কিউবা: রেডিও মার্তিতে ইন্টারনেট “অফলাইন” নিয়ে ব্লগারদের আলোচনা

গত ২২শে সেপ্টেম্বর, রেডিও মার্তির উপস্থাপক কারেন কাবালেরো ‌একটি আলোচনা অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন যাতে উপস্থিত ছিলেন সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক-এর নৃ-তত্ত্ববিদ এবং ব্লগার টেড হেনকেন, ইওয়ানি সানচেজ ও অরল্যান্ডো লুই পার্ডো লাজোসহ কয়েকজন কিউবান ব্লগার এবং হেনকেনের বেশ কিছু ছাত্র।

এটি ছিল রেডিও মার্তির একটি অভূতপূর্ব অনুষ্ঠান। এ্রই স্টেশনের অনুদান ও নির্দেশনা আসে সরকারি সম্প্রচারমূলক বোর্ড নামের যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল এজেন্সি থেকে। এই যুক্তরাষ্ট্রীয় এজেন্সি যেসব দেশে বেসরকারী মিডিয়ার স্বাধীনতা কম অথবা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে রেডিও ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করায় মনোনিবেশ করে। রেডিও মার্তির অনেক অনুষ্ঠানই স্পষ্টভাবে ক্যাস্ত্রো-বিরোধী এবং কিউবার উপর মার্কিন ধারণার অনুগামী; এই স্টেশনটি কয়েক দশক ধরেই মার্কিন-কিউবার রাজনৈতিক সম্পর্কের বাহক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

কিন্তু বিশেষ এই অনুষ্ঠানটিতে কিউবানদের একটি দলকে (ব্লগারদের) নিয়ে বলা হয়েছে যারা নিজেরদেরকে কখনো কিউবান সরকারের ভিন্ন মতাবলম্বী বলে মত পোষণ করে না বা বিরুদ্ধাচরণ করে না। অংশগ্রহণকারীরা কিউবায় ক্রমবর্ধমান ব্লগার ও সামাজিক মাধ্যম, এবং দ্বীপ অঞ্চলে নতুন মাধ্যমের সৃজনশীল ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন যেখানে ইন্টারনেট ও মুঠোফোন প্রবেশের হার একেবারেই কম।

বোরিং হোম ইউটপিকস ব্লগের ফটোগ্রাফার অরল্যান্ডো লুই পার্ডো লাজো মিডিয়ার সাথে জড়িত তরুণ কিউবানদের নির্মিত ইন্টারনেট “অফলাইন”-এর বিবরণ দেন।

Es muy bajo el nivel de conectividad en Cuba… Pero sin embargo hay mecanismo alternativos. Este es Internet “offline,” el Internet sin Internet…circulan las columnas por [el sistema de] los correos electrónicos internos que tiene cuba…Circulan los blogs offline como [en] discos, en CDs, memorias flash, DVD, y entonces de mano a mano esta información pasa…

কিউবায় ইন্টারনেট সংযোগের হার খুবই কম…তারপরও বিকল্প কারিগরি ব্যবস্থা আছে। এটাই ইন্টারনেট “অফলাইন”, ইন্টারনেট ব্যতীত ইন্টারনেট…কিউবার অভ্যন্তরীণ ইমেইল ব্যবস্থার সাহায্যে ব্লগের লেখা বিভিন্ন পাঠকদের পাঠানো হয়…ডিস্ক, সিডি, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, ডিভিডি ইত্যাদির মাধ্যমেও ব্লগের লেখা ও অন্যান্য তথ্য ছড়িয়ে হাতে হাতে পৌঁছে যায়…

সানচেজ তার “ব্লগার একাডেমি” এর বিবরণ দেন, যেখানে তিনি বন্ধু ও অন্যান্যদের কিউবানদের কাছে অপিরিচিত নতুন মিডিয়ার যন্ত্রপাতির ব্যবহার সম্পর্কে শেখান। তিনি “সাকুয়েন এল মাক্সিমো পোতেনসিয়াল দে সু মোভিল” [মোবাইল ফোন দ্বারা অনেক কিছু পাও] নামের একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের এসএমএস এর মাধ্যমে ছবি, ভিডিও ও টুইট বার্তা পাঠাতে শেখান।

হেনকেনের ছাত্রদের একজন সানচেজকে ব্লগার হিসেবে তার লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করেছিল।

আপনি আপনার বার্তা কেন পৌঁছাতে চান? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়া বা অন্যান্য কিউবানদের কাছে? এবং আপনি আপনার বার্তা ইন্টারনেটে কেন পাঠান যেখানে কিউবায় ইন্টারনেট চালনা কষ্টসাধ্য?

[M]i lector preferido sería el vecino al lado…pero Internet no fue una decisión. Internet era la única posibilidad. […] Llegamos a la conclusión de que nunca nos iban a dar un minuto en la radio, un minuto en la television, ni siquiera unas líneas en la prensa nacional. Entonces tuvimos que usar el Internet como el unico camino ahora mismo de expresión cívica.

আমার পছন্দের পাঠক হবে আমার প্রতিবেশী…কিন্তু ইন্টারনেটেই হবে এমন কোন কথা নেই। ইন্টারনেট শুধুমাত্র একটি সম্ভাবনা। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, তারা আমাদেরকে রেডিওতে, টেলিভিশনে এমনকি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে এক মিনিটও সময় দেবে না। তাই আমাদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়েছিল যা, নাগরিক প্রতিক্রিয়ার একমাত্র জায়গা।

প্রকৃতপক্ষে, প্রতিক্রিয়া ও তথ্য প্রকাশের জন্য সে দেশে ইন্টারনেট উপযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এখনো বহু দূরে, অনেক কিউবানদের জন্য ইন্টারনেট এখনো অজানা জায়গা, এবং একটা ব্লগ বা একটা টুইটার অ্যাকাউন্টের সামান্য ধারণাও দুর্বোধ্য। কিন্তু যেসব কিউবানরা অনলাইনে হতে পারে, তারা ইন্টারনেট “অফলাইন”-এও অংশও নিতে পারে, ব্লগ আর সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো যোগাযোগ ও মনোভাব স্বাধীনভাবে প্রকাশের জন্য জায়গা করে দিয়েছে। এটি একটি উপন্যাস আর এটা খুব শক্তিশালী, এবং এর সামাজিক প্রভাব কম এবং মন্থর, কিছু ব্লগার বিশ্বাস করেন যে, দ্বীপ অঞ্চলে প্রযুক্তির কারণে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।

কিউবান কবি ও লেখক আন্তোনিও জোসে পোঁতে, যিনি এই কথোপকথনে অংশ নিয়েছেন, তিনি ব্যাপারটি সমর্থন করেছেন।

[C]ada vez se hace más visible la informacion—la gente tienen menos temor en informarse ahora. Todo eso se va eliminando a través de nuevos modos de comunicación.

দিনে দিনে তথ্য আরো দৃশ্যমান হচ্ছে-মানুষ এখন জানতে আর ভীত নয়। যোগাযোগের নতুন রূপের কারণেই এগুলো বিলীন হয়ে গেছে।

*যখন এই অনুষ্ঠানটিতে কিউবায় নতুন মাধ্যমের সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়ে শ্রোতাদের জানানো হচ্ছিল, তখন এই সম্প্রচারটি আপনা-আপনিই কিউবা-কেন্দ্রিক মাধ্যমগুলোর একটি অজানা দিক উন্মোচিত করছিল। এই সিরিজের দ্বিতীয় অংশে টেড হেনকেনের একটি সাক্ষাৎকার থাকবে, যিনি মার্কিন সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত রেডিও মার্তিতে তার কাজের অভিজ্ঞতার বিবরণ দেন।

*ব্যবহৃত ছবিটি ফিল গেস্ট এর তোলা এবং সিসি লাইসেন্স বিওয়াই-এসএ ২.০ এর আওতায় পুন:প্রকাশিত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .