গত সপ্তাহে মিশরীয় রাষ্ট্রিয় টিভি চ্যানেল আল মাসরেয়াতে প্রচারিত দৈনিক টক শো মিসর এল-নাহারদা (আজকের মিশর) আলোচনা করেছে ফেসবুক আর মিশরীয় সমাজে এর প্রভাব নিয়ে।
জেইনোবিয়া তার ব্লগে এই পর্ব নিয়ে লিখেছেন যে কিভাবে সেখানকার বেশীরভাগ আলোচনা হয়েছে ফেসবুককে আক্রমণ করে।
জাতীয় টিভির মিসর-এল-নাহারদা ফেসবুকের ভালো খারাপ দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেখানে খারাপের উপরে বেশী জোর দেয়া হয়েছে যা দেখলে মনে হয় যে এটা মিশরীয় সমাজকে ধ্বংস করে দেবে।
এই অনুষ্ঠান মিশরীয় ব্লগ জগতের বিদ্রুপের বিষয়ে পরিণত হয় যখন টিভি উপস্থাপিকা মোনা এল সারাকাউই সেখানের দুইজন অতিথি নাদিয়া রাদোয়ান আর গামাল মুখতার সহ অনুষ্ঠান চলাকালীন অনেক ভ্রান্তিকর আর মজার মন্তব্য করেন। এই শো রেকর্ড করে ইউটিউবে তুলে দেয়া হয়, আর আম মিনার মতো ব্লগাররা তাদের ব্লগে সব থেকে মজার মন্তব্যগুলো প্রকাশ করেন।
نادية رضوان: فيه بردو موقع “مي بليس” شبيه ليه.
…
مني الشرقاوي: احنا بقينا جواسيس لبلدنا.. بنفضح بلدنا.
مني الشرقاوي: الحمدلله ان استخدام الانترنت لسة محدود
নাদিয়া রাদোয়ান: তাদের ‘মাই প্লেস’ (‘আমার স্থান’) নামে প্রায় একই রকমের ওয়েবসাইট আছে।
মোনা এল সারকাউই: আমরা এখন নিজের দেশের উপরে গুপ্তচরবৃত্তি করা গুপ্তচরে পরিণত হয়েছি।
মোনা এল সারাকাউই: ইশ্বরকে ধন্যবাদ যে মিশরে ইন্টারনেট ব্যবহার এখনো সীমিত।
আল্টিমেটসার্ভ টুইটারে আরো লিখেছেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক কিভাবে ফেসবুক নিয়ে একটা পর্ব করেছেন, যা আগে তিনি কখনো ব্যবহার করেননি।
শো এর পরে, অনেক ব্লগার ভাবছেন যে এটা সরকারের দিক থেকে পদক্ষেপ হতে পারে মানুষকে ফেসবুক থেকে দূরে সরিয়ে আনার জন্য এবং পরে এটাকে নিষিদ্ধ করার জন্য, বিশেষ করে মিশরের ঐতিহ্যবাহী আর সামাজিক মিডিয়ার চিত্রের বর্তমান অবস্থা দেখে। অনেকে ভাবা শুরু করেছেন যে সরকার বিকল্প সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাচ্ছে কিনা যা তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। জেইনোবিয়া এই ব্যাপারে তার ব্লগে আরো লিখেছেন:
এই অংশ ভীতি আর ধারনা এমন পর্যায়ে এনেছে যে আজকে একটা গুজব ছিল যে লিঙ্ক ডট নেট সরকারের কাছে ফেসবুকের বিকল্প নিয়ে একটা প্রস্তাব পেশ করেছে, এই গুজব ঝড়ের গতিতে ইন্টারনেটকে ছড়িয়েছে এমন পর্যায়ে যে ইঙ্ক ডট নেটকে চতুরভাবে এই ব্যাপারটি অস্বীকার করতে হয়েছে।
আমিরা আল তাহাউউ তার ব্লগে লিখেছেন যে মিশরে একাধিক গোত্র সম্পর্কিত ফেসবুকের সংস্করণের অস্তিত্ব আছে।
পরিশেষে মিশরীয় যোগাযোগ আর তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সকল ফেসবুক ব্লকের ঘটনা অস্বীকার করেছে। তবে এর ফলে মিশরীয় সরকারের ফেসবুকের বিকল্প সম্পর্কে ভাবনা আর এটা দেখতে কেমন হবে তা নিয়ে টুইটারে চলতে থাকা মজা বন্ধ হয়নি।