মালয়েশিয়া: উত্তরের রাজ্যগুলিতে বন্যা

মালায়শিয়ার উত্তরের রাজ্য কেদাহ, পারলিস আর কেলান্তান এ সম্প্রতি ভয়ন্কর বন্যা হয়েছে, যার ফলে প্রায় ৪০,০০০ লোক বাড়ী ছেড়েছেন। কেদাহ রাজ্য সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর ব্লগার নুর আজলিনা আব্দুল সামাদ, যিনি নিজেই বাড়ি ছেড়েছেন, লিখেছেন:

গত বুধবার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হয় কারন বন্যার পানি মাত্র কয়েক ফুট দূরে ছিল আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করা থেকে। ওই দিন পুরো পাড়ার পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয় আর রাত্রে বিদ্যুত সরবরাহ ও বন্ধ করতে চেয়েছিল। তাই আমরা জানতাম যে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়া উচিত। আমি, আমার মা আর খালা দ্রুত ব্যাগ গুছিয়ে নিই আর আমাদের জিনিষ যতদূর সম্ভব উঁচু স্থানে রাখার চেষ্টা করি ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য। আমি কিছুই বাঁচাতে পারিনি। যতটুকু সম্ভব করে ইশ্বরের হাতে বাকিটা ছেড়ে দিয়েছি। কতো কিছু করার ছিল, কিন্তু কতো অল্প সময় যেহেতু বন্যার পানি দ্রুত চলে এসেছে। অনেকেই ধারনা করেনি যে এটা এতো খারাপ হবে।

এখন আমি কেবল আশা করছি যে আমার মধ্যে শক্তি থাকবে সময় হলে বাড়ি পরিষ্কার করার বন্যার সব কাদা আর ময়লা থেকে। আমি জানিনা আমার মা আর আমি এইবার কি করে এটা করবো…কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ধীরে কিন্তু অবশ্যই…সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি কাজও করতে পারবো না…হয়তো মাস দুয়েক, সব কিছু ঠিক না হওয়া পর্যন্ত। আমি জানিনা…সব কিছু অনিশ্চিত।এখন সব ইশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। আমার স্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করবেন!

তি- রত্ন পেঞ্চালা কমিউনিটি সেন্টার, তাদের ব্লগে বন্যা দূর্গতদের সাহায্যের কথা লিখেছেন:

আমরা তি-রত্ন পেঞ্চালা কমিউনিটি সাহায্য করতে চাই এমসিআরএস ( মালয়েশিয়া রেড ক্রস সোসাইটি) কে যারা কেদার বন্যা দুর্গতদের জন্য সাহায্য সংগ্রহ করছেন যেমন কম্বল, সারং, বিশুদ্ধ পানি, প্যানাডোল, স্যানিটারি প্যাড, সানবান, চাল, বি হোন, ক্যানের সার্ডিন, বেক করা বিন, কন্ডেন্স দুধ, দুধ, টুথপেস্ট, মাইলো, কফি, ইত্যাদি…

আসুন একত্রে বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করি। আপনাদের স্বাগতম যে কোনভাবে অবদান রাখার জন্য আর ১১ নভেম্বর ২০১০ বিকাল ৫টার মধ্যে এইসব জিনিষ তি-রত্ন পেঞ্চালা কমিউনিটি সেন্টারে পাঠানোর জন্য (২১, জালান পেঞ্চালা, পেতালিং জায়া, সেলাঙ্গোর, মালায়শিয়া)। এমসিআরএস আমাদের কেন্দ্রে ১২ নভেম্বর ২০১০ সকালে এটা নিতে আসবে।

ব্লগার শান্মুগাম লাক্সমানান এই পরিস্থিতিতে কিছুটা মজা করার চেষ্টা করেছেন:

আপনাদের উঁচুতে উঠতে হবে। ডিপ ইমপ্যাক্ট চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমরা দেখতে পারি যে আপনাকে বাড়ি ছেড়ে পাহাড়ের দিকে যেতে হবে, কিন্তু যেহেতু সবাই ওইখানে গিয়ে রাস্তায় ভীড় করছে, আপনার জন্য ভালো হবে যদি একটা বাইক নিয়ে যান, যেমন এলিজা উড নিয়েছেন। আর ২০১২ সালে বিশাল সব জাহাজ নির্মান করে হিমালয়তে নামানো হয় কারন বন্যার পানি ওখানে সবার শেষে পৌঁছাবে।

সরকারের কাছে আহ্বান করা হয়েছে মালয়েশিয়া সার্টিফিকেট অফ এডূকেশন (এসপিএম) পরীক্ষা বন্ধ রাখার জন্য, যেটা জাতীয় পরীক্ষা যা উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্ররা দিয়ে থাকে আর ও লেভেলের সমকক্ষ যেটা সরকার অস্বীকার করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .