এই প্রবন্ধটি তিউনিশিয়া বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
৭ এপ্রিল, ২০১২-এ, তিউনিশিয়ার শিক্ষিত বেকারদের ইউনিয়ন, রাজধানী তিউনিশের কেন্দ্রস্থলে এক বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল। যখন বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ নিষিদ্ধ রাজধানীর প্রধান সড়ক , হাবিব বারগুইবার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করার চেষ্টা করে , তখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য তাদের উপর কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং তাদের উপর লাঠিচার্জ করে । এই ঘটনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক আহত হয়েছে।
৭ এপ্রিলে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর পাথর ছুঁড়ে মারে, এবং তারা “জোর” করে উক্ত সড়কে প্রবেশ করার চেষ্টা করে।
তিউনিশিয়া টক্সের প্রদর্শন করা ভিডিও-তে পুলিশের হামলার দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই ভিডিওতে কিছু পথিককে কাঁদানে গ্যাস দ্বারা আক্রান্ত হতে এবং কিছু আহত বিক্ষোভকারীকে দেখা যাচ্ছে।
সেই আগের অভিজ্ঞতা?
পুলিশের এই হামলা, সামেহকে জিনে এল আবেদিন বেন আলীর যুগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ভদ্রমহিলা টুইট করেছেন:
@sameh_b: #Tunisie dictature en marche… Av. Habib Bourguiba!!! Des milices avec des bâtons qui tabassent les manifestants!! Un air de déjà-vu!!!
সামেহ কেবল একমাত্র নাগরিক নন, যিনি এমনটা অনুভব করেছেন। জারজৌকি টুইট করেছে:
@ja3far2012: Raisons bidon “pr proteger les commercants et ne pas gener la circulation” le meme language que ZABA #tunisie
দমন হচ্ছে বেকারত্ব দুর করার এক উপায়?
২০১১ সালে অনুষ্ঠিত তিউনিশিয়া গণজাগরণের স্লোগান ছিল, “কর্মসংস্থান, স্বাধীনতা এবং জাতীয় মর্যাদা”। জিনে এল আবেদিন বেন আলির ২৩ বছরের শাসনের ১৫ মাস পরে, চাকুরী এখনো মূল জনপ্রিয় দাবী। যদিও ইসলাম-পন্থী এননাহাদার নেতৃত্বে গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ৪০০,০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে, তারপরেও বেকারত্বের হার কমেনি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে এখন বেকারত্বের হার ১৮.৯ শতাংশে এসে পৌঁছেছে।
ব্লগার বাসেম বুগুয়েরা একটি পোস্ট প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম বেকারত্বকে মোকাবেলা করার তিউনিশীয় উপায়, এবং তিনি যুক্তি প্রদান করেছেন যে বেকারত্বের সমাধান করার জন্য আবার নিপীড়ন চালু করেছে:
মরিয়া এবং বেকার ৪০০ গ্রাজুয়েট ছাত্র সরকারের বেকারত্ব নিরসনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য ৭ এপ্রিলে রাস্তায় নেমে আসে। তারা তিউনিশিয়ার সাধারণ শ্রমিক ইউনিয়ন ইউজিটিটির সদর দপ্তর থেকে সরাসরি বিক্ষোভ শুরুর করার এবং তারা হাবিব বারগুইবা সড়কে যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে […]বেকারত্ব নিরসনের এই প্রচণ্ড চাপে সরকারের প্রায় পঙ্গু হয়ে যাবার দশা এবং তারা বিক্ষোভকারীদের আর কোন নতুন প্রতিশ্রুতি প্রদান করতে পারছে না। তিউনিশিয়া ইতোমধ্যে যথেষ্ট সমস্যায় আক্রান্ত। যেহেতু সরকারের কাছে কোন সমাধান নেই, সেহেতু তারা সমাধান দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে পারছে না। কাজেই সরকার সহজ সমাধান বেছে নিয়েছে: বিক্ষোভ দমন করা। যখন বিক্ষোভকারীরা হাবিব বারগুইবা সড়কের দিকে রওনা দেয়, তখন পুলিশ বেন আলির সময়ের কৌশল অবলম্বন করে, বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায় এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বেকারদের মর্যাদায় আঘাত
৮ এপ্রিলে প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে [ফারসী ভাষায়], সালাহ বেন ওমারান যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, বেকারদের উপর হামলা চালানো মানে তারা মর্যাদায় আঘাত হানা:
taper sur quelqu’un qui ne demande qu’un emploi, c’est s’attaquer à sa dignité! Aucune raison ministérielle ne peut le justifier et aucune morale ne l’approuve .
বেকারত্ব, এক সত্যিকারে হুমকি?
বিখ্যাত স্লোগান, “বেন আলি চলে যাও” এর আগে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিত, “ চাকুরী আমাদের অধিকার, তোমরা চোরের দল (বেন আলী এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গরা)” এবং চাকুরী, স্বাধীনতা এবং জাতীয় মর্যাদা”। ২০১১ সালে তিউনিশিয়ার গণ জাগরণের মূলে ছিল বেকারত্ব, যা কিনা বেকার তরুণদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে। এই সমস্ত তরুণরা প্রথমে রাস্তায় নেমে পড়ে এবং পুলিশের নির্মমতার মুখোমুখি হয়। বেকারত্ব কি এখনো এক হুমকি? চার মাস আগে নিযুক্ত অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারে জন্য তারা কি এক বিপদ বয়ে আনছে?
জারজোউকির মতে:
@ja3far2012: Simple: Ils ne repriment que ceux qu'ils trouvent dangeureux!
এই প্রবন্ধটি তিউনিশয়া বিপ্লব ২০১১-এর উপর করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।