যুক্তরাষ্ট্র : ল্যাটিন সাহিত্যের উপর আরোপিত সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে একাত্মতা

অ্যারিজোনার, টুসকন-এর স্কুল বিভাগে মেক্সিকান –আমেরিকান স্টাডিজের বিলুপ্তি করণ এবং অজস্র বই সেন্সরশিপ করার ঘটনায়, এক জাতীয় সমর্থনের সৃষ্টি হয়েছে, যা কিনা এর প্রতিবাদে, অন্য কাজের পাশপাশি বই বিক্রি, এবং পাঠক দল তৈরী ও উপস্থাপনার মত কার্যক্রমের জন্ম দিয়ে । একই সাথে, যথারীতি, বইয়ের উপর আরোপিত এই সেন্সরশিপের ঘটনা নিউইয়র্ক থেকে সারা যুক্তরাষ্ট্রে এক সমৃদ্ধ আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।

এই একাত্মতার জন্য যে সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার উদাহরণ হিসেবে লেখক এরাসমো গুয়েরার-এর তৈরী করা বেশ কিছু ভিডিও এখানে প্রদান করা হল, প্যানেলে আলোচনার সময় এই সব ভিডিও তোলা হয়েছিল, যা ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১২-এ, সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক (সিইউএনওয়াই)-এর জন জে কলেজের ছাত্ররা আয়োজন করেছিল ।

আমন্ত্রিতদের মধ্যে লেখক, টনি ডায়াজ, যিনি লিব্রোট্রাফিকান্তে, নামক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, যা কিনা টেক্সাসের হিউস্টনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা বই পাচার করে অ্যারিজোনায় নিয়ে আসার জন্য এক কাফেলার আয়োজন করে, যাতে সাহিত্যের প্রকাশ এবং রাজনৈতিক প্রতিরোধের বিষয়টি আবার নতুন করে শুরু করা যায়।

তাকে অনুসরণ করছে লিয়ানা লোপেজ এবং ব্রায়ান পারাস, যারা নুয়েস্ত্রা পালাব্রা:ল্যাটিন লেখকদের নিজেদের বলার কিছু আছে নামক সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা: এটি টেক্সাসের হিউস্টনের ল্যাটিন আমেরিকান লেখকদের বইয়ের বিরুদ্ধে প্রচারণা প্রতিহত করার জন্য তৈরী একটি সংগঠন, যা কিনা ১৩ বছর ধরে কাজ করে আসছে।

নিউ ইয়র্ক থেকে এসেছিলেন লেখক রিচ ভিলার, যিনি ফানডাসিওন এ্যাসেন্তোস: নামক সংগঠন পরিচালনা করেন। এটি একটি সাহিত্যিক সংগঠন যা ২০০৩ সালে নিই ইয়র্কের ব্রঙ্কস-এ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার উপস্থাপনায় ভিলার, পুয়োর্টো রিকোর লেখকদের পেশার সাথে অ্যারিজোনার টাসকনের পরিস্থিতিকে সমান্তরাল ভাবে সংযুক্ত করেছেন।
(ভিলার-এর কথা শোনার পর, যদি আপনি পুয়োর্টো রিকোর লাইব্রেরিয়ান পুরা বেলপ্রের সম্বন্ধে আরো জানতে চান তাহলে, তাহলে আপনি (সিইউএনআই)-এর হান্টার কলেজের পুয়োর্টো রিকান স্টাডিজ সেন্টারের সংগ্রহশালায়, প্রবেশ করতে পারেন।

আমরা সের্গেই ট্রাঙ্কোসোর উপস্থাপনা দিয়ে আমাদের এই প্রবন্ধের ইতি টানব, এই লেখকের জন্ম টেক্সাসের এল পাসোতো, যার পিতা মাতা ছিলেন মেক্সিকান। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে বাস করছেন। তার প্রকাশিত অন্যান্য কাজের মধ্যে, রয়েছে দি লাস্ট টরটিলা এন্ড আদার স্টোরিজ, দি নেচার অফ ট্রুথ, ফ্রম দি উইকড প্যাচ অফ ডাস্ট , একই সাথে তিনি ছোট গল্পের বই লিখেছেন যার নাম ক্রসিং বর্ডার: পারসোনাল এসে। এছাড়াও, তিনি ব্লগ লিখেন, যার নাম চিকো লিঙ্গো: এসক্রিটুরা, লেকটুরা, ডিনেরো, ডিসকাসিওন.

লিব্রোট্রাফিকান্তের কাফেলা, ১৭ মার্চ ২০১২ তারিখে, তার সর্বশেষ গন্তব্যে এসে পৌঁছায়। ভবিষ্যতের আলোচনা, শিক্ষামূলক কার্যক্রম, সামাজিক এবং রাজনৈতিক জোট তৈরী এবং সাহিত্যিক কার্যক্রমের লক্ষ্য এটি চলতেই থাকবে। এর বাইরে, তাদের সম্পদের-এর অংশ হিসেবে, চারটি “আন্ডারগ্রাউন্ড লাইব্রেরী”, তাদের দরজা খুলে দিয়েছে।

 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .