বলকানঃ জনগোষ্ঠীর অর্ধেক অংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে

বলকান/প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ার প্রায় ১ কোটি ৫০ হাজার নাগরিক ইন্টারনেট ব্যবহার করে, যা উক্ত এলাকার মোট জনগোষ্ঠীর ৫১.৭ শতাংশ। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে আসে [ সার্বীয় ভাষায় প্রকাশ করা নীচের তালিকাটি দেখুন]।

হুগো মিডিয়া এই তথ্য [.জিপ আকারে প্রকাশ করা, সার্বীয় ভাষায়] উদ্ধৃত করেছে, এটি তারা করেছে মার্কো টোমিচ-এর সাথে যৌথ ভাবে মিলে। মার্কো তোমিচ, বেলগ্রেড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ অর্গানাইজেশনাল সায়েন্স-এর এক ছাত্র। এই রিপোর্ট প্রদর্শন করছে যে স্লোভানিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের হার সবচেয়ে বেশী (৬৩.২৯ শতাংশ) , অন্যদিকে বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনায় ইন্টারনেট ব্যবহারের হার সবচেয়ে কম (৫১.৭৬ শতাংশ ব্যক্তি এখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে)।

এটা একটা বেশ কৌতূহলজনক বিষয় যে সার্বীয় এবং ক্রোয়েশীয় জনগোষ্ঠীর অর্ধেক অংশ ইন্টারনেটে বেশীরভাগ সময় কাটায়, এবং এই প্রবন্ধের লেখকরা যে তথ্য পেয়েছেন তার ভিত্তিতে বিবেচনা করছেন [সার্বীয় ভাষায়] যে সার্বীয়ার পরিসংখ্যান বিভাগ (আরাজেডএস) ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে যে গবেষণা করেছে, তা পুর্নাঙ্গ নয়ঃ

………ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে, আমরা মনে করি আরজেডএস যে মুল্যায়ন করেছে তা পুর্নাঙ্গ নয় এবং এ ক্ষেত্রে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে অন্তভুর্ক্ত করা হয়নি। [তারা] কেবল এক বিশেষ সংখ্যার ডাটা যাচাই করে দেখেছে এবং আমাদেরকে এক বিশেষ বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছে, কিন্তু তারা আমাদের সামনে ইন্টারনেট ব্যবহারের পুরো চিত্রটি তুলে ধরতে পারেনি।

ফেসবুক এই অঞ্চলে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট মাধ্যমঃ সার্বীয়ার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে শতকরা ৭০ শতাংশ নাগরিকের ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে, এবং ক্রোয়েশিয়ার শতকরা ৬০ শতাংশের ফেসবুক একাউন্ট রয়েছেঃ

এই এলাকার লোকজন গড়ে ২৫ মিনিটের মত সময় ফেসবুকে কাটায় (সার্বীয় এবং ক্রোয়েশীয় উভয় জনগোষ্ঠী) এবং সার্বীয়ার একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী গড়ে দিনে ১৬ বার ফেসবুক যাচাই করে থাকে, একই সময় ক্রোয়েশীয় নাগরিকরা দিনে গড়ে ১৩ বার ফেসবুক যাচাই করে থাকে।

[…]

ফেসবুকের ব্যবহার ক্রমে বাড়তে থাকার বিষয়টি সার্বীয়া এবং ক্রোয়েশীয়ার বাসিন্দা নয় এমন ব্যক্তিদের ফেসবুক ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়, যারা ভ্রমণের সময় সামাজিক প্রচার মাধ্যমের ব্যবহার করে থাকে।

বলকানের অন্য দেশসমূহের অনলাইনে সামাজিক গতিশীলতা এবং ফেসবুক কার্যক্রম এদের থেকে খুব একটা আলাদা নয়। গত বছর আমরা সার্বীয়ার সেই সব তরুণদের অনলাইন ব্যবহারের উপরযে তথ্য প্রকাশ করেছিলাম যারা তাদের বেশীরভাগ সময় অনলাইনে কাটায়, এর মাধ্যমে তাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখে (৬১ শতাংশ), তাদের কর্মকাণ্ড পছন্দ করে (৬৬ শতাংশ), একে অন্যের সাথে উপাদান এবং তথ্য আদান প্রদান করে ( ৫৬ শতাংশ) ব্যক্তিগত বার্তা পাঠায় (৪৭ শতাংশ) এবং এখানে গেম খেলে (২২.৪ শতাংশ) নাগরিক।

জটিল সব ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যক্রম চিহ্নিত করা এবং তাদের উপর মনোযোগ প্রদানের জন্য বলকান অঞ্চলের দেশসমূহ ডাটা সংগ্রহ করতে পারে এবং তা ব্যবহার করতে পারে, যাতে তারা এই ডাটার ভিত্তিতে তাদের নীতি এবং কার্যক্রম নির্ধারণ করতে পারে।

এখানে ব্যবহারকারীদের বয়স এবং অন্যান্য জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিষয়গুলো লক্ষ্য করা বেশ কৌতূহলজনক ব্যাপার। একই সাথে অন্য সব ইন্টারনেট সেবা এবং সামাজিক প্রচার মাধ্যমে যে সব অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ অনুষ্ঠিত হয় সে সবের বিশ্লেষণ বেশ কৌতূহলজনক হবে।

সম্প্রতি সার্বীয়ায় তরুণ, ছাত্র, শিক্ষক এবং পণ্ডিতদের ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর গবেষণা চালানো হচ্ছে, কিন্তু তা করা হচ্ছে অনেক সীমিত আকারে। এমন ভাবে তা করা হচ্ছে যা দিয়ে পুরো বলকানের সামগ্রিক জনসংখ্যার চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ-এ, প্রতিটি রাষ্ট্র আলাদা আলাদা ভাবে জাতীয় পর্যায় থেকে প্রাপ্ত ডাটা নিয়ে কাজ করতে পারে, যাতে তার একে অপরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করতে পারে।

2 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .