মিশরঃ বাহার এল-বাকারের ঘটনাকে স্মরণ করা

৮ এপ্রিল, ১৯৭০ সালে, এখন থেকে চল্লিশ বছর আগে ওয়ার অফ এট্রিশন নামে পরিচিত মিশর বনাম ইজরায়েলের মধ্যে অনুষ্ঠিত যুদ্ধের সময় ইজারয়েলি সেনাবাহিনী মিশরের এক গ্রাম বাহার এল-বাকারের প্রথমিক বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। বাহার এল-বাকার মিশরের পূর্বের এক প্রদেশ সারকিয়ার একটি গ্রাম। এই গ্রাম পোট সাইদ বন্দরে দক্ষিণে আবস্থিত। এটি ছিল তিনটি কামরা বিশিষ্ট এক প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে ১৫০ জন ছাত্র পড়ত। হামলায় সম্পূর্ণ ভবন ধ্বংস হয়ে যায়, সেখানকার ৩০ জন ছাত্র মারা যায় এবং ৫০ বেশ গুরুতর জখম হয়, এবং অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। সেই ঘটনার এত বছর পরেও মিশরীয় নাগরিকরা এই গণহত্যার ঘটনাটি স্মরণ করে।

এক বছর আগে এই গণহত্যা সমন্ধে লেখা একটি পোস্ট জেইনোবিয়া টুইট করেছে

এখন থেকে ৪০ বছর আগে, উত্তর বদ্বীপের এক ছোট্ট গ্রামের তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি একেবারে এক ছোট স্কুলের ছাত্ররা সে সময় জানতো না সেদিন তাদের কোন অবকাশ থাকবে না অথবা তারা আর কোনদিন দ্বিতীয় শ্রেণী সমাপ্ত করতে পারবে না। ৪০ বছর আগের সেই দিনে ১৫০ জন ছাত্র স্কুলে গিয়েছিল এবং তারা জানতো না যে তাদের মধ্য ৩০ জন মারা যাবে এবং অন্যরা জখম হবে। ৮ এপ্রিল, ১৯৭০ সালের এই দিনটির সকাল বেলা ১৫০ জন ছাত্র তাদের ক্ষুদ্র কামরার এক ক্লাশে গিয়েছিল এই বিষয়টি না জেনেই যে, জাতীর ইতিহাসে তারা তাদের স্কুলের নাম সহ ঢুকে যাবে, যে ইতিহাস হবে এক গভীর ক্ষত, যার নাম হবে বাহার এল-বাকার গণহত্যা।
@waelragheb: لن انسى و لم انسى ما حدث في بحر البقر
@ওয়াএলরাঘেব: ওয়াএলরাঘেব: আমি কখনোই ভুলবো না এবং বাহার এল-বাকার-এ, যা ঘটেছিল তা আমি কখনোই ভুলিনি।
@ওয়াইল্ড_এটহার্ট: ৪১ বছর আগে এবং আমরা কখনোই ভুলবো না#ইজরায়েল#গণহত্যা চালিয়েছিল আমাদের ৮০ জন শিশুর বিরুদ্ধে#মিশর#বাহারএলবাকার।

টুইটার ব্যবহারকারীরা এই ঘটনার উপর নির্মিত টেলিভিশন তথ্যচিত্র এবং গণহত্যার উপর তৈরি করা গান প্রদর্শন করেছে যেটিতে আহমেদ শালাবাই তার উদ্ধৃতি প্রদান করেছ এবং মোনিকা ইব্রাহিম মন্তব্য করেছে।

@AhmedShalaby: الدرس انتهى لموا الكراريس..بالدم اللى على ورقهم سال! -بحر البقر
@আহমেদশালাবাই: ক্লাশ শেষ হয়ে গেছে. তোমরা তোমাদের খাতা সংগ্রহ কর… এই সব খাতার পাতায় পাতায় রক্ত লেগে আছে!বাহার এল-বাকার।
@মোনিকাএনজি:যখন আমি#বা৭আরএলবাকার-এর ভিডিও দেখি, তখন আমি আর আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। 🙁

অন্যরা বর্তমানে গাজায় যে বিমান হামলা চলছে, তার সাথে বাহার এল-বাকার এর তুলনা করছে। রাদোয়া এল-শামি নীচের এই লেখাটি লিখেছে যা তার সাম্প্রতিক ব্লগের একেবারে শেষে রয়েছে

আজ ৭ এপ্রিল, “স্ক্রোচিং সামার” নামক এক অভিযানের নামে ইজরায়েল নির্মম ভাবে গাজার উপর বোমা বর্ষণ করেছে। এর ফলে অনেক মৃত্যু ঘটেছে এবং অনেকে আহত হয়েছে। আগামীকাল, ৮ এপ্রিল, বাহার এল-বাকার গণহত্যার ৪১ তম বার্ষিকী।

এবং সবশেষে শাহরিফ যোগ করেছে:

@শেরইয়োস: #ইজরায়েল কি সেই পরিমাণ নির্বোধ, যে আমাদের #বা৭আরএলবাকার এর গণহত্যার কথা আবার স্মরণ করিয়ে দেয় #গাজায়? তার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে? খুনী!
@শেরইয়োস: #ইজরায়েল, যদি তোমরা তোমাদের বিরুদ্ধে নাৎসি জার্মানীর সংঘটিত অপরাধের একটিও ভুলে না যাও, তাহলে আমরা আরবদের বিরুদ্ধে তোমরা যে সব অপরাধ করেছো তার একটাও ভুলবো না#বা৭আরএলবাকর#গাজা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .