এই পোস্টটি মিশর বিপ্লব ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
খালেদ সাইদ ছিল আলেকজান্দ্রিয়ার এক তরুণ। অভিযোগ রয়েছে যে, সে গত বছর জুন পুলিশের হাতে সে খুন হয়। মৃত্যুর পর সে হয়ে উঠে মিশর বিপ্লবের এক প্রতীক। তার খুনের ঘটনা তরুণ মিশরীয়দের মাঝে সপ্তাহ জুড়ে ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি করে যা এক সময় বিপ্লবে রূপান্তরিত হয়, যখন তার ক্ষতবিক্ষত দেহের ছবি সবখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সাইদের খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ক্রমাগত বাড়তে থাকা এক ক্ষুব্ধ আহ্বান সত্ত্বেও, আলেকজান্দ্রিয়ার অপরাধ আদালত অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপাতত স্থগিত করে রেখেছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা সাইদের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাকে প্রহার করে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে।
এই বিচার প্রক্রিয়া দেখার জন্য বিশাল সংখ্যক একদল সমর্থক এবং একটিভষ্ট কায়রো থেকে আলেকজান্দ্রিয়া গিয়েছিল। তাদেরকে আদালত কক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়া এবং মামলা খারিজ করে দেবার পর, এই বিষয়ে তাদের কিছু প্রতিক্রিয়া এখানে তুলে ধরা হল।
আল জাজিরার আয়মান মোহায়লেদিন, এই মামলার শুনানীর সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি তার টুইটে, সংবাদটি প্রকাশ করেন:
@ আইমানএম: #খালেদসাইদের বিচারের রায় ২৪ সেপ্টম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে গেল @ আলজাজিরাইংলিশ @এজেব্রেকিংনিউজ
সে এর সাথে আরো ব্যাখ্যা করছে:
@আইমানেম: #খালেদসাইদের শুনানীর রায় দিতে দেরী হচ্ছে কারণ মূল রিপোর্ট নতুন প্রমাণের কারণে ধারাবাহিকতার অভাব প্রকট করছে। এর মানে হচ্ছে আরো গুরুতর অভিযোগ আনা হচ্ছে
এবং সে এর সাথে যোগ করেছে:
@আইমানএম: যে পুলিশেরা #খালেদসাইদকে খুন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে এখন মানুষ কেটে ফেলা থেকে অত্যাচার এবং খুনের অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে @আজেইংলিশ।
এবং সে উপসংহারে জানায়:
@আইমানএম: নতুন প্রমাণ মানে সম্ভব্য নতুন অভিযোগ গঠন। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে তাদের কেবল ৭ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা সম্ভব। নতুন অভিযোগে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা সম্ভব হবে।
ফেসবুকে আমরা সবাই খালদ সাইদ নামের পাতার এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ওয়াএল ঘানিম। সাইদের মৃত্যুর পর এই পাতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ পায়, সেখানে এই রায়ের পর সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
@ঘোনিম: আমার মতে আমাদের সকলের শান্ত থাকা উচিত এবং #খালেদসাইদের আইজীবীর কাছ থেকে কোন মন্তব্য না শোনা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
এই উপদেশ একটা অর্থ তৈরি করে যেমনটা লিলিয়ান ওয়াগডি জানাচ্ছে যে আসলে সাইদের আইনজীবী এই শুনানী বাতিলের দাবি করেছিল:
বাদী পক্ষের আইনজীবী এসাম সাদানি জানান যে আদালত তাদের অনুরোধে শুনানী পিছিয়ে দেয় #খালেদ সাইদ
এবং এল মানসী নিশ্চিত করেছে [আরবী ভাষায়]:
গিগি ইব্রাহিমও সেখানে ছিলেন এবং তিনি লিখেছেন:
@জিস্কোয়ার৮৬: আদালতের জন্য তা প্রদর্শন করা, #খালেদসাইদের সমর্থনে অনেক পরিচিত মুখ http://yfrog.com/klydpzsj
সারাহ আদালতের বাইরে উপস্থিত সমবেত জনতার ছবি প্রকাশ করেছে এবং মন্তব্য করেছে:
@sarrahsworld: At the #khaledSaid court ruling. Ppl chanting same3 om shahid betnady, men yegebly 7a2 welady. http://yfrog.com/h31xutcj
এবং দিমা খাতিব, যে কায়রো থেকে আলেকজান্দ্রিয়ায় গিয়ে হাজির হয়, সে টুইট করে:
@দিমা_খাতিব: তার আদালতের বাইরে স্লোগান দিচ্ছিলো: “আমরা শহীদদের নামে শপথ নিলাম, আবার বিপ্লব শুরু হল”#খালেদসাইদ
আরেকটা টুইটে, সে জানাচ্ছে :
@দিমা_খাতিব: সেখানে জনতা এই লেখা নিয়ে দাড়িয়ে ছিল: ” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় নীচের সেবাগুলে প্রদান করে থাকে: আমাকে হত্যা কর, ধন্যবাদ, আমাকে আঘাত কর ধন্যবাদ, আমাকে লাথি দাও, ধন্যবাদ। কেবল ১২২ নাম্বারে ফোন কর” !
এবং সে এর সাথে যোগ করেছে:
@ দিমা_খাতিব: আদালতের কাছে সামান্য এক বিক্ষোভ প্রদর্শন, ট্যাংকগুলো যেখানে দাঁড়িয়ে রাস্তার উপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তার সামনে জনতা স্লোগান দেয় “ জনাব তানতাউয়ি শহীদদের রক্তের জন্য আপনি কত টাকা পেয়েছেন”?!! #খালেদসাইদ
ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মাদ হুসাইন তানতাউয়ি মিশরীয় সামরিক বাহিনীর প্রধান। মিশরের রাষ্ট্রপতি হোসনী মুবারক ক্ষমতা থেকে অপসারিত হবার পর থেকে তিনি মিশরের অস্থায়ী প্রধান রাষ্ট্র চালাচ্ছে।
মানবাধিকার কর্মী রামি রাউফ সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তার পক্ষে সবচেয়ে যে সেরা কাজটি করা সম্ভব তিনি তাই করেছেন। রাউফ আলেকজান্দ্রিয়ার অপরাধ আদালতের বাইরে থেকে সরাসারি সংবাদ প্রদান করছিল।
এই পোস্টটি মিশর বিপ্লব ২০১১ সম্বন্ধে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।