ইরান: মিশরের গণ জাগরণ তীব্রভাবে ইরানের গ্রীন মুভমেন্ট নামক আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে

এই পোস্টটি ২০১১ সালে মিশরের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

সম্প্রতি মিশরের প্রতিবাদ বিক্ষোভে এবং একটিভিস্টদের সামাজিক প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করার বিষয়টি কয়েকজন ইরানী নাগরিককে, ২০০৯ সালে ইরানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উত্তর “গ্রীন মুভমেন্ট” নামক আন্দোলনের কথা তীব্রভাবে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে

রাস্তায় বিক্ষোভ দমন এবং অনলাইনে সেন্সরশিপ প্রথা বলবৎ করার ক্ষেত্রে দৃশ্যত মিশরীয় সরকার ইরানের পদক্ষেপ অনুসরণ করছে

ইরান এবং মিশরের নাগরিকদের কি ভাবে ফেসবুক প্রচারণা, বিক্ষোভ সংগঠিত করতে সাহায্য করেছে, ভিওনা তার তুলনা করছে এবং ভদ্রমহিলা বলছে, মিশরে স্বৈরশাসক বিরোধী আন্দোলনকে বেগবান হতে দেখে তিনি আনন্দিত [ফারসী ভাষায়]। সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষদের জন্য গ্রীন ওয়েভ নামক আন্দোলন ছিল এক শিক্ষা। এই বিক্ষোভ চলতে থাকার ক্ষেত্রে সে অনেক আশা নিয়ে লিখছে যে, “আমাদের শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না” ।

কৌতুহলের বিষয়, ইরানের ব্লগ গ্রীন রিফর্মআগস্ট ২০১০-এ ভবিষ্যদ্বাণী
করেছিল যে এ রকম কিছু ঘটতে যাচ্ছে
[ফারসী ভাষায়]।

মিশর গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মুবারকের শাসন দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং জনতার ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। দেশটির ৩০ শতাংশ নাগরিক বেকার। ইন্টারনেট এবং ফেসবুক মিশরের রাজনৈতিক জীবন এবং নাগরিক সামাজের মধ্যে নতুন দল তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।

ইরানগ্রীনরেভ্যুলিউশন বলছে [ফারসী ভাষায়]:

…মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্র ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিউনিশিয়ার গণ জাগরণের ধাক্কা এখন মিশর আর ইয়েমেনে এসে লেগেছে। ইরানের গ্রীন মুভমেন্টের নেতার কেন নীরব রয়েছে? জনতা ইরানের ইসলামিক এই শাসন ব্যবস্থাকেও অপসারণ করতে সক্ষম।

ইরানের আরেকজন ব্লগার তেওয়াত্তার বলছে [ফারসী ভাষায়]:

তিউনিশিয়া এখন মুক্ত এবং শীঘ্রই মিশর এবং ইয়েমেন মুক্ত হয়ে যাবে। ওই সমস্ত দেশের বিরোধী নেতা এবং জনতা একই একই শব্দ উচ্চারণ করেছে। “প্রতিষ্ঠান সংস্কারপন্থীরা” ইরানের প্রতিবাদ আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।

এদিকে কিছু ইসলামিক প্রজাতন্ত্রপন্থী ব্লগার, যেমন দোনইয়ায়ে সায়াসাত, মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের ভূমিকার উপর মনোযোগ প্রদান করেছে। সে ফারসী ভাষায় ইব্রাহিম মুনিরের এক সাক্ষাৎকার তুলে ধরছে। ইব্রাহিম মুনির মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড নামক দলের অন্যতম এক নেতা। তিনি বলেছেন, মিশরের পরিস্থিত এতটাই খারাপ যে, তিনি মনে করেন না সরকারের সামরিক বাহিনী, লোকজনকে দমাতে পারবে।

ইরানের এক জনপ্রিয় ওয়েব কমিউনিটির নাম বালাতারিন, সেখানে মিশরের প্রতিবাদ আন্দোলনের উপর প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের অজস্র লিঙ্ক প্রদান করা হয়েছে।

এই পোস্টটি ২০১১ সালে মিশরের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .