গ্রীস: মঠের জমিব্যবসা-কাণ্ডে জড়িত যাজকের মুক্তি

গ্রীসের মাউন্ট অথোসের ভাতোপেদি মঠের অধ্যক্ষ (এবোট) এল্ডার এফ্রিয়ামকে মাত্র চার মাস আটক রাখার পর মুক্তি দেয়ার সংবাদটিতে অনলাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তিনি ভাতোপেদি  এবং সরকারের মধ্যে জমি অদল-বদলের কেলেংকারীতে জড়িত। এই স্ক্যান্ডালটিতে গ্রিক সরকারের লক্ষ লক্ষ ইউরো খরচ হয়।

আদালতের সিদ্ধান্তে ৩,০০,০০০ ইউরো মুক্তির জরিমানা নির্ধারণ [এল] এবং এল্ডার এফ্রিয়ামের  দেশ এবং মাউন্ট অথোস উভয়টিই ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

মাউন্ট অথোসের ভাতোপেদি আশ্রমের মঠাধ্যক্ষ এল্ডার এফ্রিয়াম।

মাউন্ট অথোসের ভাতোপেদি আশ্রমের মঠাধ্যক্ষ এল্ডার এফ্রিয়াম। টুইটার অ্যাকাউন্ট @জেরোন্তাসএফ্রিয়াম থেকে প্রোফাইল ছবি।

অমীমাংসিত বিচারে জালিয়াতি এবং আত্মসাতের অভিযোগে মঠাধ্যক্ষ এফ্রিয়াম ডিসেম্বর ২০১১ থেকে জেলে ছিলেন। ২০০৮ সালের কুখ্যাত ভাতোপেদি জমিব্যবসা-কাণ্ড বলতে নয়া-গণতন্ত্র সরকারের পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী কোস্তাস কারামানলিসের সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে ভাতোপেদির মালিকানাধীন কম মূল্যের জমির সাথে উচ্চমূল্যের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির বাণিজ্যকে বুঝায়।

যাজকীয় ব্যক্তি হিসেবে মঠাধ্যক্ষ এফ্রিয়ামকে  অনেক ভক্ত ও বিশ্বাসী খ্রিস্টান শ্রদ্ধা ও ভক্তি করতেন এবং তারা এই পুরোটা সময় ফেসবুকের এই ব্লগ [বর্তমানে ওয়েবসাইটটি নামিয়ে ফেলা হয়েছে] পৃষ্ঠাটির এবং টুইটার একাউন্ট @জেরোন্তাসএফ্রিয়াম-এর [এখন যার অস্তিত্ব নেই] মতো সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে মাধ্যমে তাদের সংহতি এবং সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ইউটিউব ব্যবহারকারী জেরননেক্তারিওসের পাঠানো নিচের একটি ভিডিওতে [এল] ২০১১ সালে ক্রয়দালোস জেলের বাইরে এফ্রিয়ামের উষ্ণ সম্বর্ধনার সময় জনগণকে “এক্সিওস!” [তিনি যোগ্য!] বলে অভিবাদন জানাতে দেখা যাচ্ছে।

যাইহোক, আসল বিষয় হলো যে ভাতোপেদি আশ্রমের প্রধান হিসেবে তিনি এমন একটি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারীতে জড়িত যে তা জনগণের মধ্যে অশান্তি এবং সত্যিকারের প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।

এই কেলেঙ্কারিটি গ্রী্সের অর্থডক্স (সনাতন) গির্জা এবং গ্রিক রাস্ট্রের মধ্যে দৃঢ় বন্ধনকে এবং যারা প্রথমতঃ রাষ্ট্র এবং ধর্মের মধ্যে পার্থক্য এবং দ্বিতীয়ত কর, তার থেকে  সাম্প্রতিক কৃচ্ছসাধন থেকে অব্যহতি দেয়া গীর্জার সম্পত্তির উপর করারোপ করার দাবিকে জোরদার করেছে।

রুশ সনাতন চার্চ এবং সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গ্রিক সরকারের সঙ্গে মঠাধ্যক্ষ এফ্রিয়ামএর কারাদণ্ড পুণর্বিচারের জন্যে দেন-দরবার করেছে বলে জানা গিয়েছে । এথেন্সের রুশ ফেডারেশন দূতাবাস [এল] টুইট করেছে:

@RFEmbassyGr: Στο Άγιο όρος έφτασε χθες το βράδυ ο Εφραίμ, όπου του επιφύλαξαν θερμή υποδοχή στο λιμανάκι των Καρυών οι μοναχοί sportdog.gr/article/95683/…

@আরএফএম্বেসী: গতকাল সন্ধ্যায় এফ্রিয়াম মাউন্ট অথোসে এসেছেন, কারিয়েস বন্দরে পাদ্রিরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন sportdog.gr/article/95683/…

এখানে টুইটারের [এল] কিছু তিক্ত প্রতিক্রিয়া:

@eddie_kappa: Έχουμε μια “δικαιοσύνη” που αποφυλακίζει τον Εφραίμ και θεωρεί τροχαίο ατύχημα τη δολοφονική επίθεση του δελτά πάνω σε διαδηλώτρια.

@এডি_কাপ্পা: আমরা এমন একটি “ন্যায়বিচার” পেয়েছি যা এফ্রিয়ামকে  জেল থেকে বের করে আর একটি বিশেষ বাহিনীর পুলিশ কর্মকর্তার একজন মহিলা বিক্ষোভকারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণকে  একটি সড়ক দুর্ঘটনা বিবেচনা করে।

@FragileAlex: Θερμή υποδοχή για τον Εφραίμ στο Άγιο Όρος! Δεν είναι δα και ο πρώτος απατεώνας που χαίρει εκτίμησης… Βρίθει ο τόπος.

@ফ্রেজাইএলেক্স:  মাউন্ট অথোসে এফ্রিয়ামের উষ্ণ! মোটের উপর তিনিই তো প্রথম সম্মান পাওয়া অপরাধী নন… গোটা দেশটাই (এদের দিয়ে) পরিপূর্ণ।

@eVaN_GiAn: Σε ένα λεπτο βρήκε τα 300.000€ ο Εφραίμ για την εγγύηση του. Αυτο ως απάντηση σε όσους λένε ότι περνάει κρίση ο κτηματομεσιτικός τομέας

@ইভান_গিয়ান: এফ্রিয়াম শাস্তির জরিমানার জন্যে একটি মিনিটেই  ৩,০০,০০০ ইউরো পেয়ে গিয়েছেন। যারা দাবী করছেন যে জমি ব্যবসায় সংকট চলছে তাদের জন্যে এটাই উত্তর।

@Mythodea_g: @eVaN_GiAn είχε το θεό μαζί του

@মিথোডিয়া_জি: তার পাশে ঈশ্বর ছিলেন।

@Moggoloss: Και την 90η μέρα εμφανίζεται ο Θεός στον Εφραίμ και ρωτάει: Πως μπορω να σε βοηθήσω τέκνο μου; Παντοδύναμε χρειάζομαι 300.000€. Και Εγένετο.

@মোগোলস: অতঃপর ৯০তম দিনে ঈশ্বর এফ্রিয়ামের সামনে হাজির হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন: হে পুত্র, আমি কী রূপে আপনাকে সাহায্য করিতে পারি? সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আমার ৩,০০,০০০ ইউরো প্রয়োজন। অতঃপর এই প্রকারে ইহা ঘটিল।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .