ফিলিপাইনস: ম্যানিলা চিড়িয়াখানার দু:খজনক অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ

ম্যানিলা চিড়িয়াখানার সাম্প্রতিক খারাপ অবস্থা ফিলিপাইনসের নেট নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে বিশেষ করে অনলাইনে কিছু ছবি পোস্ট করার পরে। এইসব ছবির প্রতি প্রতিক্রিয়ার আধিক্যের ফলে ‘ম্যানিলা চিড়িয়াখানা’ কিওয়ার্ডটি গত মাসে টুইটারের জনপ্রিয় বিষয় হিসাবে পরিণত হয়েছে।

এটা শুরু হয় গত ১২ই জুলাই তারিখে যখন নিক্স দে পানো তার লাইভজার্নাল ব্লগে ২০০৮-২০১০ সালে তোলা ম্যানিলা চিড়িয়াখানার কিছু ছবি পোস্ট করেন যাতে দেখা যায় অসুস্থ পশু আর খারাপভাবে খাঁচা রাখা হয়েছে। পরের দিন পানোর বন্ধু কারেন আঙ্গ কিছু ছবি পুন:প্রকাশ করেন দ্যা প্রো- পিনোয় প্রোজেক্ট সাইটে:

বেশ দ্রুত পুরো ব্যাপারটা বিশ্বব্যাপি টুইটারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। ‘ম্যানিলা চিড়িয়াখানা’ হ্যাশ ট্যাগটি জনপ্রিয় একটা ট্রেন্ডিং বিষয়ে পরিণত হয় আর ছবির টুইটটি হাজারের বেশী পুন:টুইট আর পুন:পোস্ট পেয়েছে। এটা কিছু জনপ্রিয় ব্যক্তি আর প্রধান ধারার মিডিয়ার নজরেও পড়েছে।

পশুদের সাথে ভালো ব্যবহারের পক্ষে মানুষ (পেটা) অনলাইনে একটা পিটিশন চালু করেছে ম্যানিলা শহরের মেয়র আলফ্রেদো লিমকে আহ্বান করে যাতে চিড়িয়াখানায় আরো পশু আনার পরিকল্পনা বন্ধ করা হয়। তারা পশুদের অবস্থার উন্নতির দাবি করছেন আর অবশেষে চিড়িয়াখানাটি বন্ধ করে দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তারা:

ম্যানিলা চিড়িয়াখানায় থাকা জিরাফ, ঘোড়া, কচ্ছপ, কুমির, খরগোশ আর হরিণদের প্রচন্ড ভীরের মধ্যে খাঁচায় রাখা হয়। সম্পূর্ন একা একটা খাঁচায় থাকা সিসি নামে একটা ওরাঙ্গ ওটাং কেবল এতটুকু জায়গা পায় তার হাত বাড়াবার মতো। মালি নামে একা থাকা একটা হাতি থাকে কংক্রিটের একটা খাঁচায় আর বাঘ যারা সাঁতার কাটতে পছন্দ করে অল্প একটু পানি ছাড়া আর কিছু পায়না।

ব্লগার ফেইথ সালাজার ইতোমধ্যে স্বেচ্ছাসেবীদের আহ্বান জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার দেখাশোনার জন আর ম্যানিলা চিড়িয়াখানার বন্ধু আন্দোলনে সই করার জন্য:

অবশ্যই ম্যানিলা চিড়িয়াখানার অনেক উন্নয়ন দরকার। প্রথমত, এখানে জনবলের অভাব। এখানে এমন মানুষের দরকার যারা পশুদের জন্য তাদের ভালোবাসা বাচ্চা আর তাদের বাবা মাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে, তাদের বোঝাতে যতই কষ্ট হোক না কেন। যেসব মানুষ না জেনে পশুদের খাওয়াচ্ছে তারা তাদের স্বাস্থ্যহানিতে অবদান রাখছে। প্লাস্টিক, কাঠি আর অন্যান্য ক্ষতিকর জিনিষ পশুরা খেয়ে ফেলে আসলে দুইটা জিরাফ মারা গেছে, তাদের চারটার মধ্যে একটা পেট প্লাস্টিকে ভরা।

আঙ্গ আর দে পানো দুইজনই ম্যানিলা চিড়িয়াখানায় গিয়েছেন সপ্তাহের মধ্যে পশুদের দুর্ভোগের ব্যাপারে চিন্তা জানানোর পরে। দুই জনই লক্ষ্য করেছেন যে চিড়িয়াখানার অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে দুই বছর আগের ছবিতে দেখা পরিস্থিতির তুলনায়। তবে সরকার এর পক্ষ থেকে যথেষ্ট অর্থের অভাব চিড়িয়াখানার পশু আর তাদের দেখভাল করার মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে চলেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .