জর্জিয়াঃ শ্যারন স্টোন জাতিকে আকর্ষণ করে গেলেন

এই সপ্তাহান্তে জর্জিয়ার সামাজিক নেটওয়ার্ক এবং একই সাথে অনলাইন এবং প্রচলিত প্রচার মাধ্যমগুলোতে আলোচিত বিষয় ছিল রেনি হার্লিন্সের ছবির মহরত অনুষ্ঠানটি। এই ছবির নাম “৫ ডেইস অফ আগস্ট”, এই ছবিটি অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জর্জিয়া বনাম রাশিয়ার যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হতে যাচ্ছে।

এই অনুষ্ঠানের জন্য কেবল ছবির পরিচালক-ই শহরে উপস্থিত ছিলেন না, তার সাথে ছবির অভিনেতা এন্ডি গার্সিয়া, ডিন কেইন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে এই মহরত অনুষ্ঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অতিথি ছিলেন হলিউডের অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন।

এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবার জন্য শ্যারন স্টোন মস্কো থেকে উড়ে আসে। সেখানে তিনি মুজ.টিভির পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি এই চলচ্চিত্রে কর্মী ও কুশীলবদের একদিন আগে এখানে এসে উপস্থিত হন, যারা সরাসরি লস এঞ্জেলস থেকে এসেছে। শ্যারন স্টোনের আগমনের এক দিন আগে, তার আগমনের প্রস্তুতি, প্রচার মাধ্যমে তার আগমনের সংবাদে অনলাইনের ধারা বর্ণনা কারীদের চরমভাবে বিরক্ত করে [জর্জিয়ান ভাষায়]:

უკვე რამდენიმე დღეა, რაც თბილისი შერონის ქალაქად ან “შერონსთაუნად” (“Sharon’s town“) არის ქცეული. ჩვენ შერონით ვსუნთქავთ, შერონით ვხედავთ, შერონით გვესმის და შერონით განვიცდით.

গত কয়েকদিন ধরে তিবলিসি শ্যারনের শহরে (শ্যারন’স টাউন শব্দটি একসাথে লিখলে শ্যারনস্টোন হয়ে যায়) পরিণত হয়েছে। আমরা এখন শ্যারনের নামে নিঃশ্বাস নিচ্ছি, সব জায়গায় তাকে দেখছি এবং তার কথা শুনি ও তাকেই অনুভব করছি।

জর্জিয়ার রাষ্ট্রপতি এই অভিনেত্রীর আগমনের প্রথম রাতে তাকে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে আতিথ্যের আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি তার প্রাসাদ থেকে অভিনেত্রীকে রাতের তিবলিসি শহর দেখান। রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক বাসভবনে এই অতিথির আগমন, আমন্ত্রণ কর্তা এবং অতিথি উভয়ের জন্য মজার হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের দৃশ্য জর্জিয়ার চ্যানেলগুলোতে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং সেগুলো সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলোতে প্রদর্শিত হয়।

হার্লিন্সের মহরতে উপস্থিত হবার আগে, এমনকি শ্যারনস্টোন দেশটির আধ্যাত্মিক নেতা দি প্যাট্রিয়ার্ক অফ জর্জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। পুরোনো তিবলিসি শহরের রাস্তায় অনেকে তাকে আবিষ্কার করেছে।

@বাইসাইকেলমার্ক :আজ তিবলিসির রাস্তায় দুইবার শ্যারনস্টোনের দিকে এগিয়ে গেছি। দুই সেকেন্ডের জন্য আমরা একে অন্যের দিকে তাকালাম। এরপর পর্যটক হিসেবে আবার আমরা রাস্তায় মিশে গেলাম।

@বাইসাইকেলমার্ক : ঠিক যখন সে আমাদের অতিক্রম করে চলে গেল, তখন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকজন পর্যটক তাকে অভিবাদন জানালো, তার সাথে হাত মেলাল এবং তার পাশে দাঁড়ালো। হুমম এই কাজটি করা যেত।

@লাকোবুকিয়া: আজ রাতে আমি শ্যারনস্টোনকে দেখতে পাব, ওহ খোদা, কি রোমাঞ্চকর ব্যাপার।

@মিজিয়াকুপুনিয়া : রুস্তাভ্যালি সিনেমা হলে লোকজন সমবেত হয়ে শ্যারন স্টোন এবং এন্ডি গার্সিয়ার প্রতি জোরালো উল্লাসধ্বনি প্রদান করছে এবং করতালি দিয়ে তাদের অভিবাদন জানাচ্ছ।

তবে এদিকে একদল ছাত্র রেডিসন ব্লু হোটেলের সামনে জড়ো হয়, যে হোটেলটিতে হলিউডের এই অভিনেত্রী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তারা এই স্থানে জড়ো হয়েছিল তাদের বিবেচনায় এই মহরতের উত্তেজক আয়োজনের বিরুদ্ধে। তার সেখানে কিছু পোস্টার বহন করে, যেখানে লেখা ছিল “ মৌলিক মূল্যবোধের বিপরীতে মৌলিক তাড়না” ( মৌলিক তাড়না বা বেসিক ইনস্টিংক্ট হচ্ছে শ্যারন স্টোন অভিনীত একটি ছবির নাম), “যথেষ্ট হয়েছে, অর্থ শরণার্থীদের প্রদান কর”, এবং সস্তা প্রচারণা কোন শিল্প নয়, যা কিছু চলচ্চিত্র সমালোচকের কাছে হার্লিন্সের চলচ্চিত্রের বিষয়, ছাত্ররা সেটি উল্লেখ করে । সংবাদ সংস্থাগুলো এই বিষয়ে সংবাদ প্রদান করেছে এবং ফোরাম.জিই বিষয়টি নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করছে।

ডোনি.জিই, যাদের একটি বাড়তি পোস্টে স্থানীয় প্রচার মাধ্যমের প্রদান করা সংবাদের সমালোচনা করেছে [জর্জিয়ান ভাষায়] এছাড়াও সে ভবিষ্যদ্বাণী করে যে হলিউডের এই অভিনেত্রী তিবলিসি ত্যাগ করার সাথে সাথে তিবলিসির পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকবে:

“შერონის პირველი დღე თბილისში”, “შერონის მეორე დღე თბილისში”, “შერონი ქართულ რესტორანში”, “შერონმა წაუცეკვა”, “ჰოლივუდის ვარსკვლავს მშვიდობის ხიდი მოეწონა”, “შერონი მხარს უჭერს საქართველოს სუვერენიტეტს და ტერიტორიულ მთლიანობას”, “შერონი გმობს პუტინის ოკუპანტურ რეჟიმს”, “შერონი ჩაფრინდა და იწერება – კარგად ვარო”, “შერონს ქართული სუფრა ენატრება” და მრავალი.

““তিবলিসিতে শ্যারনের প্রথম দিন” “তিবলিসিতে শ্যারনের দ্বিতীয় দিন” জর্জিয়ার এক রোস্তোরাঁয় শ্যারন”, “ শ্যারন নাচছে” হলিউডের এই তারকা নতুন শান্তি সেতু পছন্দ করেছে”, শ্যারন জর্জিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন প্রদান করেছে” “শ্যারন, পুতিনের দখলদারিত্ব মূলক মনোভাবের নিন্দা জানিয়েছেন” শ্যারন চলে গেছে এবং বলছে এখানে সে ভালে অনুভব করেছে”, “শ্যারন এখন জর্জিয়ার সাপ্রার (খাবার) অভাব অনুভব করছে” এবং এ রকম আরো অনেক সংবাদে এখানকার পত্রিকা ভরে ছিল।

শ্যারন স্টোন সোমবার জর্জিয়া ত্যাগ করেন।

থাম্বনেইল ছবিতে শ্যারনস্টোন, উইকিমিডিয়ার মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়েছে (সিসি বাই-এসএ২.০)।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .