পূর্ব তিমুর : সৃষ্টিশীলতায় ও সংস্কৃতিতে বিনিয়োগ

পূর্ব তিমুর বস্তুগত উপাদান, সংগীত ও নৃত্য ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সাংস্কৃতিক উদযাপন এবং বেশ কিছু উত্থানশীল সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা। কিন্তু স্থানীয় উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনের বেশ কিছু শিল্প কৌশল দৃষ্টির আড়ালে থেকে গেছে।

টাটুলি বা কালচুরা” যার অর্থ “কৃষ্টির অভ্যন্তরে” নামে একটি নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে। ব্যাপক গবেষণা ও প্রস্তুতির পরে, প্রকল্পের নির্ধারিত উদ্দেশ্য,  সৃজনশীল প্রকল্পের স্কুলের উন্নয়নে সহায়তা করা:

প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে, একটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা যা দেশীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও রক্ষা করবে কিন্তু নতুনত্ব সৃষ্টিতে শিক্ষার স্তরে সৃজনশীলতা নিয়ে আসবে।

এই প্রকল্পের সমন্বয়ক, ডেভিড প্যালাজোন, একজন শিল্পী ‍যিনি বার্সিলোনা, স্পেন থেকে এসেছেন। তিনি বলেন:

Passing on culture

কৃষ্টির অভ্যন্তরে

এখানে (পূর্ব তিমুরে) আমি হঠাৎ এসেছি আমার পেশাগত জীবনের উন্নয়নের জন্য, আমার কর্মক্ষেত্রে কিছু স্বেচ্ছাশ্রমের জন্য, একটি অন্যটির শুরু করছে।

তিমুরের বস্তুগত উপাদান ও দক্ষতার সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি তার দল নিয়ে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গমন করেছেন এবং টাটুলি বা কালচুরার মিডিয়া ম্যাপে চিত্তাকর্ষক ভিডিও, ছবি এবং অডিও যুক্ত করেছেন, যা একটি বিশাল তথ্যসূত্র।

অঞ্চলভিত্তিক বেশকিছু বাদ্যযন্ত্রের ভিডিও আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। উদাহরণ হিসাবে এই ভিডিওটি রামা নামের বাদ্যযন্ত্রের যা এটাওরা দ্বীপ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্যালাজোন যুক্তি দেখান, তিমুরবাসীদের পূর্বাপর সন্মন্ধ সম্পূর্ণরূপে নির্ধারিত:

পশ্চিমা বিশ্বের কাছে সংস্কৃতি বলতে যা বোঝায়, কালচুরা সম্পূর্ণরূপে তা নয়। তিমুরবাসীদের কাছে, পূর্ব থেকে যা এসেছে তার সবকিছু হচ্ছে সংস্কৃতি, এটি একটি উৎস বিন্দু যা বুঝতে সহায়তা করে তারা কোথা থেকে এসেছে। মাঠ পর্যায়ে কাজের সময় আমার একটি সাধারণ প্রশ্ন ছিল : ”কেন আপনি এটি এরকম করছেন? সবার উত্তর ছিল এরকম: কারণ, আমাদের পূর্বপুরুষরা এরকমটি করেছেন, এবং এটি বংশ পরম্পরায় চলে এসেছে।”  অবশ্যই ইন্দোনেশিয়া, চীন, পর্তুগাল প্রভৃতির প্রভাব তাদের উপর ছিল……যা সংস্কৃতির মধ্যে অঙ্গীভূত হয়েছিল এবং এর অংশ হিসাবে অনুশীলিত হচ্ছে।

তিনি উদ্ভাবন সম্পর্কে বলেন,

প্রথাগতভাবে বলতে গেলে, তিমুর এখনো কৃষি নির্ভর, রাজধানীর বাহিরে অর্থনীতি মূলত: পরিবার, তাদের জিনিসপত্র, যা তারা বিনিময় করতে পারে, তাদের পরিবারের সদস্য ও তাদের আয়, এবং বিতরণ ব্যবস্থা তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যের ও বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। বলা চলে, এটি খুব সংরক্ষণশীল – রাজনীতির ভাষায় নয় – কিন্তু কারণ পরিবর্তনশীলতা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাড়ায় যা অনেক মানুষ ধারণ করতে পারে না […] তদুপরি প্রথাগত ব্যবস্থায় কিছু মানুষ অনেক প্রগতিশীল।

চূড়ান্তভাবে, প্যালাজোন আশা করেন যে অন্যান্য বিষয়ের সাথে সৃষ্টিশীল শিল্পের একটি স্কুল “সৃজনশীল শ্রেণীর” উত্থান, ক্ষুদ্র ব্যবসার বৃদ্ধি এবং পর্যটনের বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

টাটুলি বা কালচুরাকে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রিফিথস বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেশ কিছু দাতা প্রতিষ্ঠান সহায়তা করছে। গ্রিফিথস প্রফেসর টনি ফ্রাই, প্যালাজোন কর্তৃক ভাষান্তরিত, বলেছেন, “তিমুরের দুটি জাতীয় সম্পদ রয়েছে: জ্বালানী ও সংস্কৃতি। জ্বালানী আজীবন থাকবে না কিন্তু সংস্কৃতি আজীবন টিকে থাকবে।”

 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .