প্যালেস্টাইন: প্রকাশিত ফিলিস্তিনি নথির প্রথম গুচ্ছের উপর প্রতিক্রিয়া

এ পোস্টটি হচ্ছে আমাদের বিশেষ কাভারেজ উইকিলিকস ও বিশ্ব এর অংশবিশেষ।

মাহমুদ ওমরের পোস্টে ব্যবহৃত ছবি।

২৩শে জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে আল-জাজিরা প্রথম উইকিলিকস এর সদৃশ ফিলিস্তিন সংবাদ নামের একটি প্রকল্প উন্মোচন করেছে। এবং এর সাথে সাথে তারা আল-জাজিরা ট্রান্সপারেন্সি ইউনিট নামের একটি সমবায়ী মিডিয়া মাধ্যমের আরম্ভ করেছে যেখানকার আরবি ও ইংরেজী চ্যানেলে সবাই যে কোনো ধরনের বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে পারবে। ইতিমধ্যে প্রকাশ করা ১৬০০ নথির প্রথম গুচ্ছ সম্পর্কে ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিনি পন্থী ব্লগগুলিতে নেট নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া থেকে কিছু বাছাই করা প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হল।

৭ইবের এ, ফিলিস্তিন লিগ্যাল ত্রাণ তহবিলের চেয়ারম্যান, ম্যারি নাজ্জাল-বাতায়নেহ বলেছেন:

…কেউ এই ভেবে সান্ত্বনা পেতে পারেন যে, ‘আলোচনাকারীরা’ যে পদক্ষেপই নিক না কেন আন্তর্জাতিক আইনে ফিলিস্তিনিদের অধিকার তারা কখনই নস্যাৎ করতে পারবেনা। আন্তর্জাতিক আইনে যে অধিকারের কথা বলা আছে, তার মধ্যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অধিকার ও পূর্ব জেরুজালেমসহ অন্যান্য দখলকৃত ভূমির উপর ফিলিস্তিনিদের অধিকারও অন্তর্ভুক্ত হয় এবং কোনোকিছুই সেটিকে অকার্যকর করতে পারবেনা।

অন্যদিকে, অ্যানি, একজন ফিলিস্তিনি পন্থী ব্লগার, মনে করেন যে ইজরায়েল তাদেরকে একে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিতে সক্ষম হরেছে। যোহরাহ বাকেরের উদ্ধৃতিতে:

“যদি ফিলিস্তিন সংবাদ থেকে কোনও বিষয় শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন হয় তবে তা হচ্ছে ইজরায়েল আমাদেরকে একে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিতে দুর্দান্তভাবে সফল হয়েছে। কারণ আমরা এ ফাঁস হওয়া নথিগুলো সম্পর্কে ইজরায়েলি নেতাদের কোনোরকম প্রতিবাদ দেখছি না।”

জাইদ খলিল আবু জায়াদ এর সাথে একমত পোষণ করেন:

و اما التعصب السياسي فأخذ يظهر تأثيره على معظم من عبر عن اراءه سواء كان مدافعا ام مهاجما ام معارضا…و اقتصر التعبير عن الرأي من خلال الانترنت و الفيسبوك و محتوى التعبير كان اما شتم و تخوين او دعم بدون تفكير في معظم الاوقات

যারা এ বিষয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়েছে তাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার শিকার হয়েছে এবং সেটা কোনও মত সমর্থনের জন্য হোক, অথবা কাউকে সমালোচনা করে হোক কিংবা কোনও বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে হোক…এজন্য এখন মত প্রকাশের জন্য ইন্টারনেট ও ফেসবুক ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই এবং এসব জায়গায় প্রকাশিত বেশিরভাগ মতামতের সারাংশ হচ্ছে কুবচন, বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এবং কোনও কিছু না ভেবেই কোনও কিছুর সমর্থন প্রদান।

কেববফেস্ট এর একজন অতিথি ব্লগার বেশ ভালো একটি বিশ্লেষণ প্রদান করেছেন কিন্তু সবশেষে ইতি টেনেছেন এই বলে যে এটি কেবল ব্যবসা:

আমরা ফিলিস্তিন সংবাদের ফলাফল হিসেবে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের মধ্যে বিশেষ কোনও কিছু নিরীক্ষণ করিনি।

মাহমুদ ওমর ফিলিস্তিনিদের ভাবমূর্তির কারণে বেশ ক্ষুদ্ধ। তিনি (অনেকটা বিদ্রূপের সাথে) বলেছেন:

ستستمر الجزيرة، لأنها قناة اعلامية تؤمن بالرأي والرأي والآخر، أو لأنها جزء من سياسة قطر المرتبطة بشكل مشبوه باسرائيل، أو لأنها تريد البحث عن خبطة صحفية، أنا لا يهمني كثيرًا سبب استمرار الجزيرة في نشر 1600 وثيقة ومحضر اجتماعات سرية للمفاوضات بين السلطة واسرائيل، أنا يهمّني وثائق، أرقام، خرائط، مضمون، يهمّني أن أعرف عن أيّ سلام يتحدثون، عن أيّ قدس، وعن أيّ عودة، أنا يهمّني المضمون؛ فلسطيني ؟ نعم، ولكن، عن أيّ فلسطين !

আল জাজিরা তার কাজ চালিয়ে যাবে, হয়ত এর কারণ তারা মতামতের ভিন্নতার উপর বিশ্বাস করে, কিংবা হয়ত এটা কাতারের রাজনীতির অংশ যারা ইসরায়েলের সাথে সন্দেহজনকভাবে সম্পর্কযুক্ত, কিংবা হয়ত এরা কোনও উদ্দীপক সংবাদের শুরু করতে চায়। কেন আল-জাজিরা পি.এ ও ইসরায়েলি সরকারের গোপন সমঝোতার ১৬০০ নথি প্রকাশ করছে সে বিষয়ে আমার তেমন আগ্রহ নেই। আমি গুরুত্ব দেই দলিল, সংখ্যা, মানচিত্র, বিষয়বস্তুর উপর, আমার আগ্রহ আছে এটি জানার জন্যে যে তারা কোন ‘শান্তির’ ব্যাপারে কথা বলছে। জেরুজালেমে কি হচ্ছে, জেরুজালেম থেকে কি ফেরত আসছে, আমি কেবল বিষয়বস্তুর ব্যাপারেই আগ্রহী। ফিলিস্তিনিদের উপর? হ্যাঁ, কিন্তু প্যালেস্টাইনটা কি?

এ পোস্টটি হচ্ছে আমাদের বিশেষ কাভারেজ উইকিলিকস ও বিশ্ব এর অংশবিশেষ।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .