অং সান সু কির থাইল্যান্ড সফর

নোবেল বিজয়ী অং সান সু কি যখন সর্বশেষ মিয়ানমার ত্যাগ করেছিলেন রোনাল্ড রিগ্যান তখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেটা ২৪ বছর আগের কথা। এই সপ্তাহে তিনি থাইল্যান্ড সফরে রয়েছেন যেখানে তিনি ব্যাংককে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। সু কির ঐতিহাসিক সফর সাথে সাথেই বিশ্বের সামাজিক মাধ্যমগুলোর নজর কেড়েছে।

এদিকে, নেট নাগরিকগণ থাইল্যান্ডে সু কির সফর পর্যালোচনা করতে #assk (আস্ক) হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন।

ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে সু কি

ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে সু কি। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ফ্লিকার পাতা থেকে ছবি

@Juarawee (জুয়ারাউই) RT @JonahFisher: ব্যাংককের বাইরে হাজার হাজার জনতা অং সান সু কির পৌঁছানোর অপেক্ষায় রয়েছে। ফুল। সঙ্গীত। এটি একটি উদযাপন।

@sdmireland(এসডিমায়ারল্যান্ড) ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে অং সান সু কির জন্য দাঁড়িয়ে করতালি এবং আমি নিশ্চিত কণ্ঠ বাধাগ্রস্ত…

@WattaneeNYY(ওয়াট্টান্যানী) “এটা সত্যি যে আমরা বাকি সবার পেছনে, কিন্তু তার মানে হল আমরা বাকি সবার ভুলগুলো থেকে শিখতে পারি।” #ASSK #WEF

@YossieBistro(ইয়োসিবিস্ট্রো) থাইল্যান্ডে অং সান সু কিকে স্বাগতম। আপনার এখানে আসা শুধু একটি সফরই নয়। এটি অবশ্যই রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

@OliverLaceyHall(অলিভারল্যাসিহল) ২৪ বছর পর ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে অং সান সু কিঃ “আমি সবসময়ই আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। বার্মার বিদ্যুৎ আইন প্রয়োজন”

সু কি বিদ্যুৎহীন অবস্থার কথা বলেছেন যা গত সপ্তাহে মিয়ানমারের অনেক প্রধান শহরগুলোতে বিদ্যমান ছিল। বিদ্যুৎস্বল্পতার কারণে দেশটিতে কিছু শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়েছে।

থাইল্যান্ডে সু কিকে বিশাল জনতার স্বাগতম। ছবি @seacorro এর সৌজন্যে

সু কি থাইল্যান্ডে বসবাসকারী ৩০০,০০০ অভিবাসীর একটি শহর ভ্রমণ করেছেন, যাদের বেশিরভাগই মিয়ানমার থেকে আগত। অনেক মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা তার বক্তৃতা শোনার অপেক্ষায় ছিলঃ

@newley(নিউলি) সামুট সাখনের আবহাওয়া তীব্র ছিল, যেখানে অং সান সু কি সকালে মিয়ানমার থেকে আগত অভিবাসীদের সাথে কথা বলেছেন, @Anasuya (আনাসুইয়া) আমাকে বলেছেন।

@JonahFisher(জোনাহফিশার) ২৪ বছরে বার্মার বাইরে প্রথম সকাল সবচেয়ে দরিদ্র ও প্রতিবাদী কাউকে নির্বাচন করেছে। তিনি অং সান সু কি।

Thai InnoMemes (থাইউনোমেমস) ‎“আনন্দ!!!”…গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু কি দুই দশকেরও বেশি সময় পর থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের অভিবাসী কর্মীদের সাথে সাক্ষাতের জন্য তাঁর প্রথম ঐতিহাসিক সফর করলেন

@tonravee(টনরাভী) তিনি বলেন মিয়ানমারে এমন অবস্থা সৃষ্টি করাই মূল লক্ষ্য যেখানে আমাদের অভিবাসী কর্মীরা আমাদের দেশে ফিরে আসতে পারে ও শান্তিতে কাজ করতে পারে।

@ThanongK(থানঙ্গক) RT @wayne_hay(ওয়েইন_হে): অং সান সু কি কমিউনিটি সেন্টারে পৌঁছানোর পর বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল। তাকে ধাক্কা ও ঠেলে দেয়া হয়েছিল।

সু কি একটি সংসদ আসন জিতেছেন এবং তাঁর দলও জনমত পরিবর্তন জরিপে জিতেছে। গত বছর নিষেধাজ্ঞা থেকে সু কির মুক্তি এবং মূলধারার রাজনীতিতে তাঁর অংশগ্রহণ অনেকের মনেই মিয়ানমারে পরিবর্তনের জন্য তাঁকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নেত্রী হিসেবে ভাবিয়ে তুলেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .