ভিডিওঃ সমাজ কিভাবে কাজ করে – অসামাজিক ব্যবস্থার প্রতি এক দৃষ্টি

লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিকসের সাথে যৌথভাবে ভিজে আন্দোলন আন্দোলন বিশ্বে সংঘাত ও সংকট-পূর্ণ এলাকাতে সমাজ তার ভবিষ্যতের কিভাবে মুখোমুখি হচ্ছে তার ভিডিও ও কথা আমাদের সামনে তুলে ধরছে।

আফগানিস্তান বা জিম্বাবুয়ের মত জায়গায়, প্রকৃতভাবে সরকার গঠনের অভাব সত্ত্বেও “ঐতিহ্য” এখনো পালিত হচ্ছে। এর কারণ হল সব রকমের স্থানীয় ব্যবস্থা, নতুন কাজ এবং ক্ষমতাসীন দলগুলোর কূটনীতি। এসব থেকে বোঝা যায়, যাদের জীবন সংঘাত ও সংকটে পূর্ণ প্রতিদিনের কাজকর্মই তাদের জীবনযাত্রা উন্নত করার উপায়ের চাবিকাঠি হতে পারে।

ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোতে সাংবাদিক হত্যা, বাসস্থান রক্ষায় আদিবাসীদের যুদ্ধ, পূর্ব এশিয়ার নারীদের মাতৃত্ব ও কর্মের অধিকার হরণ, সমাজের এরকম আরো অনেক সমস্যা ও ঘটনা নিয়ে অনেক ব্যাপারের উপর সাবটাইটেল সহ এই ভিডিওটি চিত্রায়ণ করা হয়েছে, এবং পদক্ষেপ হিসেবে তারা একে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তাদের কাজের মধ্যে এরকম কিছু ঘটনা এখানে আছে:

ফিলিপাইনসে, জাতীয় আয়ের সিংহভাগ প্রবাসী শ্রমিকদের আয় হওয়ার কারণে সরকার নারীদেরকে গৃহস্থালী কাজকর্মের উপর প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই ভিডিওটির গল্পে, এক তরুণী, মিয়া, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যান এবং যন্ত্র চালনা ও তার নিজের ঘর পরিষ্কার করার উপকরণ থেকে বিশাল পার্থক্যের যন্ত্রপাতি দ্বারা ঘর পরিষ্কার করা শিখেছেন। এসব কিছুর মাধ্যমে যথেষ্ট উপার্জন করে তিনি বাইরে যাওয়া ও তার পরিবারকে ঘরে ফেরানোর আশা করছেন।

থাইল্যান্ডে প্রতিবন্ধী নারীরা সমাজ থেকে কুসংস্কার ও প্রতিবন্ধকতা পাচ্ছেন যা তাদেরকে মাতৃত্ব থেকে বঞ্চিত এবং তাদেরকে বাধাপূর্ণভাবে একটি শহরের আধুনিক জীবন থেকে বের করে দেয়ার মাধ্যমে বিচার ও লজ্জা দেয়া হচ্ছে।  এই ভিডিওটি তাদের কথা এবং তারা তাদের সমাজের বাইরে যে বার্তা পাঠাতে চান, তা তুলে ধরছে।

এই ভিডিওটিতে পেরুর একটি উদাহরণের মাধ্যমে আদিবাসী মানুষের উপর পূর্ব ধারণা সমূহকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছেঃ

শিপিবো কনিবো এথনিক গোত্রের ৭০টি পরিবার পুকালপা (ব্রাজিলের সীমান্তের কাছে) থেকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য রাজধানী লিমাতে এসেছে।

তাদেরকে অ্যামাজোনিয়ান অঞ্চলে ফিরে যাওয়ার এবং বনভূমিকে রক্ষার পরামর্শদানকারী কয়েকজন নৃতত্ত্ববিদদের নেতিবাচক মনোভাব সত্ত্বেও তারা এই নতুন সমাজে তাদের ঐতিহ্য ত্যাগ না করে নতুন পথ খোঁজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে – তাদের সন্তানরা দোভাষী শিপিবো-স্প্যানিশ স্কুলে যাচ্ছে – তারা আয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুযোগের জন্য উন্নয়ন ও অগ্রগতি চাচ্ছে।

পাকিস্তানের করাচিতে, যেসব শিশুরা সরকারের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের জন্য একজন সাবেক স্কুলশিক্ষিকা নিজের দায়িত্বে একটি ফ্রি স্কুল খুলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ছয় মাস ধরে তহবিল সংগ্রহ এবং তার নিজের তহবিলের মাধ্যমে, রাফাত ইশাক এই শিশুদের একটি জীবন দিয়েছেন যা তাদের মা-বাবা সম্ভবত তা স্বপ্নেও ভাবে নি।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .