মালয়েশিয়া: সংগঠকরা ভিডিওর মাধ্যমে মানবাধিকারের জন্য কথা তুলে ধরেন

কামোস-এর ফ্রিডম ফিল্ম ফেস্ট

কামোস-এর ফ্রিডম ফিল্ম ফেস্ট

এনগেজমিডিয়া, এক সাক্ষাৎকারে কোমাস-কে তুলে ধরছে, যে সংগঠনটি ১৯৯৩ সাল থেকে শিক্ষা এবং মানবাধিকার প্রচারের লক্ষ্যে ভিডিও নির্মিত চলচ্চিত্রের ব্যাবহার করে আসছে।

আনা হার, হচ্ছে পুসাট কামোস ( পুসাট কমিউনিকাসি মাসিয়ারাকাট) কমিউনিটি কমিউনিকেশন সেন্টার –এর মহাপরিচালক এবং ভদ্রমহিলা, যেখানে সহজে পৌঁছা যায় না, এমন এলাকার কর্মসূচিতে ভিডিওর ভুমিকা ব্যাখ্যা করেন, যেখানে তারা এর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি করেন, এর জন্য যে প্রক্রিয়া প্রয়োজন, সে সমস্ত সুবিধা প্রদান করেন এবং সম্প্রদায়কে সংগঠিত করেন এবং বৈষম্যহীন নাগরিকত্ব-এর মত বিষয়ে প্রচার মাধ্যমে কি ভাবে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণও এবং ভোট দান বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করে থাকেন, একই সাথে তারা মাঠ পর্যায়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

কোমাস কোন ভিডিও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নয়, আর আমরাও চলচ্চিত্র ধারণে দক্ষ নই; তার বদলে আমরা, মানবাধিকার সপক্ষে কাজ করার জন্য প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একে আমাদের এক কৌশল এবং সৃষ্টিশীলতা হিসেবে দেখি।

বিটুয়িন লাভ এণ্ড রেস- হচ্ছে বর্ণবৈষম্যের উপর মনোযোগ প্রদান করা এক স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ২০০৬ সালে কোমাস এটি তৈরি করেছিল। এতে দেখা যাচ্ছে এঞ্জেলিনা এবং রশিদ তাদের বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে গঞ্জনার শিকার হয়, কারণ তারা পরস্পরের সাথে এক ভালবাসার বন্ধনে জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এঞ্জেলার পিতামাতা এতে আপত্তি জানায়, কারণ তারা চাইছিল, যেন সে একটি চীনা ছেলের সাথে প্রেম করে, রশিদের মায়ের ইচ্ছা ছিল, রশিদ যেন একটা সুন্দরী মালয়ী মেয়ের সাথে প্রেম করে, যেমনটা রশিদের বন্ধুরা করে থাকে। এঞ্জেলার বান্ধবী ইয়াতি অন্তত ম্যান্ডারিন ভাষায় কথা বলে, যেহেতু সে চীনা স্কুলে গিয়েছিল, যার ফলে এমনকি ইয়াতির বান্ধবীদের মাঝেও, পারিবারিক ভাষায় কথা বলতে না পারার কারনে, সে একা। এঞ্জেলা আবিষ্কার করে যে জাতি এবং ভালবাসার ক্ষেত্রে বৈষম্য এবং বিশেষ কিছু আশা করার কারণে, সে এবং রশিদ যতই পরস্পরকে অনুভব করুক না কেন, একটা বিশেষ পরিচয় এবং প্রচলিত ভাবনা এখানে থেকেই যায়।

এছাড়াও কোমাস, মানবাধিকার বিষয়ক তথ্যচিত্র নিয়ে ফ্রিডমফিল্মফেস্ট উৎসবের আয়োজন করে থাকে। ২০০৩ সাল থেকে তারা মালয়েশিয়ায় এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে। এই উৎসবে একটি তথ্যচিত্র বিষয়ক প্রতিযোগিতাও অর্ন্তভুক্ত থাকে, যেখানে প্রথমবারের মত কোন চলচ্চিত্র নির্মাতা একটি প্রস্তাবনা পেশ করতে পারে, যদি নির্মাতারা জিতে যায়, তাহলে তারা সেটিকে তথ্যচিত্রে পরিণত করতে সক্ষম হবে, এখানে ভিডিওর নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়; এবং এই উৎসব মানবাধিকার বিষয়ক চলচ্চিত্রের এক প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে, যেহেতু তাদের জন্য বাণিজ্যিক ভাবে ফায়দা নেবার সুযোগ নেই অথবা মূলধারার প্রচার মাধ্যমে সেটিকে তুলে ধরার জায়গা নেই। ২০১২ সালের এফএফএফ (ফ্রিডমফিল্মফেস্ট) নামক উৎসবের বিষয় হবে গণতন্ত্র, আর তার স্লোগান হবে “ গণতন্ত্র-এ;- ক্ষমতাবান কে”?

২০১২–এর উৎসবের প্রচারণা জন্য তৈরি ক্ষুদ্র অংশ আমাদের ধারণা দেয় যে এই চলচ্চিত্র উৎসবে কি ধরনের প্রসঙ্গ এবং বিষয় থাকে:

এই তথ্যচিত্র প্রতিযোগিতার ২০১১ সালেব বিজয়ী হচ্ছেন, আফিক দীন এবং তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের নাম হুরুফ জে। মূলত মালয়েশিয়ায় যাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের কঠিন পরিস্থিতি এবং বৈষম্যের উপর এই চলচ্চিত্র ধারণ করা হয়েছে। এমন এক সমাজ যা তাদেরকে তাদের জীবনে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, তাদের ঋণ গ্রহণ, দরিদ্র অবস্থা ও এক আইনী ব্যবস্থায় ঠেলে দেয়, যার মধ্যে দিয়ে নারীরা তার সন্তানের পিতাকে সন্তানের জন্য অর্থনৈতিক চাপ প্রদান করতে পারে না, বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যাওয়া নারীরা, যখন তাদের জীবনকে নতুন করে শুরু করতে চায়, তখন তারা এই সমস্ত সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয়। এই চলচ্চিত্রে কিছু সাবটাইটেল এবং অডিও ইংরেজিতে করা হয়েছে।

যখন এই তথ্যচিত্রের অনলাইন প্রিমিয়ার-এর করা হচ্ছে, তখন ফ্রিডমফিল্মফেস্টিভ্যাল আপনাকে অনুরোধ করছে তা দেখার এবং সেটির বিষয়ে একটি পর্যালোচনা করার, যাতে তারা তাদের সাইটে কিছু মন্তব্য যুক্ত করতে পারে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .