তাইওয়ানঃ অর্কিড দ্বীপে উড়ন্ত মাছের কাল

প্রত্যেক বসন্তে যখন তাইওয়ানে কুরোশিও কারেন্ট দ্বারা উড়ন্ত মাছ ধরা হয়, তখন অনেক জেলে এর অপেক্ষায় থাকে। অর্কিড দ্বীপে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ঐতিহ্যবাহী উড়ন্ত মাছ উৎসব পালন করা হয়, যেখানে টাও সম্প্রদায় বংশপরম্পরায় বসবাস করে আছে।

টাও সম্প্রদায়ের উপর উড়ন্ত মাছের প্রভাব অত্যাধিক। টাও জনগণ তাদের দ্বীপকে উড়ন্ত মাছের আবাসভূমি হিসেবে গণ্য করে (টাও ভাষায় ‘আলি ব্যাং ব্যাং’), এবং এমনকি তাদের দিনপঞ্জি উড়ন্ত মাছের সময়ের সাথে সম্পর্কিত: বসন্ত হল ‘রাজুন’(উড়ন্ত মাছের কাল), গ্রীষ্ম ও শরৎ হল ‘টেটেকা’ (যখন উড়ন্ত মাছের কাল শেষ হয়), এবং শীত হল ‘আমিনোন’ (যখন কোন উড়ন্ত মাছ থাকে না)।

অর্কিড দ্বীপে উড়ন্ত মাছের সময় [zh] শুরু হয় মার্চে। যখন চিলিওপোগন রঙিন মাছ (টাও ভাষায় ‘সোসোওন’) আসে, টাও লোকজন রাতে সেগুলোকে উড়ন্ত মাছকে আকৃষ্ট করার জন্য ধরে। সামরিক জীববিদ্যা এবং অ্যাকুয়ারিয়াম অফ তাইওয়ানের গবেষকগণ বিবৃতি দিয়েছেন [zh] অর্কিড দ্বীপের টাও মানুষরাসহ আর অল্প কিছু এশিয়ান দ্বীপের মানুষ কিভাবে মাছ ধরার এই কৌশল ব্যবহার করে।

以火把誘引飛魚的捕撈法,除蘭嶼外僅見於菲律賓巴丹諸島及日本;以上島嶼均屬於黑潮海域,因此日本黑潮文化學者國分直一曾提議將這些島嶼列為「火把捕撈飛魚法的文化小國」。

অর্কিড দ্বীপের ছাড়া, জাপান ও ফিলিপাইন্সে বাটান দ্বীপেই শুধুমাত্র উড়ন্ত মাছ ধরার জন্য অগ্নি মশালের মাধ্যমে আকৃষ্ট করা হয়। এই দ্বীপগুলো কুরোশিও কারেন্টের কাছে অবস্থিত। ফলে, জাপানিজ গবেষক কোকুবু নাওইচি, যিনি কুরোশিও কালচার নিয়ে গবেষণা করছেন, একবার এই দ্বীপগুলোকে ‘অগ্নিমশাল প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মাছ ধরার দেশ’ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
অর্কিড দ্বীপে শুকানোর জন্য ঝুলিয়ে রাখা উড়ন্ত মাছ। ছবি গ্রিলম্যাজিকের সৌজন্যে। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

অর্কিড দ্বীপে শুকানোর জন্য ঝুলিয়ে রাখা উড়ন্ত মাছ। ছবি গ্রিলম্যাজিকের সৌজন্যে। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

এপ্রিল ও মে তে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উড়ন্ত মাছ হল চিলিওপোগন স্পিলোনোটপটেরাস (টাও ভাষায় ‘পাপাতাওয়ান’)। তাইওয়ানে সব উড়ন্ত মাছের মধ্যে, চিলিওপোগন সাইনাপটেরাসকে (টাও ভাষায় ‘মায়ায়েং’) টাও লোকজন সবচেয়ে সম্মানিত মনে করে কারণ তারা বিশ্বাস করে যে ‘মায়ায়েং’ সব উড়ন্ত মাছের প্রজাতির আত্মা ও প্রধান।

জেলেরা রোদে শুকিয়ে মাছ সংরক্ষণ করে। ফ্লিকার ব্যবহারকারী গ্রিলম্যাজিক ২০১২ এর মে তে অর্কিড দ্বীপে মাছ শুকানোর দৃশ্যের কিছু ছবি নিয়েছেন।

এ বছর, ইউটিউব ব্যবহারকারী পাউডাল ঐ দ্বীপের কিছু অধিবাসীদের ক্যামেরাবন্দী করেছেনঃ

নিচে ভিডিওটির একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সময় সহ দেয়া আছেঃ

1:12 – উড়ন্ত মাছের ফাঁদের(জালে) জন্য দড়ি নিক্ষেপ (প্রায় ৬০০ মিটার)।
১:৪০ – পানিতে জেলেদের ঝাঁপ।
২:২৫ – জাল দ্বারা উড়ন্ত মাছকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা একে অপরের কাছাকাছি আসল।
৫:১১ – কারণ আমাদের কেউই নাশতা করে নি, কেউ একজন দুটো মাছ কাটল এবং নাশতার জন্য সাশিমি তৈরি করল।
৫:৩৫ – মাছ ধরার কৌশলের একটি বিস্তৃতি।
৯:২৪ – আবহ সঙ্গীত একটু একঘেয়ে। অর্কিড দ্বীপের কোন গান শোনা যাক (‘এক টাও লোকের একটি প্রেমের গান’)।
১২:২৯ – ওয়াও, আপনি কি উড়ন্ত মাছকে উড়তে দেখেছেন?
১৫:৫২ – অবশেষে, সবাই আনন্দের সাথে কিছু উড়ন্ত মাছ নিয়ে এল।
১৬:০০ – উড়ন্ত মাছ পরিষ্কার ও তৈরি যা আজ পরিবারের সাথে ধরা হয়েছে।

অর্কিড দ্বীপের এক পর্যটক হিসেবে, চিয়া-চি ফ্লাইং মাছ উৎসব, ‘লিব্যাংব্যাং’ (অর্কিড দ্বীপে উড়ন্ত মাছ) নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি নির্মাণ করেছেন, যা গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাওয়ার্ডে ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে গিয়েছে, নিচে এর ট্রেইলার দেয়া আছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .