ইরানঃ গ্রীন মুভমেন্ট আন্দোলনের গ্রেফতারকৃত নেতাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে

মীর হোসেন মৌসাভি, ইরানের গ্রীন মুভমেন্ট নামক আন্দোলনের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সংস্কারবাদী প্রার্থী হিসেবে যিনি ২০০৯ সালের বিতর্কিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন এবং ঘটনাক্রমে নির্বাচন পরবর্তী অস্থিরতার সময়ে যিনি বিরোধীদের নেতায় পরিণত হন। বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১২-এ, হৃদরোগে আক্রান্ত হবার কারণে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

মীর হোসেন মৌসাভি, যে কিনা একই সাথে ইরানের একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, তিনি গ্রীন মুভমেন্ট-এর আরেক নেতা মেহেদি কারোবির মত বিগত ৫২০ দিন গৃহবন্দী ছিলেন।

Mir Hossien Mousavi, 2009. Source:Sabzintan blog. Used with permission.

২০০৯ সালে মীর হোসেন মৌসাভি। সূত্র-সাবজিনতান ব্লগ। অনুমতিক্রমে প্রকাশিত

সাবজিনতান লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]

এক বিশ্বস্ত সূত্রানুসারে জানা গেছে যে ৫২৬ দিন গৃহবন্দী অবস্থায় রাখার পর মীর হোসেন মৌসাভিকে আজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় তার স্ত্রী যাহরা রাহমাদইয়ার্দ তার সাথে ছিল। যতদূর জানা যায় হাসপাতালের কর্তব্যরত কর্মচারীদের হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে এবং হাসপাতালের চারপাশে নিরাপত্তারক্ষীরা অবস্থান করছে।

গ্রীন করসপন্ডেন্ট আহ্বান জানাচ্ছে [ফার্সী ভাষায়]:

গ্রীন মুভমেন্ট-এর দুজন একটিভিস্টকে গৃহবন্দী করে রাখার প্রতিবাদে নাগরিকরা ২৬-৩১ আগস্ট তেহরানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সময় বিক্ষোভের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

ফ্রেডওমসিকার লিখেছে [ফার্সী ভাষায়] :

মৌসাভির ক্ষেত্রে আমাদের বেদনার্ত হবার কোন অধিকার নেই। তিনি ৫২০ দিন ধরে এক কারাগারে বন্দী আর আমরা তার জন্য কিছুই করিনি। কেবল অপেক্ষা করে গেছি। এমনকি এখন যদি তার স্বাস্থ্য যদি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আমাদের অবশ্য হাসপাতালে যাওয়া উচিত। কোন ধরনের বিচারের ব্যবস্থা না করে কাউকে জেলে আটকে রাখার ক্ষেত্রে এই শাসকদের এটাই প্রথম কোন ঘটনা নয়। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়তোল্লাহ খামেনির সমালোচনা করার কারণে আয়তোল্লাহ মোনতাজারিকে পাঁচ বছর যাবত গৃহবন্দী করে রাখা হয় এবং আমরা তার জন্য কোন কিছু করিনি। আসুন আমরা এই বিষয়টি মেনে নেই যে আমরা উদাসীন এক জাতি।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .