রাজিলীয় একনায়কতন্ত্রের (১৯৬৪-১৯৮৫)বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এবং সংকটাপন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী্ ও গৃহহীনদেরকে সমর্থনের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এবং তার নির্ভয় এবং সাহসের জন্যে তিনি আবারো ক্ষমতাসীনদের অবজ্ঞার সম্মুখীন:

Ele sempre esteve ligado às lutas das camadas mais carentes da sociedade. Com a guinada conservadora no Vaticano a partir dos anos 1990, o bispo emérito sofreu forte pressão da cúpula da Igreja Católica. Em 2005, ele se aposentou, mas continuou residindo em São Félix do Araguaia e participando dos bons combates na região. Dedicava-se, especialmente, à defesa das comunidades indígenas, perseguidas pelos latifundiários.

তাকে সবসময়েই সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে ভ্যাটিকান রক্ষণশীলতার দিকে ঝুঁকে পড়ার ফলে সাবেক এই বিশপ ক্যাথলিক গির্জার উপরের স্তরের প্রবল চাপের সম্মুখীন হন। ২০০৫ সালে তিনি তার অবসর ঘোষণা করলেও অঞ্চলটিতে ভাল কাজের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সাও ফেলিক্স দো এরাগুয়েইয়া’তে বসবাস করতে থাকেন। তিনি নিজেকে বিশেষ করে জমি মালিকদের দ্বারা নির্যাতিত আদিবাসী সম্প্রদায়কে রক্ষার কাজে উৎসর্গ করেছেন।

কাসালদালিগার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন সংস্থা একটি চিঠি প্রকাশ করেছে [পর্তুগীজ ভাষায়]।

মারাইভাৎসেদে আদিবাসী জমি ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রপতির ফরমানের দ্বারা অনুমোদিত হয়। তারপর থেকে আদিবাসীদের পক্ষে ন্যায়বিচার লাভের বিভিন্ন দৃষ্টান্ত রয়েছে, তবে সম্মান করা হয়নি  [পর্তুগীজ ভাষায়] সেগুলোকে। প্রায় ৮০০  যাভান্তে সংরক্ষিত অঞ্চলের (মাত্র) ১০% দখল করে আছে। অবশিষ্ট ৯০% দখল করে রেখেছে জমির মালিক আর বসতিস্থাপনকারীরা।

Cacique Xavante Damião Paridzane. Foto de Felipe Milanez, usada com permissão.

কাসিকে (নেতা) যাভান্তে দামিয়াও পারিদজানে। ছবি, ফেলিপে মিলানেজ। অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

বিদ্রোহী ভাষায় সাংবাদিক ফেলিপে মিলানেজ (@ফেলিপেডিজেকুয়াকা) [পর্তুগীজ ভাষায়] টুইট করেছেন:

Invadem terra indigena, desmatam a Amazonia, ameaçam de morte um Bispo de 84 anos, fazendas com milhares de ha, descumprem ordem judicial!

[তারা] আদিবাসীদের জমি আক্রমণ করেছে, আমজনকে অরণ্যহীন করেছে, ৮৪ বছর বয়স্ক বিশপকে হুমকি দিয়েছে, হাজার হাজার হেক্টরের খামারে করেছে, [তারা] আদালতের আদেশ লংঘন করেছে!

মারাইভাৎসেদে’র যাভান্তে জনগণ (আদিবাসী) প্রধান দামিয়াও পারিদজানে স্বাক্ষরিত একটি খোলাচিটি প্রকাশ করেছে [পর্তুগীজ ভাষায়] যাতে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে এবং সম্মান জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে (উদ্ধৃতাংশ নীচে প্রকাশিত হয়েছে):

Nesse território, os ancestrais, nossos bisavós viviam em cima da terra. Esse território é origem do povo de Marãiwatsédé. Nessa terra amada foi criado o povo de Marãiwatsédé.

Agora a desintrusão já começou. Os anciões esperaram muito tempo para tirar os não-índios da terra. Sofreram muito. A vida inteira sofrendo, esperando tirar os fazendeiros grandes.

Quem ocupava a terra eram nossos pais, nossos avós, nossos bisavós, que nasceram aqui, cresceram aqui, fizeram festa para adolescente. Lutaram muito, faziam ritual dentro do território de Marãiwatsédé. Nem fazendeiro e nem posseiro viviam aqui antes de 1960.Quem destruiu, foi o índio ou foi o branco? A gente sabe mesmo, foi o branco que destruiu a floresta, essa não é a nossa vida. Nossa vida é preservar a terra, a natureza, os rios, os lagos. É assim que a gente vive, nosso povo respeita nossa mãe e nossa mãe é a natureza. Esperamos tranqüilos a nossa vitória. Dormimos tranqüilos, sonhamos bonito com a vitória da nossa terra.

Antes da retirada de nossa terra, mataram muitos xavantes. Os fazendeiros daquele tempo é muito bandido. Mataram com tiro. Morreu Tseretemé, Tserenhitomo, Tsitomowê, Pa’rada, Tseredzaró, tudo morto com tiro. Não vamos trair o espírito deles.

Essa terra é nossa origem. Os Xingus também protegiam nossa terra, os antepassados dos Kalapapos eram amigos dos antepassados dos xavantes de Marãiwatsédé.Os animais não podem sofrer mais com tanta destruição da natureza. Quando a terra for devolvida para o nosso povo, a floresta vai viver novamente, vão voltar os animais e plantas. Nossa mãe vai ficar muito forte e muito bonita, como sempre foi. É assim que tem que ser.

এই অঞ্চলের পূর্বপুরুষ আমাদের মহান প্রপিতামহরা (এই) জমিতে বসবাস করতেন। এই অঞ্চল মারাইভাৎসেদে জনগণের মাতৃভূমি। এই প্রাণপ্রিয় জমিতে মারাইভাৎসেদে জনগণ জন্মেছে।

এখন আক্রমণ শুরু হয়েছে। গুরুজনেরা জমি থেকে অ-ইন্ডিয়ানদের অপসারণের জন্যে একটি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। তারা অনেক ভুগছেন। তাদের সমগ্র জীবনের ভোগান্তি হলো খামারীদের অপসারণের জন্যে অপেক্ষা করা।

এই জমি দখল করে ছিল আমাদের পিতা, আমাদের পিতামহ, আমাদের প্রপিতামহরা,  তারা এখানে জন্মেছেন, এখানে বড় হয়েছেন, এখানে বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছেছেন। তারা অনেক যুদ্ধ করেছেন, মারাইভাৎসেদে অঞ্চলে  ধর্মানুষ্ঠান পালন করেছেন। ১৯৬০ সালের আগে এখানে কোনো কৃষক বা বসতিস্থাপনকারী বসবাস করতো না। ইন্ডিয়ান বা সাদা মানুষকে ধ্বংস করেছে কে।  আমরা সবাই জানি সাদা মানুষরা বন ধ্বংস করেছে, এটা তো আমাদের জীবনের পথ নয়। আমাদের জীবন ধারণের উপায় হলো পৃথিবী, পরিবেশ, নদী এবং হ্রদ সংরক্ষণ করা। এভাবেই আমরা বাঁচি, আমাদের জনগণ আমাদের মাকে সম্মান করে আর আমাদের মা হলো প্রকৃতি। আমরা আমাদের বিজয়ের জন্যে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি। আমরা শান্তিতে ঘুমাই এবং আমাদের দেশের বিজয়ের সুন্দর স্বপ্ন রয়েছে।

আমাদের জমি থেকে প্রত্যাহারের আগে অনেক যাভান্তে নিহত হয়েছে। সেই সময়ের চাষীদের ছিল খুবই প্রতিহিংসাপরায়ণ। তারা গুলি করে হত্যা করতো। সেসেরেতেমে, সেসেরেনিতোয়ামো, সিসিতোমোওয়ে, পারাদা এবং সেসেরেডিজারোয়া, তারা সবাই  গুলি খেয়ে মারা গিয়েছে। আমরা তাদের আত্মার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবো না।

এই ভূমি আমাদের উৎস। জিঙ্গু জনগণও আমাদের জমি রক্ষা করেছে, কালাপাপোসদের পূর্বপুরুষরাও যাভান্তেস দে মারাইভাৎসেদে’র পূর্বপুরুষ বন্ধু ছিল। প্রকৃতির এমন ধ্বংসের সময় প্রাণীরা বেশি কষ্টভোগ করতে পারে না। আমাদের জনগণের কাছে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হলে বন আবার বেঁচে উঠবে, উদ্ভিদ এবং প্রাণীরা ফিরে আসবে। আমাদের মা খুব শক্তিশালী এবং খুব সুন্দর হয়ে উঠবে, আগে সবসময় যেমন ছিল। এটি অবশ্যই এভাবেই হতে হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .