দায়মুক্তি অবসানের একটি আন্তর্জাতিক দিবস

International Day to End Impunity

২৩শে নভেম্বর তারিখে বাক স্বাধীনতা সমর্থনকারীদের জন্যে ন্যায়বিচার দাবি করে আইএফইএক্স একটি দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস চালু করতে যাচ্ছে।


আইএফইএক্স ২৩শে নভেম্বর তারিখে সারা বিশ্বের জোরপূর্বক চুপ করিয়ে দেয়া শিল্পী, সাংবাদিক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং লেখকদের জন্যে ন্যায়বিচার দাবি করে একটি দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস চালু করতে যাচ্ছে। প্রচারাভিযানের ওয়েবসাইটটির ভাষা ইংরেজি, রুশ, স্প্যানিশ, ফরাসি এবং আরবি।

1 টি মন্তব্য

  • Ahsan

    সড়কে অবাধ হত্যাকাণ্ডার আর বিচারহিনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে, সড়কের ঘাতকদের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে সড়কে অবাধে হত্যা করলে কেউ কিছুই বলবে না – আর গ্রেফতারও করবে না সাজাও হবে না – তাই তারা মর্জি মাফিক মানুষ হত্যা করেই চলেছে-
    ২০১৮ সালে আন্দোলনের চাপে একটি সড়ক আইন হয়েছে – বাস্তবায়নের আগে তার সাজা নমনীয় ও শিথিল করা হচ্ছে ! আর সড়ক দুর্ঘটনা নামের আড়ালে সড়ক সংবাদ গুলোর শেষ লাইন এক ও অভিন্ন “ঘাতক চালক পলাতক” – এটা কি পুলিশ প্রশাসনের ব্যার্থতা – নাকি উপরের নির্দেশ – নাকি স্বার্থের আফিম ?
    সড়ক হত্যাকাণ্ড এইদেশে দেশে এখন বৈধ ! প্রতিদিন সড়কে অবাধে ঘাতকরা ৬৪ জন হত্যা করে কিন্তু ঘাতক ধরা নিষেধ ! কারন অনেক, তবে একটি কারন প্রতিদিন ৩৫০ কোটি টাকা চাঁদা !!
    সড়ক দুর্ঘটনার নামে আড়ালে উল্লসে চলছে সড়ক হত্যা – দেশে দিন দিন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে তাই কেউ সড়ক হত্যা নিয়ে প্রতিবাদ করে না – কেউ প্রতিবাদ করেনা টাকা খেয়ে, কেউ প্রতিবাদ করেনা হেলমেট বাহিনীর ভয়ে ! সড়ক হত্যা বন্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে –  গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে !!

    বাংলাদেশে কার্যকর সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত সংঘটিত একটি আন্দোলন বা গণবিক্ষোভ। কিন্তু এত বিক্ষোভের পরও সড়ক দুর্ঘটনার কোন উন্নতি হয়নি। চলমান করোনা মহামারির কারনে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার পরিবহণ বন্ধ ছিল। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার কয়েক দিনের জন্য সড়ক খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ৭টি দাবি তুলেছে সড়কে সন্তান স্বজনহারা পরিবার ফোরাম দাবিসমুহ হলো- (১) সড়ক হত্যা বন্ধ (২) হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সাঁজা (৩) সড়ক নিরাপত্তা আইন কার্যকর করা(৪) সড়ক নিরাপত্তা আইনের ১০৫ ধারা সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন করতে হবে (৫)সড়ক নিরাপত্তা আইনে পরিবহণ মালিকদেরকেও সাজার বিধান রাখতে হবে (হত্যাকারীকে পাওয়া না গেলে মালিককেই সাজার আওতায় আনতে হবে(৬) সড়কে সন্তান স্বজনহারা পরিবারকে ক্ষতিপুরুন সহ তাদের পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে(৭) হত্যায় ব্যবহৃত যানবাহনটি মূল আসামী গ্রেফতার না করা পর্যন্ত থানার জিম্মায় রাখতে হবে। )
      ২০১৮ সালে একটি সড়ক আইন হয়ছে – বাস্তবায়নের আগে তার সাজা নমনীয় ও শিথিল করা হচ্ছে ! আর সড়ক দুর্ঘটনা নামের আড়ালে সড়ক সংবাদ গুলোর শেষ লাইন এক ও অভিন্ন “ঘাতক চালক পলাতক” – এটা কি পুলিশ প্রশাসনের ব্যার্থতা – নাকি উপরের নির্দেশ – নাকি স্বার্থের আফিম ? মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিঙ্কে জেব্রা ক্রসিঙের উপর হত্যা করা হয় প্রায় ৩ বছর কিন্তু ঘাতককে নাকি খুঁজেও পাওয়া যায় না – অথচ প্রথমআলো সন্মানিত সাংবাদিক নাজনিন ও মাসুদ ‘ভাইরাল হয়নি, তাই বিচার পাইনা প্রতিবেদনে লিখেন, “পুলিশের অভিযোগপত্রে চালক হিসাবে জাকিরের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের গাবচালা গ্রাম। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেখানে যান প্রথম আলোর গাজীপুর প্রতিনিধি। জাকিরদের বাড়ির আশপাশে একাধিক বাসিন্দা জানান, জাকিরকে হঠাৎ হঠাৎ এলাকায় দেখা যায়”-২০১৮ সালের সড়ক আন্দোলনের প্রথম শহীদ মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যার বিচার চাই – ঘাতকদের ফাঁসি চাই 
    নেতারা হুশিয়ার করে বলেন, সড়ক হত্যাকাণ্ডের পর কেউ ঘাতকদের বিচার চাইলে বা প্রতিবাদ করলে – তাদের দলের ছাত্র সংগঠন তাদেরকে ধলাই করবে ? কিন্তু কেন? তাদের দলের ছাত্র সংগঠন এ কি মানুষ নেই ? আর ছাত্র সংগঠন কেউ সড়ক হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে ?? আনন্দ মিছিল করবে ? ধিক !’
    অভিশাপ ! অভিশাপ !! প্রতিদিন সড়কে হত্যাকাণ্ডের শিকার ৬৪জন কিন্তু সড়ক পরিবহণ ঘাতকদের ধরা নিষিদ্ধ ! সন্তান ও সজনহারাদের বুক ফাটা আর্তনাদ – অভিশাপ বৃষ্টি হয়ে নামবেই আজ হোক আর কাল ! রেডি থাকেন 
     

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .