ভারতঃ কেরালার নির্বাচন, এক সুক্ষ্ম সতর্কসঙ্কেত

১৮ মে বুধবার, ২০১১-এ, সাতজন মন্ত্রী কেরালার নুতুন মন্ত্রীসভায় শপথ নেয়, তবে এই পদে আসীন হবার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন উদযাপনের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি ভারতের রাজ্যসভায় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, ১৩ মে ২০১১ তারিখে যখন এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়, তখন কেরালা এক ইতিহাস সৃষ্টির দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছে। লম্বা সময় ধরে এই প্রদেশের সরকারী দলের বিরুদ্ধে ভোট দেবার ইতিহাস রয়েছে। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল খুবই তীব্র, এই নির্বাচনে ১৪০ আসনের রাজ্যসভায় বিজয়ী দল বিরোধী দলের চেয়ে সমান্য কয়েকটি বেশি আসন লাভ করতে সমর্থ হয়। এবারের নির্বাচনে ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) ৭২ টি আসন এবং এলডিএফ (লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ৬৮ টি আসন জিতেছে। কেরালা, রাজনৈতিকভাবে প্রচণ্ড সক্রিয় এক রাজ্য, এই রাজ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় এলাকা যেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিউনিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসীন হয়। সান মারিনো হচ্ছে বিশ্বের প্রথম স্থান যেখানে কমিউনিস্টরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল।

এই বিবর্ণ জয়, ইন্টারনেট জগতের যারা নির্বাচনের উপর নজর রাখছিল তাদের চেতনাকে হতাশ করেছে এবং একই সাথে খুব অল্প কয়েকজন এই জয় এবং পরাজয়ের কথা উল্লেখ করেছে।

Kerala Congress Party Workers

কেরালার কংগ্রেস পার্টির কর্মীরা বিজয় উদযাপন করছে। ছবি লেখিকার।


প্রশান্ত এম লিখেছে,

പുറത്തു പോകുന്ന സർക്കാരിലെ മത്സരിച്ച മന്ത്രിമാർക്ക് കിട്ടിയ ഭൂരിപക്ഷം അവരുടെ പ്രവർത്തന മികവിനുള്ള സാക്ഷ്യപത്രമായി. ഭരണ വിരുദ്ധ വികാരമില്ല എന്ന വാദത്തിനു ഇത് അടിവരയിടുന്നു. 2006ൽ തോറ്റ മന്ത്രിമാരിൽ കുഞ്ഞാലി കുട്ടി, മുനീർ, രാമചന്ദ്രൻ മാസ്റ്റർ, ഇ ടി മുഹമ്മദ് ബഷീർ തുടങ്ങി ഒരു നിര തന്നെ ഉണ്ടായിരുന്നു എന്നതു സ്മരണീയം.

এই নির্বাচনের ফলাফল বিদায়ী মন্ত্রীসভার মন্ত্রীদের অর্জনের বিষয়টি সুস্পষ্ট করছে। এটা এখন পরিষ্কার যে এবারের নির্বচনে প্রতিষ্ঠান বিরোধী কোন উপাদান দেখা দেয়নি। ২০০৬ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সে সময় মন্ত্রীসভার কয়েকজন সদস্য নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল, যা এই দুটি নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেছে।

চিল_আরা লিখেছে,

കടുത്ത പോരാട്ടമായിരുന്നു!
പക്ഷേ വിചാരിച്ചത് പോലെ നമ്മ ടീം തന്നെ കഷ്ടി ജയിച്ചു കയറി. മെസ്സേജ് ക്ളിയറാണ്..മലയാളികളുടെ “അക്കരപ്പച്ച”സ്വഭാവം മാറി തുടങ്ങിയിരിക്കുന്നു..അഴിമതി വിരുദ്ധത, ട്രാന്‍സ്പെരന്‍സി, നല്ല പ്രവര്‍ത്തനം മുതലായവക്കാണ് കൂടുതല്‍ പ്രാധാന്യം എന്ന് ഈ ഇലക്ഷന്‍ ഒരു പരിധി വരെ തെളിയിക്കുന്നു. UDF നു ആഘോഷിക്കാം, അഹ്ലാദിക്കാം, പക്ഷേ മറക്കരുത്…അടുത്ത അഞ്ച് കൊല്ലം ഏതായാലും LDF കൊണ്ടുപോകും എന്ന മനോഭാവത്തോടെയുള്ള പ്രവര്‍ത്തനം മാറ്റി, ഒന്നാഞ്ഞു പിടിച്ചാല്‍ അടുത്തത് കൂടി ഇങ്ങ് പോരും. വഴി കാട്ടിയ LDF നു നന്ദി!

এ ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করা ছিল বেশ কঠিন। তবে যে দলটিকে আমি বাছাই করেছিলাম তারা সামান্য ভোটের ব্যবধানে জিতেছে। এবারের বার্তাটি খুব পরিষ্কার। কেরালার নির্বাচনে যে ঐতিহ্য ছিল তা হারিয়ে গেছে, লোকজন এখন বিশেষ ধারা অনুসারে ভোট প্রদান করছে না, তার বদলে তারা দুর্নীতি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জবাবদিহিতার জন্য ভোট প্রদান করেছে। ইউডিএফ তাদের এই জয় উদযাপন করতে পারে, কিন্তু তাদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

নাজিম কোচুকাহুন লিখেছে,

ജനം ഇത്ര പക്വതമുറ്റിയവരായി മാറിയെന്ന് പതിവു ജാലവിദ്യകളുമായി തെരഞ്ഞെടുപ്പു ഗോദയിലെത്തുമ്പോള്‍ ഇവരാരും കരുതിയിരുന്നില്ല. അതാണ് പ്രതീക്ഷിച്ചത്ര കിട്ടിയില്ലെന്ന് ഉമ്മന്‍ ചാണ്ടിയും പ്രതീക്ഷിച്ചിടത്തോളം എത്തിയില്ലെന്ന് വി.എസും ദീര്‍ഘനിശ്വാസമയച്ചത്. ശരിയായ ജനവിധി ഇതാണ്. ഒരു നൂല്‍പ്പാലത്തിനപ്പുറവുമിപ്പുറവും നിറുത്തിയുള്ള കളി. ഓരോ ഇഞ്ചിലും സൂക്ഷ്മത പുലര്‍ത്തിയില്ലെങ്കില്‍ തെന്നി അഗാധതയിലേക്ക് പതിക്കുമെന്ന ഒരുള്‍ക്കിടിലം ഭരണാധികാരികളെ നേരെ നടക്കാന്‍ പ്രേരിപ്പിക്കും.

কেউ উপলব্ধি করেনি যে লোকজনের ভোট অভ্যাস অনেক পরিণত হয়েছে এবং রাজনীতিবিদেরা স্বাভাবিক ভাবে যাদুকরী সংখ্যার যে জয় আশা করেছিল, এইবার তা প্রচণ্ডভাবে হতাশ করেছে। ঠিক এ কারণে বিজয়ী দলের নেতা ওমেন চান্দে বলেন, তারা যে ফলাফল আশা করেছিলেন তা তারা অর্জন করতে পারেননি এবং পরাজিত দলের নেতা অচ্যুতানন্দ এতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। এটাই সঠিক পন্থা। হার এবং জয়ের ব্যবধান এত সামান্য, যে এর ফলে উভয় দলকে রাজনীতির ময়দানে সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ সামান্য এক ভুল পদক্ষেপের পরিণতি ভবিষ্যৎ-এ ভয়াবহ হতে পারে।

বিজু সি.পি লিখেছে,

തിരഞ്ഞെടുപ്പ്‌- ജയിച്ചത്‌ ജനങ്ങള്‍ മാത്രം
വിവിധ രാഷ്ട്രീയ കക്ഷികളും സമുദായ ശക്തികളുമൊക്കെ ചേര്‍ന്ന്‌ പരാജയപ്പെടുത്താന്‍ ശ്രമിച്ചെങ്കിലും മിക്ക രാഷ്ട്രീയ കക്ഷികളെയും പരാജയപ്പെടുത്തിക്കൊണ്ട്‌ കേരള ജനത ഈ തിരഞ്ഞെടുപ്പില്‍ വിജയം നേടിയിരിക്കുകയാണ്‌. കേരളത്തിന്റെ പൊതു മനസ്സ്‌ ഇടതു പക്ഷത്തിനൊപ്പം നിന്നെങ്കിലും അതംഗീകരിക്കാനോ ജനങ്ങള്‍ക്കൊപ്പമെത്താനോ ഇടതു മുന്നണിക്കു കഴിഞ്ഞില്ലെങ്കിലും വിജയത്തിന്റെ കാര്യത്തില്‍ ജനങ്ങള്‍ മുന്നില്‍ത്തന്നെയാണ്‌.

নির্বাচন-যার মাধ্যমে কেবল জনতা জিতে।
অজস্র রাজনৈতিক দলের বাজে প্রদর্শন এবং ধর্মীয় গন্ধের প্রভাব, এবারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল, তবে সব শেষে কেরালার জনতার জয় হয়েছে। সাধারন মানুষ এখনো বাম দলের সাথে, কিন্তু বাম দল তার পুরোপুরি সুযোগ নিতে পারেনি এবং তারা হেরে গেছে।

তিনি এর সাথে যোগ করেন:

കേരളീയ സ്‌ത്രീ സമൂഹത്തിന്റെ പരാജയം
കുഞ്ഞാലിക്കുട്ടിയും ജോസഫും ഉള്‍പ്പെടെയുളളവര്‍ വന്‍ ഭൂരിപക്ഷത്തില്‍ വിജയിച്ചു. വോട്ടര്‍മാരുടെ കൂട്ടത്തില്‍ 50 ശതമാനത്തിലധികം സ്‌ത്രീകളാണെങ്കിലും എംഎല്‍ എമാരുടെ കൂട്ടത്തില്‍ അഞ്ചു ശതമാനത്തോളമേയുള്ളൂ സ്‌ത്രീകള്‍.

এই নির্বাচন রাজ্যের নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। যখন কলঙ্কিত প্রাক্তন মন্ত্রী যার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে সে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে, তখন এই বিষয়টি আবার প্রদর্শন করছে যে কেরালা নারীদের জন্য এক দুর্ভাগা রাজ্য। যদিও রাজ্যের ৫৫ শতাংশ ভোটার মহিলা, তারপরেও কেবল মাত্র ৫ জন নারী এই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছে।

পশ্চিম বাংলায় কমিউনিস্টদের ঐতিহাসিক পরাজয়, তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার বিশাল জয় এবং কেরালায় বিজয়ী দলের সামান্য ব্যবধানে জয়, সব কিছুই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এক সুস্পষ্ট বার্তা। লোকজন টাকা এবং ক্ষমতায় পেশিশক্তির রাজনীতির মত চলতে থাকা বিষয়গুলোর উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে; তারা দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রত্যাখান করেছে এবং অবশেষে তাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলছে। রাজনীতিবিদেরা দয়া করে এই বিষয়টি খেয়াল করুন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .