এশিয়া: মাদক ব্যবহার আর ডিটেনশন সেন্টারের উপরে ভিডিও

image from HCLU video

মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধে ডিটেনশন সেন্টার এশিয়াতে এখন সবার চোখে পড়েছে। যদিও কিছু এশিয়ান মাদক সেবী নিজে থেকে এখানে যান তাদের অভ্যাস থেকে মুক্ত হতে, কিছু স্থানে এই সকল কেন্দ্র নিয়মিত মানবাধিকার নির্যাতনের আখড়ায় পরিণত হয়েছে যেখানে বসতিহীন রাস্তায় থাকা মানুষদের আটক করে রাখা হয় কোন পছন্দের সুযোগ না দিয়ে। তাদেরকে অত্যাচার করা হয়, ধর্ষন করা হয়, বিনামূল্যে কাজ করতে বাধ্য করা হয় আর ন্যুনতম আরাম থেকে বঞ্চিত করা হয়।

হাঙ্গেরিয়ান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এইচসিএলইউ) প্রকাশ করেছে “চিকিৎসার নামে অত্যাচার” নামে নতুন একটি ভিডিও যেখানে এশিয়া কোন বাধ্যতামূলক ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো মানুষের পরিস্থিতি দেখানো হয়েছে। কাউকে পরিবার থেকে পাঠানো হয় বা কেউ নিজে যায় সেখানে তার মাদক গ্রহণের অভ্যাস থেকে বের হওয়ার জন্য, কিন্তু অন্য কিছু স্থানে, মিলিটারি পুলিশ নিয়মিত একত্র করে যাদেরকে তারা ‘আলাদা’ মনে করেন। তাই পথ শিশু, যৌন কর্মী আর মাদক গ্রহণকারীদের এইসব ক্যাম্পে পাঠানো হয় আপিলের কোন সুযোগ রহিত করে। তাদের প্রতি আঘাতের সাথে অপমান যুক্ত করে এই ব্যাপারটি যে কিছু ক্যাম্প পশ্চিমা সরকারের প্রদত্ত অর্থে তৈরি করা হয়েছে, তাই এইচসিএলইউ ভিডিওর দর্শকদের কাজে নামতে আহ্বান জানিয়েছে:

এদের মধ্যে কোহ কোর নামে একটি সেন্টার বন্ধ ছিল মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগের কারণে কিন্তু এখনও অনেকগুলো খোলা আছে। এইচসিএলইউ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন ইউএনএইডস বা ইউএনওডিসি এইসব ক্যাম্প বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা আশা করছি আমাদের নতুন চলচ্চিত্র দেখার পরে মানুষ আমাদের সাথে মিলে এইসব সরকারের উপরে চাপ প্রদান করবে মাদক চিকিৎসার নামে অত্যাচার বন্ধের জন্যে।

কারেন্ট টিভির ভ্যানগার্ড ওয়েবে কিছু পর্ব প্রকাশ করেছে যা ক্যাম্বোডিয়ায় মাদকাসক্তি এবং মেথ তৈরি আর গ্রহণ নিয়ে আলোচনা করেছে। এই নির্মাতারা কোরসাং এ গিয়েছিল মাদক ঝুঁকি কমানোর একটা সেন্টার দেখতে যা স্থাপন করা হয়েছে সরকার পরিচালিত মাদক ডিটেনশন সেন্টারে যে অত্যাচার করা হয় তার বিকল্প হিসাবে।

ক্যাম্বোডিয়াতেও, পুথিশাস্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দুই পর্বের একটি ভিডিও বানিয়েছেন ইউপিএস টিভির জন্য যেখানে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বলছেন যে তরুণরা কেন মাদকাসক্ত হন:

দ্বিতীয় পর্বের শেষে, কোসাল তার ৫ বছর জেলের সাজা শেষে পরিবর্তিত মানুষ হিসাবে ফিরে আসেন, তার ভুল ঠিক করে নতুন ভাবে শুরু করতে আগ্রহী হয়ে। একজন মাদকাসক্তকে কেমন স্থানে পাঠানো উচিত যেখানে আসলেই ভালো হতে পারে বাস্তবে পরিণত হতে পারে এ ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গী বর্ণনা করেছে; কারণ এর জন্য কোন আশ্চর্য কিছু লাগে না।

এশিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার অত্যাচার সম্পর্কে আরো জানতে আপনারা মাদক রিহাব সেন্টারের উপরে হিউমান রাইটস ওয়াচ এর রিপোর্টগুলো পড়তে পারেন: যেমন হোয়্যার ডার্কনেস নোজ নো লিমিটস (যেখানে অতল আধার), চীনের অ্যান আনব্রেকেবল সাইকেল (একটি দুষ্টচক্র) এবং ক্যাম্বোডিয়াতে স্কিন অন দ্যা ওয়াইয়ার (শরীরে কাঁটাতারের আঘাত)

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .