ভেনিজুয়েলাঃ সশস্ত্র শিশুদের ছবি নিয়ে অনলাইনে বাদানুবাদ

কারাকাসের অন্যতম অভিজাত এলাকা ব্যারিও ২৩ ডে এনেরোতে রাইফেলধারী একদল শিশুর [es] ছবি দ্রুত ছড়ানোর পরে ভেনিজুয়েলান সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে এ নিয়ে ব্যপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। “লা পিয়েদ্রিতা” সংগঠন কর্তৃক সংগৃহীত এই ছবিগুলো ফেসবুকে [es] দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল এবং জনসাধারণের মনে বিভিন্ন ধারণা সৃষ্টি করেছিল।

লুইস কার্লোস দিয়াজ তার “এন ভেনিজুয়েলা ইন্তেনতামোস কনসত্রুইর পাজ” [es] (“ভেনিজুয়েলায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি”) নামক পোস্টে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তথ্যের অন্যান্য উৎস দিয়েছেন এবং বলেছেনঃ

ছবি ওয়াইফ্রগ থেকে এডুয়ার্ডো পন্টের সৌজন্যে

ছবি ওয়াইফ্রগ থেকে এডুয়ার্ডো পন্টের সৌজন্যে

Un grupo de niños de una parroquia caraqueña fue usado para un acto político, portando armas de guerra y violando más de una ley bajo la mirada complaciente de autoridades y cuerpos de seguridad. Más allá de la obvia desviación ideológica-religiosa en las paredes, se cometieron hechos punibles con un grupo de niños. El Gobierno hoy manifestó su rechazo, pero es una medida estética en tanto permita su impunidad.

কারাকাসে এক যাজকের অধীনস্থ একটি গির্জা থেকে একদল শিশুকে যারা সমরাস্ত্রধারী ছিল, তাদেরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে [es] এবং কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের গৃহীত একাধিক আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে [es] strong>ব্যবহার করা হয়েছে [es]। ধর্মগত মতাদর্শের বাইরেও তারা একদল শিশুদের সাথে শাস্তিমূলক অপরাধ করেছে। সরকার আজ ঘৃণা প্রদর্শন করেছে [es], কিন্তু তারপরও সেখানে তাদের পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এর মধ্যে, লুদমিলা ভ্যানগ্রাডফ তার “Los Niños de la Revolución” [es] (“বিদ্রোহের শিশুরা”) পোস্টে মন্তব্য করেনঃ:

En la parroquia caraqueña donde fueron fotografiados los niños existen varios grupos radicales que dicen defender al gobierno de Chávez, amenazando con tomar las armas en caso de que el mandatario salga del poder. La pregunta que se hacen todos es;  ¿quién financia a los grupos radicales y les suministra las armas de guerra?.

কারাকাসের ধর্মীয় অঞ্চলে, যেখানে শিশুদের ছবি তোলা হয়েছিল, সেখানে শাভেজ সরকারকে প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সংঘবদ্ধ দল রয়েছে, যারা তাদের নেতাকে পদত্যাগ করার জন্য অস্ত্র তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। সবার প্রশ্ন, এই সংঘবদ্ধ দলগুলোর অর্থায়ন ও যুদ্ধাস্ত্রের যোগান কে দিচ্ছে?

কয়েক দিন পরে, সংগৃহীত ভিডিওগুলোর মধ্যে একটিতে দেখা গেছে যে, তাদের কর্মকান্ড শিশুদের অস্ত্রচালনা শেখানোর মত মনে হয় নি। তারপরও অন্যান্য ইউটিউব ব্যবহারকারীরা পিছনে গুপ্ত অস্ত্রের আঘাতে ঐ সদস্যদের একজনের মৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরেছেন, এবং ছবিতে ভিডিওর মহিলা প্রতিনিধির উপস্থিতিও প্রশ্নবিদ্ধ।

এই ছবিগুলো মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় এবং একই দল “লা পিয়েদ্রিতা” যাদের মাধ্যমে শিশুদের ছবিগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তাদের সমাবেশের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচারণা অনুসারে ঐ দলের টুইটার অ্যাকাউন্টের ছবিতে [es] দেখানো হয়েছে, “…শিশুরা যা বহন করেছিল, তা সংবিধান ছাড়া কিছু নয়।”

একইভাবে, তারা মিডিয়াকে জানিয়েছে যে ঐ শিশুরা সত্যিকারের অস্ত্র ধারণ করে নি এবং এটি একটি “মঞ্চনাটকের” দৃশ্যায়ন ছিল। টুইটারে প্রতিক্রিয়াগুলোতে এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

ঐ দলের যুক্তিতর্কের যারা সমালোচনা করেছেন তাদের মধ্যে ইটজেল পেরেজ (@ytzelpérez) [es] একজন, এবং এডিউয়ার্ডো পন্টে (@acaballoregalao) [es] হ্যাশচিহ্ন #insólito [es]-এ তার মনোভাব ব্যক্ত করেছেনঃ

Buenos días a todo mi TL, sorprendida ahora según y q los Niños d la Piedrita estaban haciendo una “obra d Teatro” eso no se los cree nadie!

আমার সকল টিএল কে সুপ্রভাত জানিয়ে আশ্চর্য হলাম এই জেনে যে, লা পিয়েদ্রিতার বক্তব্য অনুসারে শিশুরা নাটক করছিল। কেউ বিশ্বাস করবে না!

INSÓLITO: La Piedrita asegura que los fusiles M-16 eran de plástico y que los niños hacian una obra de teatro #FAIL

চমৎকারঃ লা পিয়েদ্রিতা সবাইকে নিশ্চিত করেছে যে ঐ এম-১৬ রাইফেলগুলো প্লাস্টিকের এবং ঐ শিশুগুলো একটি নাটক করছিল।  #FAIL

মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের অস্ত্রধারণ নিয়ে এসব উত্তেজনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। যা হোক, এই বিতর্ক শীঘ্রই শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

অনেকের মতে, এই ছবিগুলো সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। অন্যদের মতে, এই ছবিগুলো শাভেজের পক্ষে যেসব দল আছে তাদের জন্য হুমকি স্বরূপ কারণ তাদের সীমাবদ্ধতা ও সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রীয় অস্ত্র, গোলা-বারুদ নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণ কমিশন [es] কর্তৃপক্ষের সামনে লা পিয়েদ্রিতার দায়ী ব্যক্তিদের ভাগ্যই এখন দেখার বিষয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .