তিউনিশয়া: যখন গায়ক জোর গলায় গেয়ে উঠৈ “নেতানিয়াহু দীর্ঘজীবী হউক”

শেরিফকে নিন্দা জানানোর জন্য ফেসবুকে তৈরি করা অনেকগুলো পাতার একটি

প্রচার হওয়া একটি ভিডিও প্রদর্শন করেছে যে তিউনিশিয়ার গায়ক মোহসেন শেরিফ জোর জোরে গাইছে “বিবি নেতানিয়াহু দীর্ঘজীবী হউক” এবং তিনি ইহুদিদের ডেজেরবা দ্বীপে (জেরবা তিউনিশিয়ার উপকুলে অবস্থিত একটি দ্বীপ) আসার জন্য আহ্বান জানান। তাদের তিনি এই দ্বীপের এল ঘারিবায় (এল ঘারিবা, জেরবা দ্বীপে অবস্থিত ইহুদিদের একটি সিনাগগ বা প্রার্থনা কেন্দ্র) তীর্থ যাত্রায় আসতে বলেন। এই গানটি তিউনিশিয়াবাসীদের ভেতরে ক্ষোভ এবং হতাশার সঞ্চার করে। প্রযুক্তি পাগলদের ভাষায় বলতে গেলে, এই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর এক নতুন গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে।

এখানে বিষয়টি বোধগম্য যে, আরো অনেক তিউনিশীয় সঙ্গীত শিল্পীর সাথে শেরিফ ইজরায়েলে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিল। তবে ইজরায়েলের সাথে তিউনিশিয়ার কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

শীঘ্রই শেরিফের এই কাজের নিন্দা জানানোর জন্য ফেসবুকে অনেকগুলো দল তৈরি হয়। এই সব দলের মধ্যে এই দলটিও রয়েছে, যারা এই গায়কের তিউনিশিয়ার নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।

এই ভিডিওর ব্যাপারে ব্লগাররা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে: তবে এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে তারা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকজন ব্লগার যেমন স্টুপিডিটি জোন স্টার বলছে যে গায়কের যা ইচ্ছে তাই গাইতে পারার মত স্বাধীনতা রয়েছে। সে লিখেছে:

Ces derniers jours,une vague de haine envers deux artistes locales inonde le net Tunisien …ces deux artistes sont Mohsen Echrif et Noureddine El Kahléoui !!!
Alors le motif de cette campagne me semble absurde mais pour mes concitoyens c'est suffisant pour être traité de tous les noms …Mohsen Echrif dans un mariage organisé par des Juifs dis dans son micro je cite “Ya7ya Bibi Netanyéhou”

সম্প্রতি তিউনিশিয়ার ওয়েব জগৎ-এ, দুজন স্থানীয় গায়কের প্রতি ঘৃণা বর্ষণের ঢেউ বয়ে যায়। এই দুজন গায়ক হচ্ছে মোহসেন শেরিফ ও নুরুদ্দিন কাহলাউয়ি!!! যদিও বাস্তবতা হচ্ছে এই গানটি প্রচারণার উদ্দেশ্য ছিল বিচিত্র, তারপরেও আমার স্বদেশীরা মনে করছে যে এই গানের মধ্যে যা বলা হয়েছে, তা তাদের অপমান করার জন্য যথেষ্ট। মোহসেন শেরিফ তার গানে বলেছে: বিবি নেতানিয়াহু দীর্ঘজীবী হউক”।

ডেজারবা থেকে জিজু লিখেছে:

Pour moi, Le chanteur en question n'a fait que caresser tout le monde dans le sens du poil (son boulot en qlq sorte) puisqu'on peut voir clairement dans la vidéo qu'il faisait un peu de politique dans le but de raffermir les liens des tunes avec la Tunisie et de les convaincre de venir plus nombreux en Tunisie (leurs pays) pour le pèlerinage de la Ghriba.

আমার কাছে এই গায়ক কেবল সবাইকে খুশী করার চেষ্টা করছে (সে কোন একভাবে তার কাজটি করেছে)। এই ভিডিওতে আমরা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি যে ইজারয়েলের সাথে তিউনিশীয়বাসীদের সম্পর্ককে দৃঢ় করার জন্য তিনি কিছু রাজনীতি করছেন এবং তাদেরকে প্রায়শই ঘারিবাতে তীর্থযাত্রা করার জন্য তিউনিশিয়া আসার জন্য অনুরোধ করেন (কিছু ইহুদির এক সময়কার স্বদেশ)।

অন্যদিকে কয়েকজন ব্লগার বিবেচনা করছেন যা ঘটেছে তা ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার এক প্রচেষ্টা এবং তারা সরকারকে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে। বসাম বৌনেনি লিখেছেন।

C'est dans cette ambiance que survient la diffusion sur la toile d'une vidéo du chanteur, Mohsen Cherif, scandant le slogan “Vive Ben Ali … Vive Netenyahu”. Les réactions officielles se font toujours attendre, en dépit d'une grande colère populaire qui s'est étendue au niveau des syndicats. Paradoxalement, les partis d'obédience nationaliste optent, là aussi, pour le mutisme. Laissant la grogne aux masses … virtuelles. Les mêmes masses qui se sont toujours tues quand la normalisation allaient de pair avec un choix gouvernemental ou est l'oeuvre, tout simplement, d'un membre du gouvernement.

এটি এই রকম আবহের মধ্যে তৈরি হয়েছিল যে ওয়েবে প্রচারিত এক ভিডিও প্রদর্শন করেছে গায়ক মোহসেন শেরিফ, জোরে জোরে গান গাইছে বেন আলি দীর্ঘজীবী হউক…. নেতানিয়াহুর জয় হোক। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বদলে শ্রমিক সংঘের ( লেবার ইউনিয়ন) মত অনেকে সংগঠনে অনেক বেশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রের অনুগত জাতীয়তাবাদী দলগুলোও নিরব রয়েছে। আসুন ইন্টারনেট বা ভার্চুয়াল সব গণমানুষের চেতনার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করি, সেই একই গণমানুষ যারা, স্বাভাবিক সব কর্মকাণ্ড সরকারের মত অনুসারে গেলে নীরব থাকে অথবা খুব সাধারণভাবে সরকারের বেশ কিছু কাজের ব্যাপারে চুপ করে থাকে।

এই কাহিনীর সূত্রপাত হয়ত ওয়েবে কিন্তু এখন তা সাধারণ মানুষের মন্তব্যের জায়গা দখল করে রেখেছে। তিউনিশিয়ার জাতীয় সাংবাদিকরা এর জন্য অপেক্ষা করছিল এবং লোকজন সকল অনুষ্ঠানে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে যেমনটা ডেজরবার জিজু তার ব্লগে এই বিষয়টি তুলে দিয়েছে:

L'affaire est celle qui occupe l'opinion publique tunisienne en ce moment. Les discussions au boulot, a la plage et ailleurs tournent autour de cette bande de chanteurs tunisiens partis en Israel pour animer une soiree tunisienne. Meme si cette initiative peut surprendre, ce qui a choque une majorite de tunisien est le fait qu'un chanteur ( Mohsen Cherif) a prononce des viva pour le premier ministre israelien.

এটি এমন একটি ঘটনা যা এখন তিউনিশিয়ার জন মতামতের সবটুকু স্থান দখল করে রয়েছে। তারা কর্মস্থলে, সমুদ্রতটে, অন্য সব এলাকায় তিউনিশিয়ার এই গায়ককে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে, যে গায়ক ইজরায়েলে তিউনিশিয়ার এক অনুষ্ঠান সন্ধ্যা প্রদর্শন করতে গিয়েছিল। এই বাস্তবতা সত্ত্বে সেখানে গান গাইতে যাবার মত উদ্যোগ তিউনিশিয়াবাসীর কাছে বিস্ময়কর এক ব্যাপার, তারচেয়ে যে বিষয়টি তাদের বেশি বিস্মিত করেছে তা হচ্ছে তিউনিশিয়ার এই গায়ক (মোহসেন শরিফ) জোর গলায় ইজারয়েলী প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ জীবন কামনা করেছে।

এই ঘটনা এখনো তিউনিশিয়ার সকল স্থান দখল করে রেখেছে, জনগণ প্রশ্ন করছে, কি ভাবে তিউনিশিয়ার এক গায়ক ইজরায়েলে গেল এবং সেখানে অনুষ্ঠান করল।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .