রিও+২০ কে এগিয়ে নিতে তরুণদের প্রতি বয়োজ্যোষ্ঠদের আহ্বান

ধরুন, যদি আর্চবিশপ আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর মত কিংবদন্তি নেতা তাদের চিন্তাধারা, প্রভাব ও অভিজ্ঞতা পাঠাতে ব্লগিং, ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারের শক্তি ব্যবহার করতেন। না, অপেক্ষা করুন। কল্পনা করবেন না। TheElders.org দেখুন এবং নিজেই অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।

২০০৭ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা কর্তৃক নির্মিত এবং ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো কারদসো, আয়ারল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক দূত ম্যারি রবিনসন, নরওয়ের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী গ্রো ব্রান্ডটল্যান্ড, ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মার্তি আহতিসারি, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী জিমি কার্টারের মত বিশ্বনেতা এবং আরো অনেকের অংশগ্রহণে – দি এল্ডার্স হল “একটি স্বাধীন দল যারা একসাথে শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করেন”।

একই উদ্দেশ্যে গঠিত আরো অনেক দলের মত নিজের প্রচলিত বিষয়ে না গিয়ে এই দলটি ভিন্ন সড়কে গিয়েছে। এই সড়ক হল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব।

তারা বিশ্বে মানুষের যোগদানে সাহায্যের জন্য ব্লগারদের কাছে গিয়েছেন। গিয়েছেন। এনভায়রনমেন্টালগভার্নেন্স.অর্গ (EnvironmentalGovernance.org) থেকে ব্লগার মার্জিয়া বিঙ্গুলাক দেখিয়েছেন:

এই দশ সদস্যের দলটি স্বাধীন নেতৃবৃন্দের দ্বারা গঠিত যারা কোন কার্যালয়ে নেই এবং তাদের উপর সরকারি বা জাতীয় বন্ধন নেই। দি এল্ডার্সের সমন্বয় ও নেতৃত্বের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে পূর্ব-সম্পর্ক গড়েছে। তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করেন। এল্ডার্স+ইয়ংগার্স একটি পাবলিক ফোরাম এবং বাইরের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায়।

The Elders and Youngers

এল্ডার্স+ইয়ংগার্স (মাঝখানে ডেসমন্ড টুটু)

রিও+২০ উপলক্ষে, ২০১২ এর ২০-২২ জুন জাতিসংঘের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সম্মেলনে, দি এল্ডার্স সমর্থন ও তাদের কাজকে এগিয়ে দেয়ার জন্য কয়েকজন “তরুণকে” আমন্ত্রণ জানিয়েছেন

““আমাদের ক্ষমতার বাইরে বিলাসিতার উন্নয়ন কি গ্রহণযোগ্য?” শিরোনামে একটি আলোচনায় তি এল্ডার্স ব্লগে, ডেসমন্ড টুটু বৈশ্বিক গ্রহণীয় ব্যাপার সম্পর্কিত একটি মজার প্রশ্ন করেনঃ

যে চ্যালেঞ্জগুলোর সাথে আমরা সবাই মুখোমুখি হচ্ছি তা খুব পরিষ্কার দারিদ্র্য আমাদের সামাজিক অবস্থা; ক্ষয়প্রাপ্ত বাস্তুসংস্থান; জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে…এবং এখনো আমাদের অঙ্ক নেতাই এই চ্যালেঞ্জগুলো তাদের ডানহাতের উপর ছেড়ে দেন…

আমার প্রশ্ন হল, সত্যিই, কেন আমাদের নেতারা আপনাদের চেয়ে বেশি চিন্তা করেন না?

এই অনলাইন আলোচনাসমূহে, দি এল্ডার্স নির্ভীকভাবে আজকের বিশ্বের সত্যিকার প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করছেন, এমনকি ২০ বছর পরের উন্নয়নসমূহও বুদ্ধিজীবীদের কাছে পরিচিত হয়েছেন। গ্রো ব্রান্ডটল্যান্ড একটি আলোচনার উপর জোর দেন:

এ বছর আমাদের রিও ভূ-সম্মেলনের বিশ বছর পূর্তি পালন করা উচিত – এবং এখনো সাতশ কোটি মানুষ এই ভঙ্গুর গ্রহে আছে, তাদের অনেকেই মারাত্মকভাবে খাদ্য, পানি ও মৌলিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অভাবে রয়েছে।

আরেকটি অনুচ্ছেদে, ডেসমন্ড টুটু বলেন:

আপনাদের অনেকেরই প্রায় ২০ বছর আগে, প্রথম ভূ-সম্মেলনের কথা মনে থাকবে, যখন একটি নতুন ধারণা ‘সহনীয় উন্নয়ন’ সারা বিশ্বে ধ্বনিত হল…

তারপর থেকে, যাহোক, পরিবর্তন হয় নি বললেই চলে…

আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কণ্ঠস্বর নিশ্চিত করতে চাই- যারা এই গ্রহের উত্তরাধিকারী – এবং বিশ্ব নাগরিক, তাদের কণ্ঠ উচ্চ এবং স্পষ্ট।

তার ঐ বার্তা অনুযায়ী অনেক ব্লগে তরুণদের প্রতি বার্তা দেয়া হয়েছেঃ “যেখানে আমরা ব্যর্থ হয়েছি সেখানে তোমাদের সাফল্য অর্জন করতে হবে।”

তরুণ অংশগ্রহণকারীদেরকে নাইজেরিয়া, চীন, সুইডেন, ও ব্রাজিল থেকে যারা বিনা সংকোচে সরাসরি প্রশ্ন করেছে, তারা এই দলের নেতৃবৃন্দ দ্বারা নির্বাচিত।

তরুণদের মধ্যে ব্রাজিলের পেদ্রো টেলেস ঐ সাইটে একটি আলোচনা শুরু করেছে, “মানুষ, লাভ ও পরিবেশ- আমরা কি সবগুলোকে ভারসাম্যে রাখতে পারি?” এই প্রশ্নের মাধ্যমে:

আমার কাছে মনে হয় যে আমরা তখনই সত্যিকারভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে পৌঁছতে পারব যখন অন্য কিছু বাদে আমাদের অর্থনীতি মানুষের সেবা ও পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করবে…

আমাদের নতুন কিছু প্রয়োজন। এবং মনে হচ্ছে যে সহনীয় উন্নয়ন শুধু লক্ষ্যই নয়, সেখানে যাওয়ার পথও বটে।

গ্রো ব্রান্ডটল্যান্ড ১৯৮০ এর শেষে জাতিসংঘ কমিশনে তার অভিজ্ঞতার আলোকে পেদ্রোর প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বলেনঃ

আমি তোমার যে কোন একটি বিষয়ে বলতে চাই, যেখানে তুমি প্রত্যেকটি ক্ষেত্রের ব্যর্থতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছ। এটি নিশ্চিতভাবেই সঠিক প্রশ্ন কারণ আমরা সমাজের প্রত্যেকটি ব্যাপারে আমরা যা ভাবি তুমি তাই চেয়েছ। এরকম চিন্তা এখনো দুষ্কর, এবং অবশ্যই ভারসাম্য রক্ষার চাবি যা তুমি বলেছ।

তারা নিজেদেরকে এই মহাবিশ্বের অতিমানবের মত এই গ্রহে সহনীয় উন্নয়ন ঘটানোর জন্য দি এল্ডার্স অ্যান্ড দি ইয়ংগার্স বলছেন।

তাই পরবর্তীতে আপনার মনে হবে যে আপনি নোবেল বিজয়ী ও সাবেক প্রেসিডেন্টদের সাথে বৈশ্বিক বিষয়ে কথা বলছেন, এবং এক কাতারে আনছেন। আরো ভালো হয়, তরুণদের কাজের সফলতায় যোগ দিন যেখানে আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা ব্যর্থ হয়েছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .