ইরানঃ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্টি আঘাত এবং ইরানের

ইরান এখন এক অর্থনৈতিক সুনামির মোকাবেলা করেছে, বিশেষ করে যখন দেশটির জাতীয় মুদ্রা (রিয়াল) ইরানের তেলের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনা এক কঠিন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাবার কারণে রিয়াল প্রতিদিন তার মূল্য হারাচ্ছে। গত শনিবার কালোবাজারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে রিয়ালের বাজার দর প্রায় ২০,০০০-এ গিয়ে ঠেকে, তাঁর মাত্র এক দিন আগেও ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ১৮,০০০ রিয়াল।

কয়েকজন ব্লগার প্রদান করা অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে ব্যর্থ হবার কারণে মাহমুদ আহমাদিনেজাদের প্রতি অভিযোগ করছে। ফসল তাজেহ বলছে [ফারসী ভাষায়]:

বর্তমানে এক ডলারে, ২,২০০ তোমান মিলছে ( ২২,০০০রিয়াল) এবং মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এখন তাজিয়াহ [ মহররমের জন্য প্রস্তুতকৃত বিশেষ প্রতীকি কবর, শিল্পকর্ম) নিয়ে কথা বলার জন্য মাশহাদ-এ ভ্রমণ করছে।

কার্টুন নিকহঙ্গ কোউসার-এর, ছবি রোজোনলাইন থেকে নেওয়া
হারফাই আজ তাহে ডেল বলছে।

হারফাই আজ তাহে ডেল বলছে:

ইরানের শাসক গোষ্ঠী [ভালইয়াত ফাকিহ] অপ্রয়োজনীয় পারমাণবিক কর্মসূচির নামে ইরান এবং তার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে… দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে… অন্ধকার দিন আমাদের এগিয়ে আসছে…প্রার্থনার চলছে, আমাদের কোন বদলে যাবে না… এই শাসক গোষ্ঠী এবং তার পারমাণবিক শক্তি ইরানীদের কেবল দারিদ্র এবং দুর্দশা প্রদান করে যাচ্ছে।

ব্লগার সিঘাত পরিহাসের সাথে লিখেছে [ফারসী ভাষায়], “এটা খুব বাজে বিষয় যে “বেশীর ভাগ জনতা এখন লাখপতি হয়ে উঠছে। আর এখন ঘরে একলক্ষ তোমান নিয়ে আসার জন্য কেবল একটা সোনার মুদ্রা প্রয়োজন”।

হামদেল লিখেছে [ ফারসী ভাষায়]:

… নাগরিকরা ধারনা করছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে এবং তার ফলে তারা রিয়ালের বদলে ডলার, ইউরো এবং সোনা কিনে নিচ্ছে। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র এমন এক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে তার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নতির আশা দেখা যাচ্ছে না। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখলে, আমরা ইরানকে একটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ব্যাঙ্কের সাথে তুলনা করতে পারি। ইরানের বর্তমান পরিস্থতি বিগত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় এসে ঠেকেছে আর তার নেতৃত্ব প্রদান করছে আয়তোল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি। দিনে দিনে নাগরিকরা চাকুরি হারাচ্ছে এবং জনতার ক্রয় ক্ষমতা ক্রমশ লোপ পাচ্ছে।

দারা২০১১, কয়েক সপ্তাহ আগে রিয়ালের পতনের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। ব্লগার বলছে [ফারসী ভাষায়] :

… বিশেষ করে যখন ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের নেতারা দেশটির অর্থনীতি নিয়ে যখন চিন্তিত নয় এবং তারা ক্ষমতায় থেকে যেতে ইচ্ছুক। রাষ্ট্রপতি আহমাদিনেজাদের শাসনের সময় দেশের অর্থনীতির অবস্থা আরো খারাপের দিকে গড়িয়েছে। ১৯৭৯ সালে এক ডলার ৭০ রিয়ালে বিক্রি হত, এখন সেই এক ডলার কিনতে ১৪,০০০ রিয়াল লাগে, কারণ আগামীতে ডলারের মূল্য ২০,০০০ হতে যাচ্ছে। ইরান কি এখন মধ্যপ্রাচ্যের জিম্বাবুয়তে পরিণত হতে যাচ্ছে?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .