জাপান: উত্তর কোরিয়ার ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তি এবং ধারণা

দক্ষিণ কোরিয়ার উপর উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক হামলা [ইংরেজী ভাষায়] জাপানের জন্য এক সতর্ক বার্তা জারি করেছে। এটা কি আসলে এক যুদ্ধের শুরু? এর পরবর্তী লক্ষ্য কি জাপান? নাকি তা কেবল রক্ষণশীল এবং প্রচার মাধ্যম সাদৃশ্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা সতর্কতা জারীমূলক “প্রহার”? জাপানের জনগণ শঙ্কিত, কিন্তু তারা জানে না এ ক্ষেত্রে তাদের কি ভাবা উচিত।

জাপানী দ্বীপবাসীরা সব সময় তাদের উত্তরের এই প্রতিবেশীকে সন্দেহের চোখে দেখেছে। সাম্প্রতিক অতীতে সেখান থেকে বেশ কিছু ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় এবং জাপানের সাথে উত্তর কোরিয়ার সব সময় কিছু ঝামেলা চলতে থাকে, যেমন ৭০ এবং ৮০ দশকে জাপানী নাগরিকদের অপহরণ করা, যার কারণে কিম ইয়ং ইলের শাসনামলে এই সব বিষয় জাপানের সাথে উত্তর কোরিয়ার এক কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

কাজেই, টিভি অনুষ্ঠান এবং সম্পাদকীয়র কলাম এই ঘটনার বর্ণনায় উপচে পড়ে, কিন্তু প্রচার মাধ্যমের প্রতি অবিশ্বাসী জাপানী নাগরিকরা এর মধ্যে এক রহস্যের গন্ধ পায় এবং তারা এই ঘটনা সম্বন্ধে নিজস্ব ভাবনা প্রকাশ করেছে।

ছবি রিয়ুগাকুইয়েসু। সিসি লাইসেন্স অনুসারে ব্যবহার করা।

যদি কোন বিপজ্জনক কোন কিছু ঘটে, তাহলে তার জন্য কায়ো এক জরুরী পরিকল্পনার কথা প্রস্তাব করেছে।

こんなに近い国で砲撃事件が起こったのは自分が生まれて初めてのことだったから、今までの遠い中東での戦争と違って、すごく現実感があるし、緊張する。
「北朝鮮こわいねー」「そうだねー」なんて脳天気な会話は平和ぼけが垣間見えて違和感あるし、「北朝鮮は頭がおかしい国だ!」とか悪態つく人もたくさんいるけど、世の中に余計な怒りを広めてる分全然共感できない。どちらも意味のない会話。

আমার জন্মের পর এই প্রথম একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে এ রকম এক আক্রমণ সংঘটিত হল। এটা দূরপ্রাচ্যের যুদ্ধের থেকে অনেক আলাদা। এই বার, এটা ছিল সত্যিকারের এক সংঘর্ষ এবং এটি আমাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

যখন কোন লোক ভাবনা চিন্তা না করেই এ ধরনের মন্তব্য করে যে “উত্তর কোরিয়া সত্যি খুব বিপজ্জনক” তখন আমি খুব অস্বস্তিবোধ করি। হ্যাঁ! হয়ত বা! এমন একটা দেশ যার সংঘর্ষের অভিজ্ঞতা নেই। অনেকে বিদ্বেষের সাথে বলে থাকে, ”উত্তর কোরিয়া একটা উন্মাদ রাষ্ট্র!” আমি তাদেরকে সত্যি বুঝতে পারি না, যারা এই বিশ্বে এ রকম বাজে ভাবে ঘৃণা ছড়ায়। এগুলোর সবগুলো অর্থহীন আলোচনা।

こういうときって冷静に、自分に今できることは何だろうかと、次のステップを考えて実行することが大切じゃないかな。テレビやネットを見て無駄に不安になったり、怒ったりするんじゃなくて。
例えば、サバイバルグッズを揃えたり、非常持ち出し袋をセットしておくとか。って笑われそうだけど、地震の備えにもなるしね。
それから、もしものときに少しでも生き延びられるように体力づくりをしておくとか…ってこれも人に言ったら笑われるな~。でもダイエットになるし、一石二鳥。

এ রকম এক ঘটনায়, এটা ভাবা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, আসলে পরবর্তীতে কি করা উচিত এবং, কোন ধরনের উদ্বিগ্নতা এবং ক্ষোভ প্রকাশ ছাড়া তারা এক বিনয়ী মানসিকতায় বিবেচনা করবে যে কি ভাবে একজন প্রস্তুতি নিতে পারে, সবাই উদ্বিগ্ন এবং ক্রোধান্বিত হয় যে সমস্ত সংবাদ আমরা টিভিতে দেখেছি অথবা ইন্টারনেটে যা পড়ি তার কারণে।

যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজনের অবশ্যই টিকে থাকার উপাদান অথবা জরুরী সামগ্রী দিয়ে ভরা ব্যাগ তৈরি রাখা দরকার। আমি জানি যে অনেক লোক এতে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে, কিন্তু ভূমিকম্পের সময় এ রকম প্রস্তুতি প্রয়োজনীয়।

এমনকি নিজের শরীরকে এমন ভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা, যাতে আপনি খুব খারাপ কোন ঘটনার সময় খানিকটা বেশি টিকে থাকতে পারেন… এই কথা বলার কারণেও লোকজন আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করতে পারে, কিন্তু তা ডায়েট বা খাদ্যাভাস হ্রাস করার ক্ষেত্রে এক অজুহাত হতে পারে, কাজেই এই সব কাজের মাধ্যমে আপনি এক ঢিলে দুই পাখী মারতে পারেন।

কয়েকজন ব্লগার দ্রুত শুরু হওয়া এক যুদ্ধের ভয়ে রয়েছে, যেমন টেরুটেরুয়াসিটা, এক শান্তিপূর্ণ দেশে বাস করার ক্ষেত্রে জীবন এবং সুখময়তার ক্ষেত্রে কি হিসেব করা হয়, তার এক প্রতিচ্ছবি প্রদান করছে।

・・・・・ニュースを見ていて・・・・・鳥肌が立った。
北朝鮮は世代交代にあたって、その軍事力をみせしめるためなどの噂が早くもたっているが、そんなことは・・・どうでもよく、とにかく戦争は・・・怖い。
人間が死んでしまうのが怖い。
みんな家族や友人がいる。
一瞬にして失う。
平和・・・・。それが成り立ってこそ、みんなが幸せなんだ。

…….যখন আমি সংবাদটি দেখি তখন গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়
গুজব বলছে যে যেহেতু প্রজন্ম পরিবর্তিত হয়েছে [নেতৃত্বের ক্ষেত্রে], তাই উত্তর কোরিয়া তার সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চায়…কিন্তু আমি মনে করি না, তাতে কিছু আসে যায়.. আমি কেবল যুদ্ধের ব্যাপারে শঙ্কিত।

এটা ভয়ঙ্কর কারণ যুদ্ধে লোকজন মারা যায়।

সকলেরই আত্মীয় বা বন্ধু রয়েছে এবং যুদ্ধে তারা সেকেন্ডের মধ্যে মারা যেতে পারে।
শান্তি… কেবল যদি শান্তি বজায় রাখা যায়, তাহলে লোকেরা খুশি থাকবে।

কিন্তু এই সকল সতকর্তা কি কোন ধারণা তৈরি করে? কয়েকটি বিস্ময়। অথবা উত্তর কোরিয়া যে কাজই করুক না কেন তাতে জাপান অনেক বেশি সংবেদনশীলতা প্রকাশ করে?

চিসা মুরাকামি বলছে যে বিষয়টি পাল্টে যায়, যদি তা দক্ষিণ কোরিয়ায় বাস করা একজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হয়।

しかし・・・北朝鮮の砲撃にはびっくりしました。
こんなに近いところで実際に攻撃してくるんですものね。
「頭きた」となると、日本だって打たれるかも知れない・・・。
いや〜怖い国です。
一報の頃は会社にいてね。休日だけど、何人か出社していて皆でTVに釘付け。
とし坊はすぐにソウルのお姉ちゃんに電話したんだけど、
彼女はちびとマンガを見ていて知らなかった・・・。
日本の報道が大きくても、意外にご当地は冷めていることが多いからね。
そんなもんかも知れない。

উত্তর কোরিয়ারর এই আক্রমণ সত্যি আমাকে বিস্মিত করেছে। আমি উপলব্ধি করেছি যে খুব কাছের একটি দেশেও সত্যি আক্রমণ সংঘটিত হতে পারে।
এটাই যথেষ্ট [যে কিম জং ইল যদি বলে:] “আমি বিরক্ত!” এবং জাপানের উপর আঘাত হানা হবে….।
হুমম, কি এক ভয়ঙ্কর দেশ!

যখন প্রথম সংবাদটি প্রচারিত হয় তখন আমি আফিসে ছিলাম। সেদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন, কিন্তু কয়েকজন লোক তারপরেও সেদিন অফিসে কাজ করতে এসেছিল এবং আমাদের সকলের চোখ আঠার মত টিভির উপর লেগেছিল।

টোশি-বয় তার বোনের সাথে কথা বলার জন্য ছুটে গেল, যে কি না সিউলে অবস্থান করছিল, কিন্তু সেখানে তার বোন সন্তানদের নিয়ে কার্টুন দেখছিল এবং সে এই ঘটনা সম্বন্ধে কিছু জানত না [এই আক্রমণ সম্বন্ধে]…….

শিগেনবু গু (具 滋宣) এমন একজন লেখক যিনি বেতনভুক্ত নন। তিনি জন্ম গ্রহণ করছেন এবং বেড়ে উঠেছেন দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপানে। তিনি নিরপেক্ষ এবং এর বাইরের এক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টিকে দেখার চেষ্টা করছেন যে কিনা উভয় দেশের সংস্কৃতিকে ভালো করে জানেন।

11月23日に起きた北朝鮮による砲撃事件は各方面に大きなショックを与えた。ふたりの民間人までもを巻き込んだ今回の事件は、韓国政府が最高非常 警戒を発令するなど、近年まれに見る事態に発展した。私も周りから実家の心配をされるなどしたので、日本にも多少なり緊張感が走った様子だ。
韓国旅行をキャンセルする日本人旅行客も増えたとか。しかし実状は思っているのと少し違ったようだ。忙しかったのは韓国政府で、ほか多くの一般人は特に外出を控えたりすることもなく、普段となにも変わらない日常を過ごしていたというのはあまり知られていない。
先日の砲撃事件はその規模がかなり大きかったので日本のマスコミでも大々的に取り上げられたが、韓国と北朝鮮の衝突事件は実は何十年も前から数えきれないほど起きている。韓国の人々はもはや麻痺気味になってしまっていて、「また北朝鮮か」くらいで終了することも多い。最近では細かい事件となると韓国 のマスコミが北朝鮮ネタで視聴率を取ることすらままならないほどだ。

২৩ নভেম্বর, উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ অনেক কারণেই লোকজনকে বিস্মিত করেছে। এই বার এমনকি দুইজন সাধারণ নাগরিক এতে যুক্ত ছিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করে, এমন এক পরিস্থিতি যা সাম্প্রতিক সময়ে খুব কমই দেখা গেছে। লোকজন আমাকে নিয়ে চিন্তিত ছিল এবং জাপানে বেশ উদ্বেগজনক এক পরিস্থিত বিরাজ করছিল। যেমন তৎক্ষণাৎ বলা যায়, জাপানী পর্যটকের দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণ বাতিল করার ঘটনা বেড়ে যায়, কিন্তু বাস্তবতা ছিল সামান্য ভিন্ন। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া সরকার সক্রিয় ছিল, অনেকে জানত না যে, সাধারণ জনতার রাস্তা থেকে দুরে থাকার প্রয়োজন নেই এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন কিছুই বদলে যায়নি।

যেহেতু আক্রমণের ঘটনাটি বেশ বড় ছিল, জাপানের প্রচার মাধ্যম বিস্তারিতভাবে এর সংবাদ প্রচার করে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে গত দশক থেকে অজস্র সময় ঝামেলা বেঁধেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার লোকজন এতে অভ্যস্ত, আর তারা ভাবে “উত্তর কোরিয়া”? আবার ? প্রায়শই সেখানে স্বাভাবিক এক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করা হয়। এর বাইরে, যখন বিশেষ কিছু ঘটে [উত্তর কোরিয়ার সাথে], তখন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রচার মাধ্যম তার পাঠকদের খুব কম উত্তর কোরিয়ার সংবাদ প্রদান করে থাকে।

[…]

今回の北朝鮮の砲撃事件を受けて感じた日本と韓国の温度差。それに気づいた私は、もしかしたら少しだけ平和ボケしていたのかもしれない。やはり日本はいい意味で平和な国だ。

উত্তর কোরিয়ার এই ঘটনার বিষয়ে আমি জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে ভিন্ন স্তরের আগ্রহ খুঁজে পাই। সম্ভবত আমি তা অনুভব করি, কারণ আমি এক শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে বাস করি, কোন সন্দেহ নেই যে সত্যিকার অর্থে জাপান এক শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .